ব্রু শরণার্থীরা কি এবার পাবে তাদের আশ্রয়?
ব্রু শরণার্থীরা দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে শরণার্থীর জীবন কাটিয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে বিজেপি। রাজ্যের ১২ টি জায়গায় ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধলাই জেলার আমবাসার হাদুকলইয়ে ব্রু পুনর্বাসন কেন্দ্রে আয়োজিত জন সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে কাজ পঁচিশ বছরে বামেরা করে দেখাতে পারিনি, এক বছরের মধ্যে সেটাই করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। রাজ্যে ব্রুরা খুব সমস্যায় ছিল। শরণার্থীর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। বিদ্যুৎ ছিলনা, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। ছিলনা রোজগার। ছিলনা স্বাস্থ্য সুবিধা। অথচ গরিবের সরকার বলে প্রচার করা লাল ভাইয়েরা রিয়াং শরণার্থী সমস্যার সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি। দীর্ঘ সময় শাসন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের ব্রু শরণার্থীদের প্রতি তাদের কোন দরদ ছিল না। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাই করেনি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছে। ১১ টি পুনর্বসন শিবিরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ কোটি টাকার সফল বাস্তবায়ন দেখে খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন রাজ্যের বারটি জায়গায় রিয়াংদের পুনর্বসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ টি জায়গায় পুরোপুরি ভাবে কাজ শেষ হয়েছে। ১২ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্র শান্তিরবাজারে কাজ চলছে, এবং শীঘ্রই শেষ হবে তা। রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে তার পুরোটাই বাস্তবায়িত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ৬৯৩৫ ব্রু শরণার্থী পরিবারকে রাজ্যে পুনর্বাসন দেয়া হয়েছে অর্থাৎ ৩৭ লক্ষ ৫৮৪ জন ব্রু জনজাতি ওই সব পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আখাউড়াখালের জল পরিশোধন প্রকল্প রয়েছে। তিনি ব্রুহাপাড়ায় এক কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এস বি স্কুলের উদ্বোধন করেছেন। ব্রুহা পাড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। ব্রুহা পাড়ায় ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গড়ে উঠা নতুন মার্কেটের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ৬৩৫ কোটি টাকার বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে আগরতলার সেন্ট্রাল ডিটেকটিভ সেন্টার, আমবাসার নতুন মহকুমা শাসক ভবন। উনিশ কোটি টাকা ব্যায়ে গন্ডাতুইসা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন রয়েছে। ৩৬ কোটি টাকা ব্যায়ে জিরানিয়ায় রেল ব্রিজ তৈরি করার শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।