দীপাবলির প্রাক মুহূর্তে পুলিশ এবং টিএসআর জোওয়ানদের জন্য রেশন ভাতা বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মহাকরণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এখবর জানান। তিনি জানান, টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকর্মীরাও এখন থেকে দু হাজার টাকা করে রেশন মানি পাবে। পোশাক এলাউন্স ও বাড়ানো হয়েছে। টিএসআর জোওয়ানরা এতদিন পোষাক এলাউন্স বাবদ ১০ হাজার টাকা করে পেতেন। এখন ১২ হাজার টাকা করে পাবেন। একইভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা পুলিশ কর্মীদের পোশাক অ্যালাউন্স ২০০০ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৯৫০০ টাকা করা হয়েছে । এতদিন পুলিশকর্মীরা সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পোষাক এলাউন্স পেতেন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টিএসআর এবং পুলিশ কর্মী মিলিয়ে ২১ হাজার ৭৫৪ জন জওয়ান উপকৃত হবেন। পুলিশ ও টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আর বছরে খরচ হবে ২৬ কোটি ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১২৫ জন ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার নিয়োগ করা হবে। অন্যদিকে যুব কল্যাণ এবং ক্রীড়া দপ্তরের অধীন ৭৫ জন পি আই তথা ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা হবে। ক্রীড়া দপ্তর এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীন মোট ২০০ জন ক্রিয়াশিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। খেলাধুলার মান উন্নয়ন, কোচিং সেন্টার গুলোর মান উন্নয়নে ক্রীড়া শিক্ষকরা আগামী দিনে ভূমিকা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান মৎস্য দপ্তরে গ্রেড ওয়ান অফিসার তথা টি এফ এফ এসএর শূন্য পদ পূরণ করা হবে। অতি দ্রুত টিপিএসসির মাধ্যমে ৫৩ জন টিএফএফএস নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন।
এদিকে; ত্রিপুরা রাজ্যে শুধুমাত্র নার্স এবং আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরাই একমাত্র নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান করে সরকারি কর্তব্য পালন করে থাকেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশনামার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকার আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; ঠিক সেই অর্ডারেই নার্সদের ভাতা বৃদ্ধির অনুমোদন ও করা ছিল।
কিন্তু নার্সদের বঞ্চিত রেখে শুধুমাত্র আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের জন্য ই এই অর্ডার কার্যকর করলেন রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী। উল্টো রাজ্যের নার্সদের পোশাক এবং পোশাক পরিস্কার রাখার জন্য মাসিক মাত্র ১৫০ টাকা ভাতা দেয়া হতো, তাও বন্ধ করে দিয়েছেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী।
নার্সদের হ্যাজার্ড এলাউন্স, যা তারা বহুদিন ধরে দাবি করে আসছিল তা আজও তারা পায়নি। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় সব সরকারি পদেরই পদোন্নতি হয়েছে, একমাত্র নার্সদেরই কোন পদোন্নতি আজও হয়নি । কোন অলৌকিক কারণে আমাদের রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী, নার্সদের প্রতি এই দ্বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন তা নার্সদের বোধগম্য হচ্ছে না।