মন্ত্রী

‘মন্ত্রী বা বিধায়ক’ একদিনের জন্য হলেও, সারা জীবন পেয়ে যাবেন পেনশন!

মন্ত্রী-বিধায়করাই পারে একমাত্র তাদের নিজের বেতন নিজেই বাড়াতে। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রী, বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়কদের বেতন, ভাতা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে একটি সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, চিফ হুইপের বেতন, ভাতা, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত নবম সংশোধনী বিল অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়কদের বেতন ও ভাতা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতন লাল নাথ কর্তৃক বিধানসভায় উত্থাপিত বিল অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ৯৭,০০০ টাকা বৃদ্ধি পাবে, যেখানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সরকারি চিফ হুইপের বেতন ৯৪,০০০ টাকা থেকে ৯৬,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বিধায়কদের বেতন ৯৩,০০০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। বেতন ছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিধায়করা অন্যান্য ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আতিথেয়তা ভাতা, টেলিফোন ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা।প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন এবং পারিবারিক পেনশন যথাক্রমে ৩৪,৫০০ এবং ২৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৬,০০০ এবং ৪৮,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।নবম সংশোধনী বিলটিতে সমস্ত অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র একদিনের জন্যও দায়িত্ব পালনকারী সকল বিধায়কদের পেনশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০২২ সালে মন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, চিফ হুইপ, বিধায়কদের বেতন, ভাতা, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলিতে সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে, একজন বিধায়ক যদি কমপক্ষে সাড়ে চার বছর ধরে বিধানসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তবে তিনি পেনশন সহ অবসরকালীন সুবিধা পাবেন। এবার সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ উপ-মুখ্যমন্ত্রী, অন্য মন্ত্রী, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা, মুখ্যসচেতক এবং বিধায়কদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণভাবে বাড়ানো হয়েছিল । সে সময় বিধানসভায় আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথের আনিত নয়া সংশোধনী বিল অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ৫৩,৬৩০ টাকা, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ৫২,৬৩০ টাকা, অন্য মন্ত্রীদের ৫১,৭৮০ টাকা, বিরোধী দলনেতার ৫১,৭৮০ টাকা, অধ্যক্ষের ৫১,৭৮০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ৫০,৫১০ টাকা মুখ্য সচেতকের ৫১,৭৮০ টাকা এবং বিধায়কদের ৪৮,৪২০ টাকা বেতন নির্ধারিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য ভাতাও বাড়ানো হয়। বেতন বাড়ার পাশাপাশি বাড়ানো হয় পেনশনও। বিলের সংশোধনী মোতাবেক সে সময় নতুন পেনশন হয় ৩৪,৫০০ টাকা। অতীতে তা ছিল ১৭,২৫০ টাকা। সাথে অন্যান্যও ভাতাও বাড়ে সে সময়। পূর্বতন বাম সরকারের আমলে অন্তিমবার ২০১৬ সালে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বেড়েছিল। ওই বেতন বেড়ে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ২৬,৩১৫ টাকা, মন্ত্রীদের ২৫,৮৯০ টাকা, অধ্যক্ষের ২৫,৯৯০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ২৫,২৫৫ টাকা, সরকারি মুখ্য সচেতকের এবং বিরোধী দলনেতার ২৫,৮৯০ টাকা এবং বিধায়কদের ২৪,২০০ টাকা। সাথে অন্যান্য ভাতাও বেড়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে একলাফে দ্বিগুণ বেড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন-ভাতা।

এবার ফের মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য সংশোধনী বিল পেশ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী এর মৃদু প্রতিবাদ করেছেন৷ বন্যা জনিত পরিস্থিতি এখনো কাটিয়ে উঠা যায় নি।অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করন হয়নি৷ তাই এখন মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি স্থগিত রাখতে বলেছিলেন তিনি।