ট্রেন

ট্রেনের ধাক্কায় উদয়পুর রাজারবাগ এলাকার এক ব্যক্তির মৃত্যু

ট্রেন দুর্ঘটনা থামার নাম ই নিচ্ছে না। আজকাল ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গেছে। বিভিন্ন কারণে এই দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে, যেমন পুরনো ট্রেন ব্যবস্থা, ট্র্যাকের অবস্থা খারাপ হওয়া, কিংবা মানবসৃষ্ট ভুল। এসব দুর্ঘটনা অনেক পরিবারকে শোকসন্তপ্ত করছে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে।

উদয়পুর মহকুমার রাজারবাগ এলাকার বাসিন্দা দীপল দেবনাথ শান্তির বাজার মহকুমার বীরচন্দ্রনগর এলাকার মহানন্দ বৈষ্ণব পাড়ায় উনায় মেয়ের বাড়ীতে বেরাতে আসেন।মহানন্দ বৈষ্ণব পাড়ার রেলব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় উনার মেয়ের বাড়ী। বুধবার সকালবেলা রেললাইনের পাশে আহত অবস্থায় উনাকে দেখাযায়। সকালবেলায় আগরতলা থেকে সাব্রুমগামী রেলের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। দীপল দেবনাথকে এইভাবে রেল লাইনের পাশে পরে থাকতে দেখে শান্তির বাজার দমকল বাহিনীর নিকট খবর দেওয়া হয়। ঘটনার খবরপেয়ে দ্রুততার সহিত ঘটনাস্থলে উপস্থিতহয় শান্তির বাজার দমকলবাহিনীর কর্মীরা। দমকল বাহিনীর কর্মীরা দীপল দেবনাথকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপল দেবনাথকে দেখে মৃত বলে ঘোষনা করে। মৃতদেহ বর্তমান সময়ে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখাহয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সকাল বেলায় প্রাতভ্রমনে বের হয়ে ঘন কুয়াশার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারন জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জন্মদিনে

জন্মদিনে লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়ি ও মেলারমাঠ কালী মন্দিরে পূজা দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জন্মদিনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরন রিজেজু, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগণ।

মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, তার ৭৩ তম জন্মদিন আড়ম্বর করতে চাননি। তার জন্মদিনে কেক কাটা পছন্দ নয়৷ মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করুক দলীয় কর্মীরা৷ এটাই চান তিনি৷ তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে দলীয় কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে বিভিন্ন সামাজিক কাজ সংঘটিত করছেন। রক্তদান থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ফল মিষ্টি বিতরণ সহ নানা সামাজিক কর্মসূচি নেয় দল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নম্র ও পরিশ্রমী প্রকৃতির জন্য ত্রিপুরার জনগণের কাছে নিজেকে প্রিয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন রাজ্যের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন, তাঁর মনোযোগের জন্য দারুণ ফল পেয়েছে। তিনি যেন দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করেন তার কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহাকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।শুভেচ্ছা বার্তায় তারা বলেন, তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যের সর্বাত্মক উন্নতি হচ্ছে। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করেন তারা।

মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার জন্মদিন উপলক্ষে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ৬ আগরতলা মন্ডলের উদ্যোগে জিবি হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। ৭০ জন রক্তদান করেন। রক্তদান উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেব, প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি পাপিয়া দত্ত সহ যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। বিজেপির প্রতাপগড় কিষান মোর্চার উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সেখানকার কালীমন্দিরে পুজো দেন কার্যকর্তারা। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নেন তারা। উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি স্বপ্না দাস সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডলে সামাজিক কর্মসূচি ও প্রার্থনা সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কুম্ভ

কুম্ভ মেলা ২০২৫ এর জন্য প্রস্তুত প্রয়াগরাজ

কুম্ভ মেলার উৎপত্তি হয়েছিল পৌরাণিক মুণি ভরদ্বাজের সময়ে । পুরাকালে প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে আসমুদ্র হিমাচল-এর মুণিঋষিরা সমবেত হতেন ভরদ্বাজের আশ্রমে। ত্রিবেনী-সংগম করে সম্পূর্ণ মাঘ মাসে কল্পবাস করতেন অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে। প্রতিদিন তাঁরা স্নান অক্ষয়বট দর্শন, পুজার্চনা, ধ্যান-এ নিমগ্ন থাকতেন। আবার কখনও সকলে জ্ঞানভক্তি বৈরাগ্য আর ঈশ্বরতত্ব নিয়ে আলোচনা করতেন ঋষির আশ্রমে। এইভাবে তাদের পরমানন্দে একমাস কেটে যেতো- ভগবত গুণকীর্তনে।

ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে কুম্ভ মেলার অপরিসীম তাৎপর্য রয়েছে । কুম্ভ হিন্দুদের জন্য চারটি পবিত্র স্থানে অনুষ্ঠিত হয় – প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জাইন এবং নাসিক। কুম্ভ শুধুমাত্র ধর্মীয় ঘটনা নয়, জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত বলেও বিশ্বাস করা হয়। ২০২৫ সালে, মহাকুম্ভ ১৩ জানুয়ারী শুরু হবে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে।

কুম্ভমেলা চার প্রকার।কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ, পূর্ণকুম্ভ এবং মহাকুম্ভ। সময়, ধর্মীয় তাৎপর্য এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত কারণে এগুলি ভিন্ন। লোকেরা প্রায়শই এই পদগুলিকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করে। আসুন তাদের মধ্যে পার্থক্য এবং গ্রহের গতিবিধির সাথে তাদের সংযোগ বিস্তারিতভাবে অন্বেষণ করি।

প্রতি ১২বছর পরপর কুম্ভ মেলা হয় এবং চারটি পবিত্র স্থানে পর্যায়ক্রমে উদযাপিত হয়। এটি ঘটে যখন সূর্য, চাঁদ এবং বৃহস্পতি নির্দিষ্ট জ্যোতির্বিদ্যাগত অবস্থানে থাকে। এই সময়কালে গঙ্গা,যমুনা,গোদাবরী এবং সঙ্গমের জল বিশেষভাবে পবিত্র বলে মনে করা হয়। অর্ধকুম্ভ মেলা প্রতি ৬ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। এটি শুধুমাত্র ভারতের দুটি স্থানে সঞ্চালিত হয়- হরিদ্বার এবং প্রয়াগরাজ। “অর্ধ” শব্দের অর্থ অর্ধেক। অর্ধকুম্ভ দুটি কুম্ভ ইভেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, তাই এটিকে কুম্ভ মেলা চক্রের মধ্যবর্তী পর্ব হিসাবে দেখা হয়।

পূর্ণকুম্ভ প্রতি ১২ বছরে একবার হয়। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজেই অর্ধকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পূর্ণকুম্ভকে মহাকুম্ভও বলা হয়। ২০২৫ সালে, ১২ বছর পর, প্রয়াগরাজে পূর্ণকুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে। এটি ধর্মীয় উদযাপনের সর্বোচ্চ স্তর হিসাবে বিবেচিত হয়।

মহাকুম্ভ মেলা প্রতি ১৪৪ বছরে একবার হয়। এটি শুধুমাত্র প্রয়াগরাজে আয়োজন করা হয়। মহাকুম্ভকে একটি অত্যন্ত বিরল এবং তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা ১২টি পূর্ণকুম্ভের পরে ঘটে। মহাকুম্ভকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের একটি বিশাল সমাবেশ এবং একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় উদযাপন হিসাবে দেখা হয়।

মহাকুম্ভ মেলা কোথায় হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গ্রহের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে, বিশেষ করে গুরু বৃহস্পতি এবং সূর্য। এখান কীভাবে অবস্থান নির্ধারণ করা হয় বলছি।

হরিদ্বার: যখন গুরু বৃহস্পতি কুম্ভ রাশিতে থাকে এবং সূর্য মেষ রাশিতে থাকে, তখন হরিদ্বারে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়।

উজ্জয়িনী: সূর্য যখন মেষ রাশিতে থাকে এবং বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে থাকে তখন উজ্জয়িনে কুম্ভ মেলা হয়।

নাসিক: যখন গুরু এবং সূর্য উভয়ই সিংহ রাশিতে অবস্থান করেন, তখন নাসিকে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রয়াগরাজ: বৃহস্পতি যখন বৃষ রাশিতে থাকে এবং গ্রহের রাজা শনি মকর রাশিতে থাকে তখন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়।

মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় মেলা। টানা ৪৫ দিন ধরে চলে এই মেলা। এই মহাকুম্ভ হিন্দুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাখ লাখ পুণ্যার্থীরা অংশগ্রহন করবেন হিন্দুদের এই বিশেষ উৎসবে। এই সময়ে মোট ছয়টি রাজকীয় স্নান হবে। ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজের এই মহা কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করতে সাধু সন্তরা, দেশ বিদেশের ভক্ত, মানুষ পৌঁছেছেন। মহাকুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে প্রয়াগরাজে বিপূল ভক্ত সমাগম হতে চলেছে। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ উপলক্ষে চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি বলে খবর। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি পর্ব। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।