বিকাশের দিশায় ত্রিপুরা

মুখ্যমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য। ২০২৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রাজ্যকে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জনমুখী নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। সমাজের সকল অংশের মানুষের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে, রাজ্যের সার্বিক বিকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যেমন—

  • প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা: ৬.০৮ লক্ষ পরিবারকে ৩.০৮ লক্ষ মেট্রিক টন রেশন বিনামূল্যে বিতরণ।
  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা: ১,৮৩,৪৬১ দরিদ্র পরিবারকে পাকা ঘর প্রদান।
  • জল জীবন মিশন: ১,৮১,১৭৭ বাড়িতে নলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহ।
  • প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি: ২,৩৯,৮৭৫ কৃষককে ২৮৭.১৬ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা।
  • প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা: ৮১,৩৪৪ পরিবারকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ।
  • আয়ুষ্মান ভারত ও মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা: ২০.৫৬ লক্ষ লাভার্থী নিবন্ধিত, যার মধ্যে ৪.৩০ লক্ষ ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যবিমা সুরক্ষা প্রদান।
  • ধান ক্রয়: ৫৩,৯০৮ মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয়।
  • স্যানিটেশন: ৪২,৫১২টি বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ এবং ৪৩৬টি কমিউনিটি শৌচালয় স্থাপন।
  • বিদ্যুৎ সংযোগ: ৪২,৩৯৩ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান।
  • দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা: ১,১৯,৯৮৬ মহিলাকে নিয়ে ৯,০৬৬টি স্ব-সহায়ক দল গঠন। (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৫৩,৬২৩টি স্ব-সহায়ক দলে ৪.৮৪ লক্ষ জনকে যুক্ত করা হয়েছে)।

এর পাশাপাশি রাজ্যের জনকল্যাণমূলক সার্বিক বিকাশের ধারা অব্যাহত রেখে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গত ২১ ডিসেম্বর আগরতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি অধিবেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিঃ

  • নতুন ৫১ কি.মি. (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৪০৯ কি.মি.) জাতীয় সড়ক নির্মাণ।
  • উন্নততর রেল পরিষেবা এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি।
  • মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও বিমান চলাচলের সম্প্রসারণ।

চাকরি ও কর্মসংস্থানঃ

  • সরকারি চাকরি: স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে ৫,৯৭২টি সরকারি পদে নিয়োগ (২০১৮ থেকে মোট ১৭,৬৪৫টি নিয়োগ)।
  • আসন্ন নিয়োগ: ৮,২৫২টি নতুন পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু।
  • স্টার্টআপ পলিসি ২০২৪: যুবকদের স্বনির্ভর করতে নতুন উদ্যোগ।
  • শিল্পনীতি: নতুন শিল্পনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।

শিক্ষা ও যুব উন্নয়নঃ

  • জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন: শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ।
  • কলেজ ছাত্রীদের জন্য স্কুটি প্রদান: উচ্চশিক্ষায় নারীদের উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে স্কুটি বিতরণ।
  • স্বাস্থ্য শিক্ষা: নতুন মেডিকেল কলেজ ও উন্নততর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থা।

পর্যটন ও সামাজিক উন্নয়নঃ

  • পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আধুনিকীকরণ এবং পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
  • তপশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প।
  • শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের অর্থমূল্য দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি।
  • চতুর্পাক্ষিক চুক্তির অধীনে পুনর্বাসিত ব্রু পরিবারকে গৃহনির্মাণ, কর্মসংস্থান ও বিনামূল্যে রেশন সুবিধা প্রদান।

আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাঃ

  • নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে বিশেষ অভিযান।
  • দিব্যাঙ্গজন ক্ষমতায়ন নীতি চালু।
  • বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের সহায়তা।

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মাথাপিছু গড় আয় হয়েছে ১,৭৭,৭২৩ টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ছিল ১,১৩,০১৬ টাকা। ক্রীড়া পরিকাঠামোর সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়নের ফলে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় স্তরে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে। অবকাঠামো বিকাশ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে “এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা” গঠনের লক্ষ্য সফল হয়।About Us