শিক্ষার্থীদের জন্য সেন্ট্রাল লাইব্রেরী সপ্তাহে ৭ দিন!
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নতির কথা মাথায় রেখে ত্রিপুরা সরকার উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বীর চন্দ্র স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেকশনের পাঠাগার কক্ষ এখন থেকে সপ্তাহের সাত দিন খোলা থাকবে। ফলে পড়ুয়ারা, গবেষকরা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিপ্রার্থীরা যেকোনো দিন লাইব্রেরীর এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
আগে লাইব্রেরীর ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেকশন সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকত এবং সোমবার এটি বন্ধ থাকত। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সেকশনটি এখন সোমবারেও খোলা থাকবে। তবে লাইব্রেরীর অন্যান্য পরিষেবা বিভাগগুলোর ক্ষেত্রে সোমবারের ছুটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেকশনের পাঠাগার কক্ষই সপ্তাহের প্রতিদিন খোলা থাকবে, অন্য পরিষেবাগুলি আগের নিয়ম অনুযায়ী সোমবার বন্ধ থাকবে। বীর চন্দ্র স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরী ত্রিপুরার অন্যতম প্রধান গণগ্রন্থাগার, যেখানে রয়েছে বিশালসংখ্যক বই, গবেষণা সামগ্রী এবং ডিজিটাল সংস্থান। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সুবিধার জন্য এখানে রয়েছে—
বিভিন্ন বিষয়ের বই ও গবেষণা সামগ্রী: লাইব্রেরীতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর হাজার হাজার বই, পত্রিকা ও গবেষণা সামগ্রী সংরক্ষিত আছে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক গবেষণা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ডিজিটাল লাইব্রেরী সুবিধা: অনলাইন রিসোর্স ও ই-বুক সুবিধার মাধ্যমে পাঠকেরা যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন।
- ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেকশন: এই সেকশনে রয়েছে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বই, সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি সামগ্রী এবং পরামর্শদাতা পরিষেবা, যা তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
- শান্তিপূর্ণ পাঠাগার কক্ষ: গবেষকদের জন্য নির্দিষ্ট গবেষণা কক্ষ ও নিরিবিলি পাঠাগার কক্ষ রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিরবিচারে পড়াশোনা করতে পারেন।
- ইন্টারনেট ও কম্পিউটার সুবিধা: আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় লাইব্রেরীতে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও প্রজেক্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
- সাপ্তাহিক সেমিনার ও কর্মশালা: লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে নিয়মিতভাবে ক্যারিয়ার ও শিক্ষামূলক সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ত্রিপুরা সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে—
✔️ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন লাইব্রেরী ব্যবহার করতে পারবেন, যা তাদের একাডেমিক উন্নতিতে সহায়ক হবে।
✔️ যারা কর্মরত অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সময় অনুযায়ী লাইব্রেরীর সুবিধা নিতে পারবেন।
✔️ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিপ্রার্থীরা আরও বেশি সময় লাইব্রেরীর রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবেন।
✔️ গবেষক ও শিক্ষকদের জন্য গবেষণা সামগ্রী ও ডিজিটাল রিসোর্স ব্যবহার করার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ত্রিপুরা সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত সচিব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পরিবর্তিত সময়সূচি অবিলম্বে কার্যকর হবে। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের প্রতিদিন লাইব্রেরীর ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেকশনের পাঠাগার কক্ষ ব্যবহার করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও গবেষক মহল। তাদের মতে, লাইব্রেরীর এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ সপ্তাহে সাত দিন খোলা থাকার ফলে অনেকেই উপকৃত হবেন, বিশেষত যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন।