susanta chowdhury

পর্যালোচনা বৈঠকে; খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জানালেন – “আগরতলা পুরনিগম এলাকার সমস্ত রেশন কার্ডগুলিকে ই-কেওয়াইসি করার কাজ শীঘ্রই সম্পন্ন হবে”

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আগরতলা পুরনিগম এলাকার সমস্ত রেশন কার্ডগুলিকে ই-কেওয়াইসি করার কাজ সম্পন্ন করা হবে। তাছাড়া আধার সম্বলিত পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম চালু করা হবে। পরবর্তী সময়ে ২০২৫ সালের মধ্যে সারা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। আজ খাদ্য ও জনসংভরণ এবং ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচিতে সাহায্য করবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি)। পর্যালোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী দপ্তরের কর্মীগণকে সেই লক্ষ্যে তাদের কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পর্যালোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী জানান, নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি মাসের ৫ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে রেশন ডিলারদের রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে। যাতে সঠিক সময়ে সুবিধাভোগীগণ রেশন সামগ্রী পেতে পারেন। তিনি খাদ্য পরিদর্শকদের এই বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেন। রাজ্যের বাজারগুলির জন্য দ্রব্যমূল্যের শীঘ্রই দ্রব্যমূল্যের চার্ট সহ একটি জেলাভিত্তিক ক্যালেন্ডার তৈরী করা হবে।
পর্যালোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ২০৬৭টি নায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। সুবিধাভোগী পরিবার রয়েছে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার ২৯৭টি। তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবার যাতে সঠিক সময়ে পন্যসামগ্রী পায় তা নিশ্চিত করা খাদ্য দপ্তরের প্রত্যেক কর্মীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি তাদের সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিক ভাবে পালন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, খাদ্য পরিদর্শকগণকে রেশন দোকানগুলি নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। সেইসাথে ‘জাগো গ্রাহক জাগো’ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভাও করা হবে। সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচির কাজে যুক্ত কর্মীগণকে খাদ্যমন্ত্রী প্রত্যেক জেলার কৃষি মহকুমা ও তত্ত্বাবধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ও বিডিওদের সাথে কথা বলে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের সময় ও স্থান নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও জনসংভরণ এবং ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার এবং দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। পর্যালোচনা সভায় রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়, পেট্রোল, ডিজেল সঠিকভাবে সরবরাহ করা এবং রেশন সামগ্রী সঠিক সময়ে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *