স্মার্ট সিটিতে সক্রিয় মক্ষিরানী চক্র
স্মার্ট সিটির বিভিন্ন হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাড়ায় এখন মক্ষী রানিদের ঠেক। খদ্দের ধরতে এজেন্ট নিয়োগ করেছে মাসিরা৷ কলেজ ছাত্রী থেকে গৃহবধূ, বাড়তি কামাইয়ের নেশায় ঠেকগুলোতে নাম লেখাছে৷ এখানেই শেষ নয়, শহরের বুকে গত পাঁচ মাসে সাতটি ম্যাসেজ সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। একাধিক ম্যাসেজ সেন্টারে বেলেল্লাপনা। একাংশ বিউটি পার্লার, ম্যাসেজ সেন্টারের নামে যে স্মার্ট সিটিতে বেলেল্লাপনা চলছে তা পুলিশেরও গোচরে রয়েছে। কিন্তু কোন অভিযান নেই। বাম আমলের শেষ দিকে কৃষ্ণ নগরের আম্বা সাম্বা ত্রীং – অভিযানের পর পুলিশ এসব বেলেল্লাপনা রুখতে কোন অভিযান করেছে বলে জানা নেই কারোর। শহরের রামনগরের বিভিন্ন গলিতে একাধিক ঠেক৷ পাঁচ মাস পর পর ঠেক বদল করে মাসিরা ব্যাবসা জম্পেস করে তুললেও পুলিশের কোন অভিযান নেই। শহরের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই আছে মাসিদের একাধিক ঠেক। প্রতিটি ঠেকের কামাই একেবারে মন্দ নয়। অনেকটা ফিল্মি কায়দায় কামাই করছে মাসিরা। রাজধানীর ভাটি অভয়নগর, সেভেনটি নাইনটিলা, কৃষ্ণনগর, কবিরাজটিলা বা প্রতাপগড় ব্রিজের নিচে মাসির ঠেক চলছে রমরমিয়ে। স্কুল, কলেজের একাংশ ছাত্রীদের দিয়ে চলছে ঠেক গুলো। রাজধানীতে রেড লাইট জোন না থাকলেও এই সব ঠেকগুলো অনেকটা রেড লাইট জোনের কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের কাছে এই খবর নেই। কেউ বিশ্বাস করবেনা। পুলিশ, হোটেল মালিক আর মাসিদের ত্রিবেণী সংগমে চলছে ঠেক গুলো। সবারই কামাই হচ্ছে। আর সবাই একে অপরের পরিপুরক। এতে সমাজ বা সংস্কৃতি উচ্ছন্নে গেলে তাদের কিবা যায় আসে। টু পাইস কামাই হলেই হল। রামনগর, অভয়নগর, কৃষ্ণনগর, প্রতাপগড় ঝুলন্ত সেতুর কাছে একাধিক ঠেক৷ বাড়ি ভাড়া করে ঠেকগুলো চলছে। যেন রেড লাইট এলাকা। কোথা বিউটি পার্লার আবার কোথাও ম্যাসেজ সেন্টারের নামের আড়ালে পরিচালিত হচ্ছে ঠেকগুলো।
মাস কয়েক আগে আগরতলা রেল স্টেশন সংলগ্ন এক হোটেলে দুদিন রেখে রোহিঙ্গা যুবতীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় এক মৌলবাদী নেতা৷ এই ঘটনার পরেও রেল স্টেশন সংলগ্ন হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ায় নি পুলিশ। বাধারঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন একাধিক হোটেলেও চলছে অশ্লীলতার ব্যাবসা। তাতে রোজগার অনেক বেশি বলেই জানিয়েছেন একাধিক হোটেল ব্যাবসায়ী। এর বিনিময়ে অবশ্য কিছু পুলিশ কর্মীদের কামাই মন্দ নয়। ফলে পুলিশের কাছে খবর থাকলেও নেই কোন অভিযান। স্টেশন চত্বরের কিছু হোটেলে অধিক রাত পর্যন্ত চলে বেলেল্লাপনা। এলাকার মানুষ পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশের কোন অভিযান নেই। বটতলা ফাড়ির নাকের ডগায় যেভাবে বছরের পর বছর ধরে হোটেলগুলোতে চলছে বেআইনি বার, যেভাবে ফাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে রাত ১২ টা পর্যন্ত ওপেন মদ বিক্রি হয় তেমনটাই একাংশ হোটেলগুলোতে চলছে অশ্লীলতার খোলামখোল্লা ব্যাবসা। একাধিক হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালোবাসার প্রথম পর্বেই একাংশ কপোত-কপোতীরা হোটেল খুঁজতে শুরু করে। এখন সামাজিক মাধ্যমেই বেশিরভাগ যুবক যুবতীর প্রেম জন্মায়। ভালোবাসা গভীর হতেই হোটেলের সন্ধানে বেরিয়ে পরে। তখন হোটেল ভাড়া কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। চাই একান্তে কাটানোর জায়গা। মওকা পেয়ে হোটেল মালিক চেয়ে বসে চরা মুল্য। তাতে কুচ পড়ুয়া নেহি। অপরদিকে শহরের কিছু স্কুল ও কলেজ ছাত্রীর সাথে কিছু হোটেল মালিকের যোগাযোগ রয়েছে। হোটেল মালিকের চাই রুমের চড়ামুল্য, আর স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের চাই টাকা। মা – বাবাদের দেওয়া টাকায় বর্তমান যুগে চলা কষ্টকর। অর্থাৎ ভোগবাদী মানসিকতা। আর এই মানসিকতার কারনে কিছু উঠতি মেয়েরা তাদের মা বাবাদের চোখের আড়ালে বেলেল্লাপনার ব্যাবসায় মেতেছে। একাংশ হোটেলগুলো অশ্লীলতার নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়ে রোজগারে মেতেছে তারা। হোটেল থেকেও নির্ভরশীল খদ্দেরদের সাপ্লাই করে ভালো কামাই হচ্ছে। স্মার্ট সিটিতে সব কিছুই এখন খোলামখোল্লা।