কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিংহের এলাকায় দাড়িয়ে কংগ্রেসকেই চেলেঞ্জ করলেন সি.পি.এম?
কংগ্রেসের সাথে মধুচন্দ্রিমা যুগের অবসান৷ এবার সিংহের এলাকায় দাড়িয়ে সিংহকেই চেলেঞ্জ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। সিপিএমের ভোটে জয়ী হয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধেই কুৎসা রটাচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিনহা। বীরজিতের খাসতালুকে দাড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। জীতেনবাবুর বক্তব্য বৃহত্তর স্বার্থে সি.পি.আই.এম দল ২০২৩ সালে কৈলাসহরে নিজেদের দলের বিধায়ককে প্রার্থী না করে কংগ্রেস দলের প্রার্থী বীরজিত সিনহাকে সমর্থন করে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে সি.পি.আই.এম দলের কর্মীরা ভোটে জয়লাভ করানোর পর কংগ্রেস দল বর্তমানে সি.পি.আই.এম দলকে নিয়ে নানান অসামাজিক মন্তব্য করছে। তিনি স্বীকার করেছেনগত আগস্ট মাসে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সি.পি.আই.এম দল ছাড়া গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারতো না কংগ্রেস। উল্টো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ করেছেন জীতেনবাবু৷
গত বিধানসভা ভোটে তিপ্রামথার সমর্থন পেতে রাজবাড়ীতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন জীতেনবাবু। ভোটের দিন পর্যন্ত তার আশা ছিল প্রদ্যুত তাদের নিরাশ করবে না৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ জীতেনবাবু তো বটেই মানিক সরকারও বুঝতে পারেন নি প্রদ্যুত বিরোধীদের ল্যং মারবে। প্রদ্যুতের কুটচালে বেসামাল হয়ে পড়া মানিকবাবুরা এখন বুঝতে পারছেন প্রদ্যুত প্রতারক। মানিক সরকারের বিস্ফোরক বক্তব্য , রাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন রাজন্য আমল দেখেছে, কংগ্রেসের ত্রিশ বছর দেখেছে, সি.পি.আই.এম দলের ১০ বছর দেখেছে, সন্ত্রাসবাদীদের সাথে কংগ্রেস দলের ৫ বছর দেখে সাধারণ মানুষ আবার রাজ্যে সি.পি.আই.এম দলের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো। তার মানে ফের কংগ্রেসের সাথে সন্ত্রাসবাদী যোগের অভিযোগ করলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদীদের সাথেই গত বিধানসভা ভোটে গাটছড়া বেঁধেছিল সিপিএম৷ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ হচ্ছে না দেখে এখন রং পাল্টাতে শুরু করেছে বাম নেতারা৷