বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন কি তাহলে ISI-এর ইশারায়??
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী আতাউল্লাকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ। এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, আতাউল্লাহ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর প্রশিক্ষিত এজেন্ট এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরের তরুণদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত করার গুরুদায়িত্ব পালন করছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, এবং বিশেষজ্ঞরা এটিকে পাক ISI-এর দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আতাউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ISI-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে সক্রিয় ছিল। তার প্রধান কাজ ছিল রোহিঙ্গা শিবিরের যুবকদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের দিকে ধাবিত করা এবং তাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাদক পাচার ও জঙ্গি কার্যক্রমে নিয়োজিত করা। বাংলাদেশে তার উপস্থিতি ও কার্যক্রম প্রমাণ করে যে, পাক ISI দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে চরমপন্থী কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আতাউল্লাহকে নিয়োগ করা হয়েছিল পাকিস্তান ISI এর তরফ থেকে। সে রোহিঙ্গা তরুণদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত করত এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন বেআইনি কার্যক্রম পরিচালনা করত। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সন্ত্রাসী চক্রের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে মাদক ও অস্ত্র পাচার করা এবং সেখানকার উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের পেছনে পাকিস্তানি ISI-এর প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে হাসিনা সরকারকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল পাকিস্তানি সংস্থা ISIএর তরফ থেকে। ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলাই ছিল এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাক ISI দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে পুনরায় পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। আতাউল্লাহর গ্রেফতারি সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি বড় প্রমাণ।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের বর্তমান স্বঘোষিত ইউনুস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত বড় একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের ফাঁস হওয়ার পরও ইউনুস সরকার নীরবতা পালন করছে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, ইউনুস সরকারের নিরবতা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তাদের কোনো না কোনো সংযোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারত এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এই চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে বলে খবরের প্রকার। বাংলাদেশ সরকার যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই ধরনের ষড়যন্ত্র আরও গভীর হতে পারে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে। পাক ISI-এর ষড়যন্ত্র রুখতে উভয় দেশকেই আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।