বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ মন্ত্রীর আবেদন: নিজেই হয়ে উঠুন নিজের বিদ্যুৎ উৎপাদক, বাড়িয়ে তুলুন আয়, পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মাধ্যমে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলোর দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেই নিজেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি আবেদন জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সোমবার ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কর্পোরেট কার্যালয়ে পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার বিশেষ শিবিরে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এদিন আগরতলা পুর নিগম এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য সূর্য ঘর প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ, ব্যাংক ঋণ প্রদান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ভেন্ডার নির্বাচনের জন্য এক বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এক ব্যতিক্রমী দিকদর্শী ব্যক্তিত্ব। আগামী দিনে দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে এখন থেকেই তিনি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে চান। আগামী দিনে কয়লা শেষ হয়ে যাবে, গ্যাস শেষ হয়ে যাবে , ফলে প্রথাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাবে। সে কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার সূর্য শক্তিকে ব্যবহার করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার। শুধু তাই নয়, তিনি এক আশ্চর্য পরিকল্পনায় প্রতিটি পরিবারকে সরকারি ভর্তুকি সহ বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে গড়ে তুলে বিদ্যুৎ নিগমের কাছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রির মাধ্যমে উপার্জনের এক অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের পর এই সুযোগ থাকবে কিনা কে জানে? কিন্তু এর আগেই সরকারি ভর্তুকির সুযোগ নিয়ে পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার সুবিধা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার বিদ্যুৎ নিগমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এই বিশেষ শিবিরে বিদ্যুৎ মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব অভিষেক সিং এবং আগরতলা পুর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্পোরেটরগন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে উৎসাহী মানুষেরা এদিন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিড় জমিয়েছেন। এই বিশেষ শিবিরে সোলার প্যানেল প্রতিস্থাপনকারী সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন কোম্পানির লোকজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, কানারা ব্যাঙ্ক, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক এর আধিকারিকরাও এদিন উৎসাহী ব্যক্তিদের ঋণ মঞ্জুর করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনা করেন। যে প্রকল্পের লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুতের পরিকল্পনা। এখন পর্যন্ত দেশে ২০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে বিশেষ ক্যাটাগরি রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে এই রাজ্যের জনগণকে সূর্য ঘর প্রকল্পে উৎসাহিত করার জন্য ভর্তুকি বাড়িয়ে দেন। লক্ষ্য একটাই , বিদ্যুত বিলকে শূন্যে নামিয়ে আনা। এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে রতন বাবু আরো বলেন, এই প্রকল্পটি বাড়ির ছাদ, টিনের চাল কিংবা মাটিতেও পাটাতনের উপর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। প্রকল্পের লক্ষ্য হল, বাড়ির ছাদ কেন্দ্রিক সৌর বিদ্যুতের ক্ষমতা বাড়ানো এবং পরিবার গুলিকে তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম করা। গৃহস্থালী ক্ষেত্রে এই উদ্যোগটি ২০২৩-২৪ অর্থবছর (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ থেকে শুরু) থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে। এই সময়কাল পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি প্রদান করা হবে। এতে মোট আর্থিক ব্যয় হবে ৭৫,০২১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ভর্তুকির বিষয়টির ব্যাখ্যা করে রতন বাবু জানান, আবাসিক সেক্টরে প্রথম ২ কিলো ওয়াট ক্ষমতা সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট এর জন্য ভর্তুকি ৩৩ হাজার টাকা। প্রথম ২ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী ১ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকি মিলবে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা। ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৮৫,৮০০ টাকা। রেসিডেন্সিয়াল সেক্টরে ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে অর্থাৎ কিলোওয়াট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আর কোন ভর্তুকি মিলবে না। হাউসিং সোসাইটি/ রেসিডেনশিয়াল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এবং ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকেল চার্জিং এর ক্ষেত্রে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত সোলার প্যানেল বসাতে পারবেন। এ জন্য ভর্তুকি পাওয়া যাবে প্রতি কিলো ওয়াটে ১৯,৮০০ টাকা। প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ ৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত সৌর প্যানেল স্থাপন করতে পারবেন। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যে কোন ভোক্তা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কাছে বিক্রি করতে পারবেন বলেও মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন। তিনি জানান যে কোন ব্যক্তি তার নিকটবর্তী বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে প্রত্যেক আগ্রহী ব্যক্তিকেই ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ লিমিটেডের আধিকারিকরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন। মন্ত্রী জানান, এদিনের বিশেষ শিবিরের পর আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির করে নাম নথিভুক্ত করা হবে। এরমধ্যেই মোহনপুর পুর পরিষদের উদ্যোগেও বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপর শুরু হবে রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় এই শিবির। গোটা রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার আওতায় আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।

নার্সিং

নার্সিং পেশাকে; পেশা হিসেবে না দেখে সেবার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন

নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শপথ গ্রহণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনঅনুষ্ঠানে গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী জানান; রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। স্বাস্থ্য পরিষেবাকে গতিশীল করতে রোগীদের সেবাদানের পাশাপাশি রোগীদের পরিজনদের সঙ্গেও একটা ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে নার্সদের।

সোমবার আগরতলার আইজিএম হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আগরতলা সরকারি নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজে আইটি ল্যাবের ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, নার্সিংয়ের বিষয় আসলেই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা মনে আসে। নার্সিং পেশাকে পেশা হিসেবে না দেখে সেবার দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু সৈনিকদের নিজের সেবাদানের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেছিলেন তিনি। এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন যারা নিজের কাজের মাধ্যমে চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এমনই একজন ছিলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, যিনি নার্সিংকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। সারা বিশ্বে ১২ মে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিনে আন্তর্জাতিক নার্স (সেবিকা) দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর আজকের দিনটিও এই মহিয়সী নারীকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোন প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হতে হবে। তাদের সাথে ডাক্তার বাবুরাও রয়েছেন। নার্সরা তাদের সেবাদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করতে পারেন। কাজের কোন ধরণের বিকল্প নেই। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের আদর্শকে পাথেয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এই নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। মনে রাখতে হবে যে কাজ আমাকে দেওয়া হয়েছে সেই কাজটুকু একাগ্রতার সঙ্গে করে যেতে হবে। শুধুমাত্র রোগীদের সেবা দেওয়া নয়, রোগীদের পরিজনদের সঙ্গেও একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। পেশাগত ক্ষেত্রে যাওয়ার সময় যে প্রতিজ্ঞা আপনারা করেছেন সেই প্রতিজ্ঞার প্রতিটি শব্দ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এবার এই প্রতিষ্ঠানে ৪৯ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হলো। এরআগের বছর ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। ত্রিপুরা রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ১৯৫০ সালে ত্রিপুরায় নার্সিং প্রতিষ্ঠান শুরু হয়েছিল। যেটা গৌহাটি নার্সিং কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই নার্সিং প্রতিষ্ঠান সারা দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ১৯৯৪ এ এই প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরা নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে চলে আসে।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগে একটা বিএসসি নার্সিং কোর্সের সিট পাওয়া বিশাল ব্যাপার ছিল। আর আজ প্রায় ৫০টি আসন নিয়ে কলেজ শুরু হয়েছে। আগে ডেন্টালের জন্য একটা, মেডিকেলের জন্য ৫/৭টা আসন ছিল। কিন্তু এখন প্রায় ৪০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে রাজ্যে। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আরো ৫০টি আসনের জন্য আবেদন করেছে। এটা হলে মেডিকেলে আসন সংখ্যা প্রায় ৪৫০ হবে। ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়লে আমাদেরও উপকার হবে। আজ এখানে আইটি ল্যাব উদ্বোধন হওয়ায় সুবিধা হবে ছাত্রছাত্রীদের। প্রায় ১৫টির মতো কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ক্লাশ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। রাজ্যে একটি এইমস হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। ত্রিপুরায় কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের কথা আগে কেউ ভাবতে পারেন নি। আর ইতোমধ্যেই দুজন রোগীকে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। আগামীতে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডাঃ এইচ পি শর্মা, এজিএমসির প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ অনুপ কুমার সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ডাঃ সৌভিক দেববর্মা, আইজিএম হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডাঃ দেবশ্রী দেববর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

ত্রিপুরা

ত্রিপুরা রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হল সোমবার

ত্রিপুরা রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মোট ভোটার ২৮,৯১,০৮২জন। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনারের অনুমোদনক্রমে রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, তহশীল অফিস, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকের অফিস এবং জেলা নির্বাচন আধিকারিকের অফিসে দেখা যাবে। এছাড়াও ত্রিপুরা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর ওয়েবসাইটেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার প্রতিলিপি দেখা যাবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে রাজ্যে মোট ভোটার ২৮ লক্ষ ৯১ হাজার ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার চৌদ্দ লক্ষ-৫০হাজার ৭০৯ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ২৯৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৭ ৪ জন. সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ১১৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০৮৩০ জন এবং মহিলা ভোটার ২০৫ জন। খসড়া ভোটার তালিকা থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা থেকে চূড়ান্ত তালিকায় ২৬ হাজার ৬৭ জন ভোটার বেড়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১২২১৮ জন। মহিলা ভোটার বেড়েছে ১৪৩৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার বেড়েছে পাঁচ জন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ১২৪৩০ জন মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা ৩০৩৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪৭৬৬ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৫৬৩২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন একজন।

আগরতলায়

আগরতলায় Unacademy এর IIT, JEE প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি

আগরতলায় আসছেন Unacademy এর শিক্ষক Prashant Jain। গণিত অলিম্পিয়াড, আইআইটি (IITJEE) এবং মেডিকেল এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভারতের অন্যতম বিখ্যাত পরামর্শদাতা, শ্রীযুক্ত প্রশান্ত জৈন (পিজে স্যার)। তিনি আগরতলা আসছেন একটি “Motivational cum Interactive” সেমিনারে যোগদানের জন্য।

সেমিনারের মূল বিষয় হলো “How to build strong Mathematics” সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে এই জানুয়ারী মাসের ১৪ তারিখ সন্ধ্যা ৫.০০ টা থেকে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ভবিষ্যতে গণিত অলিম্পিয়াড এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (IITJEE) ও মেডিকেল এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি করতে ইচ্ছুক, তাদেরকে উক্ত সেমিনারে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। শ্রীযুক্ত প্রশান্ত জৈন (পিজে স্যার) IITJEE-2008 পরীক্ষায় সর্বভারতীয় রেঙ্ককিং-42 অর্জন করেছিলেন এবং 2012 সালে IIT Bombay থেকে কম্পিউটার সায়েন্স শাখায় স্নাতক হন। তিনি আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী হন এবং আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডে যোগ্যতা অর্জন করেন। শ্রীযুক্ত জৈন “জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড (IOQM)” এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক। শ্রীযুক্ত জৈন ভারতবর্ষের শিক্ষাজগতের মানচিত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, এবং উনি ভারতবর্ষের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় প্লাটফর্ম, “UNACADEMY”-র সাথে যুক্ত, শিক্ষাদানের প্রতি তার আবেগের সাথে গণিতে তার দক্ষতা ভারতবর্ষের শিক্ষা আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

পানীয়

পানীয় জলের এক ফোটার জন্য গিরিবাসীদের সংগ্রাম!

পানীয় জলের সমস্যা; আঠারোমুড়া পাহাড়ের ৪৫ মাইল এলাকারয়। প্রত্যন্ত এলাকার কচিকাঁচা শিশুরা অবাক জল সংগ্রহে জলের চাহিদা পূরণের দৃশ্য উঠে এলো খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন ১৮ মোরা পাহাড়ের পাদদেশের ১৮ মুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৫ মাইল এলাকা থেকে।

পানীয় জলের জন্য আজও প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতি গিরি বাসীদের নিত্যদিনের সংগ্রাম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলির মধ্যে এমন পাহাড়ি জনপদ এলাকার রয়েছে যেখানে পানীয় জলের জন্য প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চাতক পাখির মতন হন্যে হয়ে জলের উৎসের খোঁজে বের হতে দেখা যায় পানীয় জলের সংগ্রামীদের। ডান বাম কোন সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থতা বলা যায় অনেকাংশে। তবে যায় হোক না কেন জল ছাড়া জীবনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন অধরা। হোক সে জল হোক পরিশ্রুত কিংবা অপরিশ্রুত। জল হলেই হল। সব ধরনের জল যোগ্য ভেবে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আজও সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এমনই এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হল খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকমি আর ডি ব্লকের অধীন ১৮ মুড়া পাহাড়ের পাদদেশের এন এইচ-৮ সড়কের ৪৫ মাইল এলাকায় থেকে। দেখা গিয়েছে, এই এলাকারই দুই শিশু রাস্তার পাশে জমে থাকা নোংরা আবর্জনা মিশ্রিত জল সংগ্রহ করছে হাড়ি দিয়ে ড্রামের মধ্যে। শিশুটি জানায়, এই সংগ্রহ করা জল দিয়ে রান্নার কাজ, স্নানের কাজ সহ পানীয় জলের অভাব দূরীকরণ সাহায্য করে। এই বয়স থেকে জলের অভাব অনটন পরিলক্ষিত করে খুদে দুই শিশু পরিবারের জন্য নোংরা আবর্জনা মিশ্রিত রাস্তার পাশে জমে থাকা জলই সংগ্রহ করছে, কেবলমাত্র বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন রয়েছে তাই বলে।

তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উপজাতি জনপদ গুলিতে ধাপে ধাপে উন্নয়নের গতিধারা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ১৮ মোড়া পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় পা রাখলেই করুন দৃশ্য উঠে আসে। বেঁচে থাকার সংগ্রামে কত কিছুই করতে হচ্ছে জনজাতি গিরি বাসীদের।

রহিমপুরে

রহিমপুরে; মহিলা সহ একাধিক আহত,গুলিবিদ্ধ এক ছাত্র,ভাঙচুর কয়েকটি বাইক ও দোকান!

রহিমপুরে মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের তান্ডব । আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে এক নাবালক। বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত রহিমপুর সীমান্ত এলাকা।

সীমান্ত এলাকায় রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।রয়েছে বিএসএফের কড়া নজরদারি। তবে সীমান্তের উপারেও ভারতীয় ভুখন্ডে বসবাস করেন অনেক ভারতীয় নাগরিক। তাদের নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় আসা-যাওয়া।অধিকাংশ সময় বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। আবার মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও হয়। এই সীমান্তেই মদমত্ত বিএসএফ জওয়ান তাণ্ডব চালায়৷ ঘটনা ঘটে রবিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ। বক্সনগরের রহিমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ,রহিমপুরে ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওয়াজ মাহফিল। এই মাহফিলে রহিমপুর এলাকার মহিলা পুরুষ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। আশাবাড়ি বিওপির রহিমপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৫ ও ১৬৬ নম্বর গেটের মাঝামাঝি স্থানে ৪৯ নং ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত দুজন বিএসএফ জওয়ান নেশায় বুদ হয়ে বাজার এবং মূল রাস্তায় তাণ্ডব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যা দিয়েছে। প্রথমে নেশায় আসক্ত দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাজারের কাছে থাকা প্রায় সাতটি মোটর বাইক ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় এবং একটি দোকানে হামলা চালায় এবং দোকান ভেঙ্গে ফেলে। তাছাড়া দোকানের মালিক পরিতোষ সূত্রধরকে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে। তারপর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ধনু মিয়ার বাড়িতে ঢুকে ধনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। লাঠির আঘাত প্রতিহত করতে গেলে ধনু মিয়ার কন্যা নাসিমা আক্তারকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে এবং তার হাত ভেঙ্গে দেয় জওয়ানরা। এখানেই শেষ নয় এলাকার শফিউল ইসলামের একমাত্র নাবালক পুত্র ইমান হোসেনকে রাস্তায় পেয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ইমান হোসেন সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার শত শত মানুষ রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ঈমানকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ ইমান এবং নাসিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আগরতলার হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তাতে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী। রহিমপুর থেকে কয়েক শতাধিক যুবক এবং এলাকাবাসী মিলে কলমচৌড়া থানার সামনে এসে রাতে স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি অতিসত্বর নেশাগ্রস্থ দুই বিএসএফ জোয়ানকে আটক করে থানা নিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ তাদের থানায় নিয়ে না আসা হবে ততক্ষণ তারা এই ধরণায় বসে থাকবেন। ওসি নাড়ু গোপাল দেব আশাবাড়ি বিওপিতে রাতেই ছুটে যান এবং দুই জোওয়ান ও কোম্পানি কমান্ডার, পোস্ট কমান্ডারের বিরুদ্ধে থানায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমান আশাবাড়ি,কাঁটামুড়া, বক্সনগর বিওপিতে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা বিনা কারণে মানুষকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করছে। এই ধরনের হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী দিনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বলে তারা জানান। সোমবারে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

নরসিংগর

নরসিংগর এলাকার তপন শীলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ!

নরসিংগর এলাকায়, গত শনিবার রাতে আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ সিপিআইএম নরসিংগর লোকাল কমিটির সদস্য তপন শীলের বাড়িতে কতিপয় বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্ত শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির দেওয়ালে বড় গর্ত হয়ে যায় এবং কয়েকটি ফাটল ধরে। গোটা এলাকা কম্পিত হয়ে ওঠে।বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে তপন শীল এর কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়ে।সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানালেও পুলিশ সকালে আসে। এখন পর্যন্ত কোন গ্রেপ্তার নেই।

আজ সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণব দেববর্মা, মহকুমা কমিটির সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ, বড়জলা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ সরকার, বামুটিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক নয়ন সরকারসহ পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তপনশীল এর বাড়িতে গিয়ে ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং তপনশীলের পরিবারের পাশে থাকার বলেন । তখন ঘটনাস্থলে তপনশীল এর প্রতিবেশীরাও জড়ো হন। নেতৃবৃন্দ এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন এবং প্রতিবাদ জানান। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা হীনতার উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যে আইনের শাসন কায়েম করার দাবি জানান । পাশাপাশি শান্তিকামী জনগণকে এই আক্রমণের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

বামেদের

বামেদের সমালোচনায় বীরজিত

বামেদের সাথে কংগ্রেসের মধুচন্দ্রিমার অবসান এবার কি অবশ্যম্ভাবী? রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ সি.পি.আই.এম দলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিত সিনহা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, দুজনেই সম্প্রতি কৈলাসহরে দলের সম্মেলনে প্রকাশ্যে বীরজিতের ভুমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন৷ তাদের বক্তব্য ছিল সিপিএমের ভোটে জয়ী হয়েও বীরজিত সিপিএমের সমালোচনায় মেতে উঠেছে।

কংগ্রেসের সাথে আসন রফার কারনেই সিপিএম সিটিং বিধায়ককে টিকিট দেয় নি৷ গত ১৭ ডিসেম্বর কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কংগ্রেস দল এবং বিধায়ক বিরজিত সিনহাকে নিয়ে আক্রমনাত্মক বক্তব্য রেখেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরজিত সিনহা এর পাল্টা জবাব দিলেন। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছিলেন , ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে জোট না হলে এবং সি.পি.আই.এম দলের কর্মী সমর্থকরা ভোট না দিলে বিরজিত জিততে পারতেন না এবং বিধায়কও হতে পারতেন না। এর উত্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, জোট না হলেও জিততাম। কৈলাসহর কেন্দ্র থেকে ছয়বার ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন পাঁচবারই সি.পি.আই.এম দলের প্রার্থীকে হারিয়ে ভোটে জিতেছেন। এই পাঁচবারের মধ্যে একবার এক সি.পি.আই.এম দলের মন্ত্রীকে এবং সি.পি.আই.এম দলের হিন্দু নেতাকে এবং দুইবার সি.পি.আই.এমের সংখ্যালঘু নেতাকে ভোটে হারিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালের ভোটে হারের কোনো সুযোগ ছিলো না। তাছাড়া রাজ্যে ২০১৮সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কৈলাসহর আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় দুই হাজার ভোটে লিড নিয়েছিলো। ২০১৯ সালে কংগ্রেস সি.পি.আই.এম জোট ছিলো না। ২০২৩ সালে জোট হয়েছে। কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। তবে জোট না হলেও জিততেন বলে জানান তিনি । জিতেনবাবু কৈলাসহরে যেভাবে বীরজিতের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানান। বিরজিত সিনহা জানান, জিতেনবাবু সতেরো ডিসেম্বর কৈলাসহরের দলীয় সভায় প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে মঞ্চে রেখে দীর্ঘ সময় বক্তব্য রাখার কারনে মানিক সরকার পরবর্তী সময়ে বক্তব্য রাখতে রাজি ছিলেন না। কারন, বেশির ভাগ দলীয় কর্মী সমর্থকরাই চলে গিয়েছিল।ফাঁকা মাঠে মানিকবাবু বক্তব্য রাখতে চান নি বলে জানান বীরজিত সিনহা। জিতেনবাবুর অহংকার হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । উনি একজন জনজাতি নেতা। ২০২৩সালের বিধানসভা ভোটে জনজাতি সংরক্ষিত আসনে না দাঁড়িয়ে সাব্রুমে সাধারণ আসনে দাঁড়িয়ে দুইশো থেকে আড়াইশো ভোটে জিতেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রদ্যোত কিশোর ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে সাব্রুম আসনে দলীয় প্রার্থী দিতো তাহলে জিতেনবাবু কত হাজার ভোটে হারতেন তা রাজ্যের সবাই জানে। সুতরাং বলতে হয় বলেছেন। সম্প্রতি আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসকে বিশ্বাসঘাতক বলায় পরবর্তী সময়ে সি.পি.আই.এম দলকে পরগাছা অর্থাৎ স্বর্নলতা বলেছিলেন বীরজিত। সি.পি.আই.এম দল দেশের কোথাও নেই। শুধু কেরলে আছে তাও লোকসভায় নেই, সামনে ওরা জিরো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন বীরজিত। ২০২৩সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সি.পি.আই.এম দল ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৪শতাংশ ভোট পেয়েছিলো। আর, কংগ্রেস দল ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৩৯শতাংশ ভোট পেয়েছে। কংগ্রেসই বিজেপি দলের সাথে সমানে সমানে লড়াই করে। অন্যদিকে সারা রাজ্যে বিজেপি চল্লিশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে জোট শরিক আই.পি.এফ.টি দলের এক শতাংশ ভোট যোগ করে একচল্লিশ শতাংশ হয়েছে।জিতেনবাবু তার বক্তব্যে উনার নিজের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও বিধায়ক বিরজিত সিনহা বলেন, সুধীর রঞ্জন মজুমদার রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং রাজ্যসভার ছয় বছরের সাংসদ ছিলেন। উনার বাড়িতে বাম আমলে মাত্র দুজন পুলিশ দেওয়া হতো। সুধীরবাবুকে কোন সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি ছিলো না তৎকালীন সি.পি.আই.এম সরকার। একটি করনিক পর্যন্ত দিতে চায়নি। সেইসময় কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে বিধানসভার স্পীকারকে বার বার বলার পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে, কিছুই দেওয়া হবে না। আর, এখন প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিলাসবহুল গাড়ি চড়েন। দ্বিতল বিশিষ্ট ডুপ্লেক্সে থাকেন। গাড়ির তেল কে দেয়? গাড়ির ড্রাইভারের বেতন কে দেয়? প্রশ্ন তুলেন তিনি।

২০২৪সালের আগস্ট মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এম দলের মধ্যে কোনো জোট হয়নি বলেও তিনি জানান। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ত্রিশংকু হবার পর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দল থেকে প্রধান এবং সি.পি.আই.এম দল থেকে উপপ্রধান হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে জিতেন চৌধুরী শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় সভায় এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস, বিজেপি এবং তিপ্রা মোথাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন এবং কুৎসা করে গেছেন। অথচ এর কিছুদিন পর জিতেন বাবুর নির্দেশ পেয়ে সি.পি.আই.এম দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা কংগ্রেস দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয় এবং বিজেপি দলের সাথে মিলে পঞ্চায়েত গঠন করে। এটা কি ধরনের নীতি হলো? এমনটাই প্রশ্ন বীরজিতের। কৈলাসহর শহরে এসে দলীয় মহকুমা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য জনসভায় যেভাবে কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং বিষোদগার করেছেন ঠিক সেইভাবে সাহস থাকলে আশারাম বাড়ি, রামচন্দ্রঘাটে কিংবা খোয়াইতে গিয়ে এভাবে প্রকাশ্য জনসভা করে দেখান বলে চেলেঞ্জ ছুড়ে দেন। কিছুদিন পূর্বে ধর্মনগরে তো প্রকাশ্য জনসভা করার সুযোগই পায়নি এবং অনুমতিও আদায় করতে পারে নি। জিতেনবাবু বলছেন সি.পি.আই.এম দলের জন্য কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে। অথচ, সি.পি.আই.এম দল পঞ্চায়েত ভোটে কৈলাসহরে ৯৯শতাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারে নি। সি.পি.আই.এম দলের দশজন বিধায়ক তাদের এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। কারন উনারা একেবারেই জনভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আগামী দিনে জিরো হয়ে যাবে সিপিএম।এমনটাই বলেন তিনি।

ত্রিপুরা

“ত্রিপুরা হামবগত আমি” এক নতুন বৈরী সংগঠন!

ত্রিপুরা রাজ্যে জন্ম নিলো নতুন বৈরী সংগঠন ‘ত্রিপুরা হামবগত আমি’। ফের অস্থিরতা শুরু হতে পারে রাজ্য সহ গোটা দেশে। এমনটাই সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। আতঙ্কিত সীমান্ত এলাকার মানুষ। নতুন বৈরী সংগঠনের চাঁদার রসিদ বিতরণ শুরু। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতে বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে বড়সড় ঘাঁটি গেড়েছে নতুন বৈরী সংগঠন। ত্রিপুরায় অশান্তি সৃষ্টির নীল নক্সার পর্দা ফাঁস করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে ৮০-র দশকে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী এটিটিএফ, এনএলএফটি, টিএনভি’র মতো বৈরী সংগঠনের অস্তিত্ব যখন রাজ্য থেকে মুছে গেছে ঠিক তখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সে দেশের কট্টরপন্থীরা নতুন করে উৎপাত শুরু করে দিয়েছে।

রাজ্যে নাশকতার জন্য নতুন জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৭২ জন জঙ্গিকে নিয়ে নতুন বৈরী দল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ওপারে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিপুরা হামবগ্রত আমি’। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থী জেহাদি সেনাদের এবং পাকিস্তানের সেনাদের কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় তিনটি শিবিরে এই ৭২ জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা জমানায় যেসকল সন্ত্রাসীদের জেলে পুড়ে দেওয়া হয়েছিলো সেইসকল জঙ্গিদের সাথেও নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশের জেহাদি এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের এজেন্টরা। যে তিনটি শিবিরে সন্ত্রাসবাদীরা অবস্থান নিয়েছে সেগুলি হলো জপুই, গর্জনপাশা এবং সিমুই।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর জম্পুই শিবিরে অবস্থান নিয়েছে ২৩ জন, গর্জনপাশা শিবিরে ২৭ জন এবং শিমুই শিবিরে ২২ জন।গোয়েন্দা সূত্রে আরো খবর, চলতি মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই রাজ্যের উত্তর জেলার আনন্দবাজার থানা এলাকার সীমান্ত দিয়ে বৈরী সংগঠনের সদস্যরা খাগড়াছড়ির পুরাতন জপুই এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে জঙ্গিরা এখন থেকেই ঠিকেদারদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিলি করতে শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি আনন্দবাজার এলাকার রিয়াং জনজাতি যুবকদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে জঙ্গি দলে টানার চেষ্টা করছে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। গোটা নীল নক্সা তৈরি করছে বাংলাদেশের জেহাদি গোষ্ঠী। বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও খবর উঠে আসছে। একেবারেই আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

এই অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। রাজ্যের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার দিকেও রাজ্য সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশের ওপার থেকে জানা গেছে, জামাত মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), সিমি, হুজির মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। তারা ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য নতুন জন্ম নেওয়া জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের পরিকল্পনা শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইউনুস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআই বড়সড় নাশকতার জাল বিস্তার করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু থেমে নেই অনুপ্রবেশের ঘটনা। এরমধ্যে রবিবার রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্য উঠে এসেছে। মূলত কাঁটাতারের বিভিন্ন জায়গায় কেটে রেখেছে সীমান্ত চোরা কারবারীরা সেই কাঁটাতারের বেড়া বাঁশ দিয়ে নামমাত্র বেধে রেখেছে বিএসএফ। ফলে এই সকল সীমান্ত ভেদ করে অনায়াসে এপারে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা পৌঁছে যেতে পারবে এতে সন্দেহ নেই।About Us

রাজ্য

রাজ্য সরকারের এক অভিনব প্রয়াস!

রাজ্য সরকারের খাদ্য, ভোক্তা বিষয়ক, পরিবহন ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তর; যৌথভাবে সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও ড্রাগসের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রী দের সচেতনতা তৈরিতে ‘জাগৃতি’ নামে এক অভিনব কর্মসূচী হাতে নিয়েছে । আজ মহাকরনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন ও খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই সংবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর জানুয়ারী ও ফেব্রয়ারী মাসে এই জাগৃতি কর্মসূচী পালন করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি ডিগ্রি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক কলেজ ও আটিআই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ভোক্তা সুরক্ষা, সড়ক নিরাপত্তা ও ড্রাগসের বিরুদ্ধে সচেতনতা মুলক ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে । আগামী ১১ ই জানুয়ারী উদয়পুরে – গোমতী জেলা, দক্ষিণ জেলা ও সিপাহীজলা জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে, ১৮ ই জানুয়ারী কুমারঘাটে – উত্তর ত্রিপুরা, উনকোটি ও ধলাইজেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এবং ২৭ শে জানুয়ারী আগরতলায় পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের নির্বাচিত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চুড়ান্ত পর্বের ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হবে আগামী ৮ ই ফেব্রুয়ারী আগরতলায়। খাদ্য ও পরিবহন মন্ত্রী বলেন, পরবর্তী সময়ে স্কুলস্তরেও এই সচেতনতামুলক কর্মসূচী সম্প্রসারনের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। পরিবহন মন্ত্রী জানান, পরিবহন ও ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর রাজ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ২২৬। এর আগের বছরে এই সংখ্যা ছিল ২৬১। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, খাদ্য অধিকর্তা সুমিত লোধ, স্কুল অব সায়েন্সের কর্নধার অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা ইনফো ডট কম- এর কর্ণধার জয়ন্ত দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।