BSF

BSF এবং বাংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে সংঘর্ষ!

BSF এর হাতিয়ার ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা প্রকাশ্য দিবালোকে। বি.এস.এফ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে হাতাহাতি! এমনকি BSF এর বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং BSF জওয়ানদের ধারালো দা দিয়ে কুপাতেও চেস্টা করে!!চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে কৈলাসহরের মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪৭নং পিলারের কাছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মংগলবার দুপুরে বাংলাদেশের নাগরিক তথা বাংলাদেশের ব্ল্যাকাররা ভারতের সীমান্ত থেকে বিড়ি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সেসময় টহলরত দুইজন BSF জওয়ান বিড়ি পাচারে বাঁধা দিলেও বাংলাদেশের ব্লেকাররা BSF এর আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বিড়ি পাচার অব্যাহত রাখে। একটা সময় বাংলাদেশের ব্লেকাররা দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বি.এস.এফকে চ্যালেঞ্জ করলে দুই বি.এস.এফ জওয়ান বাংলাদেশের ব্লেকাদের ধরার জন্য দৌড়াতে থাকে এবং কাঁটাতারের ভিতরে অর্থাৎ বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে ব্লেকারদের দৌড়াতে থাকে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ব্লেকারদের খোঁজতে শুরু করে। পরবর্তী সময় দুই বি.এস.এফ জওয়ান ভারতের অংশে আসতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় বাংলাদেশের বি.ডি.আর তথা সীমান্ত রক্ষীরা। বি.ডি.আর দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের সাথে আলাপ আলোচনা করতে শুরু করে। সেসময় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট গ্রামের মানুষেরা উত্তেজিত হয়ে দুই বি.এস.এফ জওয়ানের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে। এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানের কাছ থেকে জোর করে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ারও চেস্টা করে। যদিও বাংলাদেশের এক বি.ডি.আর জওয়ান দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে বাঁচাতে চেস্টা করে। একটা সময় বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফ জওয়ানের উপর ধারালো দা দিয়ে কুপাতেও চেস্টা করে এবং দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের বিশ্রী ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানদের হিন্দু বলেও কটাক্ষ করতে শোনা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর মিথ্যা অভিযোগ করে যে, BSF জওয়ানরা বাংলাদেশে গুলি করেছে এবং বাংলাদেশের মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলেও মিথ্যা অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর আক্রমনের চেস্টা করে। এই অবস্থা চলাকালীন ধীরে ধীরে বি.এস.এফ জওয়ানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বি.এস.এফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়তে দেখে বাংলাদেশের নাগরিকরা বাধ্য হয়ে পিছু হটতে শুরু করে। এই ঘটনায় মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

👉 Click for Video Footage

 

👇Incident Location👇

👇

Vill – Maguruli
Block – Gournagar
Sub division – Kailashahar
District – Unakoti
State – Tripura
Pin – 799281
India Bangladesh Border, Pillar Number – 47

রাবার

রাবার চাষে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে!

রাবার এর সার্বিক প্রসারে ২০ শতাংশের উপরে বাজেট বৃদ্ধি করেছে রাবার বোর্ড । আজ প্রজ্ঞা ভবনে রাবার চাষীদের একদিনের সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বোর্ডের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা বশদা জেসন। তিনি বলেন ২০২৩ ২৪ অর্থবছরে বোর্ডের বাজেট ছিল ২৬৯ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা।

তিনি আরো বলেন এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাবার উৎপাদন বাড়াতে বোর্ডের নতুন প্রকল্প সম্পর্কে চাষীদের অবগত করতে করা। এবং গত এক বছরে উৎপাদন করতে গিয়ে চাষীদের কি সমস্যা ও অগ্রগতি হয়েছে সে সম্পর্কেও জানা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরে সচিব কিরণ গিত্তে রাবারের উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।শ্রীগিত্য আরো বলেন এক্ষেত্রে গ্রুপ বা সংগঠন করা যেতে পারে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সরকারের শিল্প বাণিজ্য দপ্তর, রাবার বোর্ড ও ব্যাংক সব রকমের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। রাজ্যে সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা উন্নয়নে ভালো দিক হচ্ছে রাবার। বর্তমানে রাজ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে রাবারের ।। শ্রী গিত্তে আরো বলেন বোধজং নগর ছাড়াও শান্তির বাজারে দ্বিতীয় আরও একটি রাবার পার্ক করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গত তিন বছরে রাজ্যে তিনটি বড় কোম্পানি রাবার কাঠ নিয়ে কাজ করছে। আগামী দিনে আরও তিনটি বড় কোম্পানি রাবার নিয়ে কাজ করার জন্য রাজ্যে আসবে। তিনি বলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে রাবারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে আরো দুই লাখ হেক্টর জমিতে রাবার প্ল্যান তৈরি করা। কারণ দেশে এখন রাবারের বড় মার্কেট রয়েছে। রাবার উৎপাদনের দিক দিয়ে কেরলের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী রাবার মিশন প্রকল্পে চালু হওয়ায় অনেকেই রাবার উৎপাদনে সফল্য লাভ করেছেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এম বসদা জেসন বলেন এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বেনি ফিসারিদের কাছে রাবারের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নেওয়া বেশকিছু নতুন প্রকল্পের কথা জানানো। নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাবারের রেন গার্ডেনিং এডুকেশন এলাউন্স ইত্যাদি। তিনি বলেন সার্বিকভাবে দেশে রাবার চাষের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে বোর্ড। তিনি আরো বলেন রাবার বোর্ড শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকার ধারাবাহিকভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে। আগামী দিনের গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে রাবার উৎপাদনে বাড়ানো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন রাবার প্রোডাকশন কমিশনার, ,যুগ্ম কমিশনার কে শৈলজা ম্যানেজিং ডিরেক্টর A M Kanfade রাবার বোর্ডের ডেভেলপমেন্ট অফিসার অরুনাভ মজুমদার , বোর্ড মেম্বার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা একটি নতুন প্রজাতির রাবার চারা তুলে দেন বেনি ফিসারির হাতে। অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রাবার চাষীদের নিয়ে দেশ ও রাজ্যের রাবার বিশেষজ্ঞরা মত বিনিময় করেন।

পর্যটনের

পর্যটনের অঙ্গ হিসাবে বন দপ্তরকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার!

পর্যটনের দিকে ত্রিপুরা সরকার আজকাল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে; এর অঙ্গ হিসাবে, আজ ত্রিপুরা সচিবালয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর অফিস কক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগী এবং বন দপ্তরের পিসিসিএফ রবীন্দ্র কুমার শ্যামল। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে বন দপ্তরের সাথে যৌথভাবে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বৈঠকের পৌরহিত্য করে বলেন, “ত্রিপুরা এক সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। বন এবং পর্যটন উভয় ক্ষেত্রের সমন্বয়ে আমরা রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাই।” বৈঠকে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে ছিল:

ইকো-ট্যুরিজম: রাজ্যের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জাতীয় উদ্যানে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প শুরু করা। এতে স্থানীয় অর্থনীতি উন্নত হবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখবে।অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম: ত্রিপুরার পাহাড়ি এবং বনাঞ্চলগুলিকে কাজে লাগিয়ে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং, এবং ওয়াইল্ডলাইফ সাফারি চালুর পরিকল্পনা।

সাংস্কৃতিক পর্যটন: স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং হস্তশিল্পকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা।

পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন: পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হোটেল, রিসর্ট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ।

বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, “পর্যটন ও বন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগ রাজ্যের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক হবে এবং পাশাপাশি রাজ্যের পর্যটন আয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা এবং বন দপ্তরের পিসিসিএফ রবীন্দ্র কুমার শ্যামলকে উভয় দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়।

কমলপুরে

কমলপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বামেদের!

কমলপুরে এক যুব পদযাত্রার আয়োজন করেন ডি ওয়াই এফ আই এবং টি ওয়াই এফ; কর্মসংস্থানের দাবি, আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা এবং নেশার বিরুদ্ধে এই তিনটি দাবী নিয়ে মঙ্গলবার ফুলছড়ি থেকে কমলপুর শহরের সিপিআইএম পার্টি অফিস পর্যন্ত পদযাত্রার করেন ডি ওয়াই এফ আই এবং টি ওয়াই এফ কমলপুর কমিটি। পদযাত্রা কমলপুরের ফুলছড়ি থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শহরের সিপিআইএম পার্টি সামনে সমাপ্ত হয়ে জনসমাবেশ করা হয়।জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য কমিটির সম্পাদক নবারুন দেব, টি ওয়াই এফ রাজ্য কমিটির সভাপতি কৌশিক দেববর্মা, ডি ওয়াই এফ আই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মল্লিকা শীল সহ কমলপুর বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা।পদযাত্রায় দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সমাগম ঘটে। জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য কমিটির সম্পাদক নবারুন দেব বলেন, দলমত নির্বিশেষে বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি চাই। ৫০ হাজার শূন্য পদ সরকার পুরন করছে না। প্রতি বছর পাঁচ হাজার কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন। নিয়োগ নেই। রাজ্যে টেট পরীক্ষায় পাশ করা, নার্স পাশ করা, ডাক্তারি পাশ করে বসে আছে নিয়োগ করা হচ্ছে না। নবারুন দেব বলেন, নেতারা রেগা কাজের টাকা খাচ্ছেন। গরীবরা কাজ পাচ্ছে না।

বন্যা

বন্যা গত আগস্ট মাসে ত্রিপুরা রাজ্যের উপর থাবা বসিয়েছিল

বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ১৩ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন।

রাজস্ব দপ্তরের অধীনে থাকা বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর এই অর্থ প্রকৃত দূর্গতদের কাছে পৌঁছে দেবে। উল্লেখ করা যেতে পারে গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পর ধাপে ধাপে অর্থ মঞ্জুর করেছে রাজ্যের ডাবল ইন্জিনের সরকার। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য ৫৬৪ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মাণিক সাহা। এছাড়াও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির কারনে দুই মাস রাজ্যের ৯.৮ লক্ষ রেশনকার্ডধারী নাগরিকদের রেশন কার্ড প্রতি অতিরিক্ত ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে আরো অর্থ মঞ্জুর করা হবে। সে অনুসারে মঙ্গলবার আরো অতিরিক্ত ১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরের জন্য ৭০ কোটি টাকা, কৃষি দপ্তরের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। খরিফ ও রবি শস্য উৎপাদনের জন্য বীজ ও সার প্রদান এবং অন্যান্য কৃষি সহায়তার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। হর্টিকালচার দপ্তরের জন্য ৫ কোটি টাকা,মৎস্য দপ্তরের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ এর পাশাপাশি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের জন্য ৫ কোটি টাকা, শিক্ষা দপ্তরের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বন্যায় দুর্গত মানুষ যাতে ঘুরে দাড়াতে পারে, বাড়ি ঘর তৈরি করে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করতে পারে তার জন্য ফের ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ মন্ত্রীর আবেদন: নিজেই হয়ে উঠুন নিজের বিদ্যুৎ উৎপাদক, বাড়িয়ে তুলুন আয়, পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মাধ্যমে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলোর দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেই নিজেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি আবেদন জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সোমবার ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কর্পোরেট কার্যালয়ে পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার বিশেষ শিবিরে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এদিন আগরতলা পুর নিগম এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য সূর্য ঘর প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ, ব্যাংক ঋণ প্রদান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ভেন্ডার নির্বাচনের জন্য এক বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এক ব্যতিক্রমী দিকদর্শী ব্যক্তিত্ব। আগামী দিনে দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে এখন থেকেই তিনি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে চান। আগামী দিনে কয়লা শেষ হয়ে যাবে, গ্যাস শেষ হয়ে যাবে , ফলে প্রথাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাবে। সে কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার সূর্য শক্তিকে ব্যবহার করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার। শুধু তাই নয়, তিনি এক আশ্চর্য পরিকল্পনায় প্রতিটি পরিবারকে সরকারি ভর্তুকি সহ বিদ্যুৎ উৎপাদক হিসেবে গড়ে তুলে বিদ্যুৎ নিগমের কাছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রির মাধ্যমে উপার্জনের এক অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের পর এই সুযোগ থাকবে কিনা কে জানে? কিন্তু এর আগেই সরকারি ভর্তুকির সুযোগ নিয়ে পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার সুবিধা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার বিদ্যুৎ নিগমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এই বিশেষ শিবিরে বিদ্যুৎ মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব অভিষেক সিং এবং আগরতলা পুর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্পোরেটরগন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে উৎসাহী মানুষেরা এদিন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিড় জমিয়েছেন। এই বিশেষ শিবিরে সোলার প্যানেল প্রতিস্থাপনকারী সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন কোম্পানির লোকজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, কানারা ব্যাঙ্ক, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক এর আধিকারিকরাও এদিন উৎসাহী ব্যক্তিদের ঋণ মঞ্জুর করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনা করেন। যে প্রকল্পের লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুতের পরিকল্পনা। এখন পর্যন্ত দেশে ২০০ গিগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে বিশেষ ক্যাটাগরি রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে এই রাজ্যের জনগণকে সূর্য ঘর প্রকল্পে উৎসাহিত করার জন্য ভর্তুকি বাড়িয়ে দেন। লক্ষ্য একটাই , বিদ্যুত বিলকে শূন্যে নামিয়ে আনা। এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে রতন বাবু আরো বলেন, এই প্রকল্পটি বাড়ির ছাদ, টিনের চাল কিংবা মাটিতেও পাটাতনের উপর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। প্রকল্পের লক্ষ্য হল, বাড়ির ছাদ কেন্দ্রিক সৌর বিদ্যুতের ক্ষমতা বাড়ানো এবং পরিবার গুলিকে তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম করা। গৃহস্থালী ক্ষেত্রে এই উদ্যোগটি ২০২৩-২৪ অর্থবছর (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ থেকে শুরু) থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে। এই সময়কাল পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি প্রদান করা হবে। এতে মোট আর্থিক ব্যয় হবে ৭৫,০২১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ভর্তুকির বিষয়টির ব্যাখ্যা করে রতন বাবু জানান, আবাসিক সেক্টরে প্রথম ২ কিলো ওয়াট ক্ষমতা সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট এর জন্য ভর্তুকি ৩৩ হাজার টাকা। প্রথম ২ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী ১ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকি মিলবে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা। ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৮৫,৮০০ টাকা। রেসিডেন্সিয়াল সেক্টরে ৩ কিলো ওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর পর পরবর্তী সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে অর্থাৎ কিলোওয়াট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আর কোন ভর্তুকি মিলবে না। হাউসিং সোসাইটি/ রেসিডেনশিয়াল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এবং ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকেল চার্জিং এর ক্ষেত্রে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত সোলার প্যানেল বসাতে পারবেন। এ জন্য ভর্তুকি পাওয়া যাবে প্রতি কিলো ওয়াটে ১৯,৮০০ টাকা। প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ ৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত সৌর প্যানেল স্থাপন করতে পারবেন। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যে কোন ভোক্তা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কাছে বিক্রি করতে পারবেন বলেও মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন। তিনি জানান যে কোন ব্যক্তি তার নিকটবর্তী বিদ্যুৎ নিগম কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে প্রত্যেক আগ্রহী ব্যক্তিকেই ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ লিমিটেডের আধিকারিকরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন। মন্ত্রী জানান, এদিনের বিশেষ শিবিরের পর আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির করে নাম নথিভুক্ত করা হবে। এরমধ্যেই মোহনপুর পুর পরিষদের উদ্যোগেও বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপর শুরু হবে রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় এই শিবির। গোটা রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার আওতায় আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।

নার্সিং

নার্সিং পেশাকে; পেশা হিসেবে না দেখে সেবার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন

নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শপথ গ্রহণ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনঅনুষ্ঠানে গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী জানান; রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। স্বাস্থ্য পরিষেবাকে গতিশীল করতে রোগীদের সেবাদানের পাশাপাশি রোগীদের পরিজনদের সঙ্গেও একটা ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে নার্সদের।

সোমবার আগরতলার আইজিএম হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আগরতলা সরকারি নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজে আইটি ল্যাবের ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, নার্সিংয়ের বিষয় আসলেই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা মনে আসে। নার্সিং পেশাকে পেশা হিসেবে না দেখে সেবার দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু সৈনিকদের নিজের সেবাদানের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেছিলেন তিনি। এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন যারা নিজের কাজের মাধ্যমে চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এমনই একজন ছিলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, যিনি নার্সিংকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। সারা বিশ্বে ১২ মে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিনে আন্তর্জাতিক নার্স (সেবিকা) দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর আজকের দিনটিও এই মহিয়সী নারীকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোন প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হতে হবে। তাদের সাথে ডাক্তার বাবুরাও রয়েছেন। নার্সরা তাদের সেবাদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করতে পারেন। কাজের কোন ধরণের বিকল্প নেই। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের আদর্শকে পাথেয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এই নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। মনে রাখতে হবে যে কাজ আমাকে দেওয়া হয়েছে সেই কাজটুকু একাগ্রতার সঙ্গে করে যেতে হবে। শুধুমাত্র রোগীদের সেবা দেওয়া নয়, রোগীদের পরিজনদের সঙ্গেও একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। পেশাগত ক্ষেত্রে যাওয়ার সময় যে প্রতিজ্ঞা আপনারা করেছেন সেই প্রতিজ্ঞার প্রতিটি শব্দ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এবার এই প্রতিষ্ঠানে ৪৯ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হলো। এরআগের বছর ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। ত্রিপুরা রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ১৯৫০ সালে ত্রিপুরায় নার্সিং প্রতিষ্ঠান শুরু হয়েছিল। যেটা গৌহাটি নার্সিং কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই নার্সিং প্রতিষ্ঠান সারা দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ১৯৯৪ এ এই প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরা নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে চলে আসে।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগে একটা বিএসসি নার্সিং কোর্সের সিট পাওয়া বিশাল ব্যাপার ছিল। আর আজ প্রায় ৫০টি আসন নিয়ে কলেজ শুরু হয়েছে। আগে ডেন্টালের জন্য একটা, মেডিকেলের জন্য ৫/৭টা আসন ছিল। কিন্তু এখন প্রায় ৪০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে রাজ্যে। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আরো ৫০টি আসনের জন্য আবেদন করেছে। এটা হলে মেডিকেলে আসন সংখ্যা প্রায় ৪৫০ হবে। ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়লে আমাদেরও উপকার হবে। আজ এখানে আইটি ল্যাব উদ্বোধন হওয়ায় সুবিধা হবে ছাত্রছাত্রীদের। প্রায় ১৫টির মতো কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ক্লাশ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। রাজ্যে একটি এইমস হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। ত্রিপুরায় কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের কথা আগে কেউ ভাবতে পারেন নি। আর ইতোমধ্যেই দুজন রোগীকে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। আগামীতে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডাঃ এইচ পি শর্মা, এজিএমসির প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ অনুপ কুমার সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ডাঃ সৌভিক দেববর্মা, আইজিএম হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডাঃ দেবশ্রী দেববর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।