প্রধান

প্রধান গ্রেফতার, অভিযোগ আত্মসাৎ!

একসময়ের পুলিশ চালানো প্রধান পুলিশের হাতেই গ্রেফতার!

সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিপিআইএম দলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হাবিব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অন্তর্গত শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকার জানান, ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর গৌরনগর ব্লকের তৎকালীন বিডিও ইরানি থানায় শ্রীনাথপুর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হ্যান্ড পাম্প বসানোর কাজ এবং প্যালাসিডিং প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সে সময় সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তৎকালীন পঞ্চায়েত সচিব ইয়ামির আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ইয়ামির আলী আদালত থেকে জামিন পান। তদন্ত চলাকালীন ইয়ামির আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হাবিব উদ্দিনের নাম উঠে আসে।

এরপর থেকে হাবিব উদ্দিন পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তবে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকার ও ইরানি থানার প্রাক্তন ওসি ইন্সপেক্টর যতীন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশ বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার হাবিব উদ্দিনকে কৈলাসহর আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় এবং ১৩ পি.সি. অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি এই প্রথম নয়। এর আগেও এই পঞ্চায়েতের এক সচিব অন্য এক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তবে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রাক্তন প্রধান হাবিব উদ্দিনের গ্রেফতার হওয়ায় শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে।

এক সময় বাম শাসনে হাবিব উদ্দিন এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তার কথাতেই পুলিশ কার্যত পরিচালিত হতো বলে অভিযোগ। কিন্তু আজ সেই পুলিশই তাকে গ্রেফতার করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই।