বিধানসভার

বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে কি রয়েছে কোন নতুন চমক?

বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী ১০ তারিখ থেকে। এটি হবে ত্রিপুরার ত্রয়োদশ বিধানসভার ষষ্ঠ অধিবেশন। আজ বিধানসভায় আয়োজিত বিজনেস এডভাইজারি কমিটির বৈঠকে এই অধিবেশনের যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের পৌরহিত্যে আয়োজিত এই বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছে, অধিবেশন চলবে তিনদিন। বছরের প্রথম অধিবেশন হওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে অধিবেশনের কাজ। অধিবেশনের প্রথম দিন, শুক্রবার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি ভাষণ প্রদান করবেন। এছাড়া বিএসসির বৈঠকে নির্ধারিত কর্মসূচি মতাবেগ পরিষদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, তিন দিনের এই অধিবেশনে দুটি বিল উত্থাপিত হবে। বিল গুলির মধ্যে বিধানসভার সদস্যদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রতন লাল নাথ। এছাড়াও থাকবে প্রশ্নোত্তর পর্ব সহ রাজ্যপাল প্রদত্ত ভাষণের উপর আলোচনা। শ্রীনাথ জানিয়েছেন, রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বিশেষ কোন কর্মসূচি না থাকার কারণে অধিবেশন তিন দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মার্চ মাসের মধ্যেই পরবর্তী অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। সেই অধিবেশনে পেশ করা হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এদিন বিজনেস এডভাইসারি কমিটির বৈঠকে সব দলের সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীনাথ। তিনি বলেন সর্বসম্মতিক্রমে অধিবেশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে।

রাজ্যে

রাজ্যে পরিবর্তন হলো মুখ্য তথ্য কমিশনারের মুখ!

রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসেবে শপথ নিলেন অবসরপ্রাপ্ত আই এফ এস অফিসার বিনয় শংকর মিশ্র। রাজভবনে আজ সকালে এক অনুষ্ঠানে নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু। রাজ্যপালের অফিস কক্ষে আয়োজিত এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালের সচিব ইউ কে চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা শাসক ডাক্তার বিশাল কুমারসহ অন্যান্য আধিকারিকরা। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। শেষে রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার বিনয় শংকর মিশ্রকে করমর্দন করে শুভেচ্ছা জানান।

অবৈধ

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে অটোর রোডম্যাপ

অবৈধ অর্থের বিনিময়ে প্রাপ্ত পারমিট বাতিল করবে পরিবহন দপ্তর; আগরতলা পুরো নিগম এলাকায়। আগরতলা পুরো নিগম এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ রয়েছে। তারপরেও পরিবহন দপ্তরের সক্রিয় একটি চক্র পেছনের দরজা দিয়ে অবৈধভাবে পারমিট পাইয়ে দিচ্ছে। গত ২৫ ডিসেম্বর জিবি – বণিক্য চৌমুহনি রুটের অটোচালকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তারা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছিল। কিভাবে অন্যরুটের অটোগুলো জিবি বণিক্য চৌমুহনি রুটে চলাচল করছে। কে পারপিট দিচ্ছে। প্রশ্ন তুলেছিল তারা? পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নজরে পড়ে বিষয়টি। তার নির্দেশে পরিবহন দপ্তর অটোরিকশা মজদুর সংঘের নেতৃত্বদের ডেকে মঙ্গলবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেয় এবং কে বা কারা পারমিট দিয়েছে বা দিচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে। জিবি এবং বণিক্য চৌমুহনী রুটে অবৈধভাবে দেওয়া পারমিট গুলো বাতিল করা হবে বলে পরিবহন দপ্তর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে অটো রিক্সা মজদুর সংঘের পশ্চিম জেলার সাধারণ সম্পাদক লিটন মোদক জানিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে আগরতলা শহরের সর্বত্র শর্ট পারমিটের অটোগুলো চলাচল করার কারণে ইদানিং যানজট বেড়েছে। রুট পরিবর্তন করে কি করে তারা শহরের রাস্তায় চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ট্রাফিক বা পরিবহন দপ্তরের কোন ভূমিকা নেই। বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকেও অটোগুলো এসে শহরের রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছে। রাজ্য সরকার বলছে পুরনিগম এলাকায় অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পারমিট প্রদান বন্ধ হলে বিভিন্ন রূটে কিভাবে প্রতিদিন যাত্রীবাহী অটোর সংখ্যা বাড়ছে। তার মানে পরিবহন দপ্তরে একটা চক্র সক্রিয়। বাম আমলের মত রাম আমলেও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য পারমিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।

পরিবহন দপ্তর পারমিট না দিলেও অর্থের বিনিময়ে অটোর রোড ম্যাপ পরিবর্তন হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ অটো চালকদের অন্য রুটের পারমিটপ্রাপ্ত অটোগুলো শহরে বেআইনিভাবে চলাচল করছে। এতে করে প্রতিদিন শহরে যানজটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কি করে শর্ট পারমিটের যাত্রীবাহী অটোগুলো শহরের রাস্তায় চলাচল করছে, সেটাই প্রশ্ন। আবার পরিবহন দপ্তরে একটি চক্র গজিয়েছে। মোটা টাকার বিনিময় রুট পারমিট চেঞ্জ করে দিচ্ছে। এরকম অভিযোগ ও উঠেছে। আগরতলা পৌর নিগমে অটোর পারমিট প্রদান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তারপরেও কি করে প্রতিদিন শহরে অটো বাড়ছে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। গত কয়েক মাস ধরে অটো চালকরা লক্ষ্য করছে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে দিন দিন অটোর ভিড় বাড়ছে। কোথা থেকে এলো এত অটো। অটো গাড়ির পারমিট না দেওয়ার পরেও কিভাবে এলাকায় অটোর সংখ্যা বাড়ছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এগুলি খয়েরপুর, রাজচন্তাই, রানীর বাজার, মোহনপুর, জিরানিয়া, আনন্দনগর সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটো। শর্ট পারমিটের অটোগুলির কারণে জিবি থেকে বণিক্য চৌমুহনী রোডে চলাচলকারী অটো চালকরা অসন্তুষ্ট। কারণ তাদের পেটে লাথি পড়ছে।শহর এলাকায় অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ থাকলেও কি করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের অটোগুলো শহরে চলাচল করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অটোচালকরা। এতে করে জিবি – বণিক্য চৌমুহনী রুটের পারমিট প্রাপ্ত অটো চালকরা প্রতিদিন মার খাচ্ছে। তাদের রোজগার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

মূলবৃদ্ধির বাজারে পরিবার প্রতিপালন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাদের প্রশ্ন শহরে অটোর পারমিট প্রদান বন্ধ তারপরেও কিভাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন অটো শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। টাকার বিনিময়ে রুট পরিবর্তন করে পারমিট নিয়ে নিচ্ছে একাংশ অটো চালক। এমনটাই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন অটো চালকরা। পরিবহন দপ্তরে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় গত এক বছরে খয়েরপুর থেকে রাজচন্তাই, চন্দ্রপুর থেকে আনন্দনগর এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার অটোর রোডম্যাপ করে দেওয়া হয়েছে জিবি থেকে বনিক্য চৌমুহনী পর্যন্ত। তাদের বক্তব্য শুধু জিবি – বনিক্য চৌমুহনি রুটই প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ টি অটো চলাচল করে। গত কয়েক মাসে এই সংখ্যাটাও বেড়ে গেছে। এখন শতাধিক যাত্রীবাহী অটো এই রুটে চলাচল করছে বলে অটো চালকরা জানিয়েছেন। তারা জানান, এখন প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতে অটোচালকদের হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর রয়েছে টমটম, ই-রিক্সার দাপট। যেভাবে বেআইনি অটোর সংখ্য বাড়ছে তাতে আগামী দিনে এই রুটের অটো চালকদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করতে হিমসিশ খেতে হবে। কোন ধরনের আগাম নোটিশ জারি না করে মোটা অর্থের বিনিময়ে বাঁকা পথে রোড ম্যাপ পরিবর্তন করার পারমিট দিয়ে চলেছে বলে পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অটো চালকরা। তবে পরিবহন দপ্তরের ভুমিকায় খুশি অটো চালকরা।

2025

2025 শুরুর সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর

2025 শুরুর সাথে সাথে চলার পথে আমরা এগিয়ে গেলাম আরো একটি বছর। ২০২৪ এর ঘড়ির কাটা ১২টা অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে চলে এলো আরও একটি বছর। আরও একটি বছর হারিয়ে গিয়ে শুরু হলো নতুন বর্ষ গণনা। সব ব্যথা-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন আলোর প্রত্যাশায় সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যেও বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বছরকে। স্বাগতম ২০২৫। পুরনো বছরের যা কিছু মলিনতা সমস্তটাই পিছনে ফেলে নতুন আশা এবং নয়া উদ্যম নিয়ে 2025 সালে পদর্পণ। একবিংশ শতাব্দিতে যুক্ত হল আরও একটি নতুন বছর। এদিকে, শব্দবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নতুন বছর বরণ করছে রাজধানীবাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে 2025 সালকে স্বাগত জানানো হয়। আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে শহরের আকাশ। এর সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ, আকাশে শত শত ফানুস। সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ছিল সবকিছুই। নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা থাকে নাগরিকের। কারণ অতীতের পথ ধরেই সাজাতে হয় বর্তমান। আর সেজন্যই অতীতকে মনে রাখতে হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২৪ একটি ঘটনাবহুল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে বছরটির কথা মনে থাকবে অনেক দিন। ২০২৪ সালে আমরা যেমন হারিয়েছি অনেক, তেমন প্রাপ্তি যোগও রয়েছে।

বছরের শেষ দিনে আগরতলার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যুবক যুবতীদের বা টিনেজারদের এতটা ভিড় ছিল না। গভীর রাত পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল রাজধানী আগরতলা। তবে রাত ১২ টার পর শহরের বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ি নিয়ে দাপাদাপি করতে দেখা গেছে কিছু যুবকদের। তবে হোটেলগুলোতে রকমারি আয়োজন ছিল। বছরের শেষ রাতে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক ছিল পুলিশ। অধিক রাত পর্যন্ত আগরতলা সিটি সেন্টার সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নজরদারি ছিল। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের সর্বত্র বছরের শেষ দিনটি ভালই ভালই কেটেছে। শহরের বেশকিছু ক্লাব ও সামাজিক সংস্থা নিজেদের মত করে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। হয়েছে পিকনিকের আয়োজন। পাশাপাশি রাত বারোটায় বাজি পটকা পুড়িয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন এই শহরের মানুষ।