BMS এর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অশান্ত ধর্মনগর!
BMS এর নীতি “জনসেবা যে কর্ম আমাদের ধর্ম আমাদের মানবতা” ভুলে গিয়ে ধর্মনগর BMS কি ব্যস্ত লক্ষীরভান্ডার নিয়ে? ত্রিপুরার, ধর্মনগরে “BMS” (Bharatiya Mazdoor Sangh) এর রাজ্য নেতৃত্ব এবং “BMS” এর সর্বভারতীয় নেতৃত্ব অসীম দত্তের মধ্যে সংঘাতের কারণে, এলাকায় ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। কুবেরের শিষ্য, সর্বভারতীয় নেতৃত্ব অসীম দত্ত ব্যস্ত শুধু ধর্মনগর নিয়েই। তিনি BMS এর সর্বভারতীয় স্তরে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন তা একমাত্র BMS এর জাতীয় নেতৃত্বই বলতে পারেন। তবে ধর্মনগরের দায়িত্ব তিনি খুব ভালোভাবেই পালন করছেন; স্থানীয় BMS কে অগ্রাহ্য করে, লক্ষ্মী সন্ধানের উদ্দেশ্যে, তিনি গড়ে তোলেন আরেক BMS সংগঠন। এর ফলে এখন ধর্মনগরে BMS এর মোট দুটি গোষ্ঠী সক্রিয়; এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে যান চলাচল প্রায় স্তব্ধ; এর ফলে ভোগান্তির শিকার নিত্য যাত্রীরা। ধর্মনগর শহরের যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে রেল চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় বাস, ট্রাক, ছোট যানবাহন সহ রেল যাত্রীরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। ধর্মনগর স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখাযায় এবং একই কারণে অনেক ট্রেনের পরিষেবাও ব্যাহত হয়।
ধর্মনগর শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে, BMS এর কার্যালয় দখল করা নিয়ে। “BMS” এবং তার সাথে সম্পর্কিত তথাকথিত সংগঠন “BMS অসীম দত্ত মহাসংঘ” এর সদস্যরা স্থানীয় একটি রাস্তায় একে অপরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক এবং শ্রমিক-সংগঠন সম্পর্কিত তীব্র বিরোধ চলে আসছিল। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলে এবং কিছুদিন ধরে একে অপরের উপর আক্রমণ করতে তৎপর ছিল। ধর্মনগর শহরের সড়কগুলিতে সংঘর্ষের ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে স্থানীয় বাস, ট্রাক, ছোট গাড়ি সহ রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আন্দোলনকারীরা বাঁধা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে থাকে, তবে সংঘর্ষের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ধর্মনগরের রাস্তায় সংঘর্ষের কারণে বহু যানবাহন থমকে দাঁড়িয়ে থাকে, যার ফলে শহরের সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হয়। নিত্যযাত্রীরা বিশেষত যারা ধর্মনগর শহর থেকে অন্যান্য শহরে যাতায়াত করেন, তারা মারাত্মক সমস্যায় পড়েন। বাস, ট্যাক্সি ও ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাপক ভিড় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের সুবিধা প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, ফলে তাদের দীর্ঘ সময় ধরে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অশান্ত ধর্মনগর শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথে, তারা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা চালায়। তবে, সংঘর্ষের তীব্রতার কারণে পুলিশকেও পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছুটা সময় নিতে হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক এবং ক্ষোভ দেখা দেয়। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিত্যযাত্রীরা, এই সংঘর্ষের ফলে ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। যারা রেলপথে যাতায়াত করেন, তাদের অনেকেই সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি, যা তাদের জীবিকা অর্জনে প্রভাব ফেলছে। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন, যার ফলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া সড়কপথে যানজট এবং মানুষের অবাধ চলাচলে, জরুরি পরিষেবাগুলি যেমন এম্বুলেন্স এবং প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণেও বিঘ্ন ঘটেছে।
প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনী অশান্তি দমন করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পুলিশ বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, সংঘর্ষের কারণে কিছু এলাকায়, খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা বিশেষজ্ঞ মহলের। তবে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে গেছে। আগামী দিনে যদি এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ আরও বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের সম্ভাবনাও রয়েছে।