শেহওয়াগ

শেহওয়াগ, দাম্পত্য জীবনে রান-আউট!

শেহওয়াগ-আরতির দাম্পত্যে ফাটল, ডিভোর্সের পথে দম্পতি!

ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। এখন এই বীরেন্দ্র শেহওয়াগ এবং তাঁর স্ত্রী আরতি শেহওয়াগের সম্পর্ক নিয়ে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। কুড়ি বছরের দাম্পত্য জীবনে এবার নেমেছে কালো ছায়া। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং পরিস্থিতি এমনই যে, তাঁরা ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছেন।

১৯৯৮ সালে শেহওয়াগ ও আরতির প্রথম দেখা। তাঁদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে, যা ধীরে ধীরে গভীর ভালোবাসায় পরিণত হয়। ২০০৪ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্ক তখন অনেকের কাছেই আদর্শ বলে ধরা হতো। সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে পারিবারিক মুহূর্ত, সর্বত্র তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সুখী যুগল হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে, যারা তাঁদের জীবনের আলো। পরিচিতদের মতে, সম্পর্কের মধ্যে বহুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। শেহওয়াগের ক্রিকেট কেরিয়ার এবং তারপর তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগের কারণে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারছিলেন না। অন্যদিকে, আরতি নিজের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মতের অমিল বাড়তে থাকায় সম্পর্কের ফাটল আরও গভীর হয়। শেহওয়াগের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, “বিগত কয়েক বছরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল।যদিও তাঁরা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। সন্তানদের কথা ভেবে তাঁরা বিষয়টি চেপে রাখছিলেন, তবে এখন আর তা সম্ভব নয়।” সম্প্রতি শেহওয়াগ এবং আরতি দু’জনেই তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের ছবি পোস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দু’জনকে একসঙ্গে দেখাও যাচ্ছে না। এই সমস্ত বিষয় নজরে আসতেই তাঁদের ভক্তদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়। আরও একটি সূত্রের দাবি, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শেহওয়াগ এবং আরতির মধ্যে কথাবার্তা একেবারে বন্ধ। তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে গোপন রাখতে চাইলেও, তাঁদের আচরণই সব প্রকাশ করে দিচ্ছে।”

আইনি মহল থেকে জানা গিয়েছে, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শেহওয়াগ এবং আরতি উভয়েই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিতে চান। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা। তবে ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে শেহওয়াগ বা আরতি এখনও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। ক্রিকেট দুনিয়া এবং তাঁদের ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।সম্পর্কের যত্ন নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই দম্পতির দিকে তাকালেই বুঝা যায়। সাফল্য বা ব্যস্ততার কারণে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অবহেলিত হলে তা জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

এখন প্রশ্ন হল, শেহওয়াগ এবং আরতি কি শেষ মুহূর্তে তাঁদের সম্পর্ক বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, নাকি তাঁরা একে অপরের থেকে দূরেই নতুন জীবন শুরু করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত সময়ের হাতে।