ত্রিপুরা

ত্রিপুরা রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হল সোমবার

ত্রিপুরা রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মোট ভোটার ২৮,৯১,০৮২জন। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনারের অনুমোদনক্রমে রাজ্যের ষাটটি বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, তহশীল অফিস, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকের অফিস এবং জেলা নির্বাচন আধিকারিকের অফিসে দেখা যাবে। এছাড়াও ত্রিপুরা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর ওয়েবসাইটেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার প্রতিলিপি দেখা যাবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে রাজ্যে মোট ভোটার ২৮ লক্ষ ৯১ হাজার ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার চৌদ্দ লক্ষ-৫০হাজার ৭০৯ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ২৯৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৭ ৪ জন. সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ১১৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০৮৩০ জন এবং মহিলা ভোটার ২০৫ জন। খসড়া ভোটার তালিকা থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা থেকে চূড়ান্ত তালিকায় ২৬ হাজার ৬৭ জন ভোটার বেড়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১২২১৮ জন। মহিলা ভোটার বেড়েছে ১৪৩৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার বেড়েছে পাঁচ জন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ১২৪৩০ জন মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা ৩০৩৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪৭৬৬ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৫৬৩২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন একজন।

আগরতলায়

আগরতলায় Unacademy এর IIT, JEE প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি

আগরতলায় আসছেন Unacademy এর শিক্ষক Prashant Jain। গণিত অলিম্পিয়াড, আইআইটি (IITJEE) এবং মেডিকেল এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভারতের অন্যতম বিখ্যাত পরামর্শদাতা, শ্রীযুক্ত প্রশান্ত জৈন (পিজে স্যার)। তিনি আগরতলা আসছেন একটি “Motivational cum Interactive” সেমিনারে যোগদানের জন্য।

সেমিনারের মূল বিষয় হলো “How to build strong Mathematics” সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে এই জানুয়ারী মাসের ১৪ তারিখ সন্ধ্যা ৫.০০ টা থেকে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ভবিষ্যতে গণিত অলিম্পিয়াড এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (IITJEE) ও মেডিকেল এন্ট্রান্স প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি করতে ইচ্ছুক, তাদেরকে উক্ত সেমিনারে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। শ্রীযুক্ত প্রশান্ত জৈন (পিজে স্যার) IITJEE-2008 পরীক্ষায় সর্বভারতীয় রেঙ্ককিং-42 অর্জন করেছিলেন এবং 2012 সালে IIT Bombay থেকে কম্পিউটার সায়েন্স শাখায় স্নাতক হন। তিনি আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক বিজয়ী হন এবং আন্তর্জাতিক পদার্থবিদ্যা অলিম্পিয়াডে যোগ্যতা অর্জন করেন। শ্রীযুক্ত জৈন “জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড (IOQM)” এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক। শ্রীযুক্ত জৈন ভারতবর্ষের শিক্ষাজগতের মানচিত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, এবং উনি ভারতবর্ষের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় প্লাটফর্ম, “UNACADEMY”-র সাথে যুক্ত, শিক্ষাদানের প্রতি তার আবেগের সাথে গণিতে তার দক্ষতা ভারতবর্ষের শিক্ষা আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

পানীয়

পানীয় জলের এক ফোটার জন্য গিরিবাসীদের সংগ্রাম!

পানীয় জলের সমস্যা; আঠারোমুড়া পাহাড়ের ৪৫ মাইল এলাকারয়। প্রত্যন্ত এলাকার কচিকাঁচা শিশুরা অবাক জল সংগ্রহে জলের চাহিদা পূরণের দৃশ্য উঠে এলো খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন ১৮ মোরা পাহাড়ের পাদদেশের ১৮ মুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৫ মাইল এলাকা থেকে।

পানীয় জলের জন্য আজও প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতি গিরি বাসীদের নিত্যদিনের সংগ্রাম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলির মধ্যে এমন পাহাড়ি জনপদ এলাকার রয়েছে যেখানে পানীয় জলের জন্য প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চাতক পাখির মতন হন্যে হয়ে জলের উৎসের খোঁজে বের হতে দেখা যায় পানীয় জলের সংগ্রামীদের। ডান বাম কোন সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থতা বলা যায় অনেকাংশে। তবে যায় হোক না কেন জল ছাড়া জীবনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন অধরা। হোক সে জল হোক পরিশ্রুত কিংবা অপরিশ্রুত। জল হলেই হল। সব ধরনের জল যোগ্য ভেবে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আজও সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এমনই এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হল খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকমি আর ডি ব্লকের অধীন ১৮ মুড়া পাহাড়ের পাদদেশের এন এইচ-৮ সড়কের ৪৫ মাইল এলাকায় থেকে। দেখা গিয়েছে, এই এলাকারই দুই শিশু রাস্তার পাশে জমে থাকা নোংরা আবর্জনা মিশ্রিত জল সংগ্রহ করছে হাড়ি দিয়ে ড্রামের মধ্যে। শিশুটি জানায়, এই সংগ্রহ করা জল দিয়ে রান্নার কাজ, স্নানের কাজ সহ পানীয় জলের অভাব দূরীকরণ সাহায্য করে। এই বয়স থেকে জলের অভাব অনটন পরিলক্ষিত করে খুদে দুই শিশু পরিবারের জন্য নোংরা আবর্জনা মিশ্রিত রাস্তার পাশে জমে থাকা জলই সংগ্রহ করছে, কেবলমাত্র বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন রয়েছে তাই বলে।

তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উপজাতি জনপদ গুলিতে ধাপে ধাপে উন্নয়নের গতিধারা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ১৮ মোড়া পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় পা রাখলেই করুন দৃশ্য উঠে আসে। বেঁচে থাকার সংগ্রামে কত কিছুই করতে হচ্ছে জনজাতি গিরি বাসীদের।

রহিমপুরে

রহিমপুরে; মহিলা সহ একাধিক আহত,গুলিবিদ্ধ এক ছাত্র,ভাঙচুর কয়েকটি বাইক ও দোকান!

রহিমপুরে মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের তান্ডব । আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে এক নাবালক। বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত রহিমপুর সীমান্ত এলাকা।

সীমান্ত এলাকায় রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।রয়েছে বিএসএফের কড়া নজরদারি। তবে সীমান্তের উপারেও ভারতীয় ভুখন্ডে বসবাস করেন অনেক ভারতীয় নাগরিক। তাদের নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় আসা-যাওয়া।অধিকাংশ সময় বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। আবার মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও হয়। এই সীমান্তেই মদমত্ত বিএসএফ জওয়ান তাণ্ডব চালায়৷ ঘটনা ঘটে রবিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ। বক্সনগরের রহিমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ,রহিমপুরে ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওয়াজ মাহফিল। এই মাহফিলে রহিমপুর এলাকার মহিলা পুরুষ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। আশাবাড়ি বিওপির রহিমপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৫ ও ১৬৬ নম্বর গেটের মাঝামাঝি স্থানে ৪৯ নং ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত দুজন বিএসএফ জওয়ান নেশায় বুদ হয়ে বাজার এবং মূল রাস্তায় তাণ্ডব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যা দিয়েছে। প্রথমে নেশায় আসক্ত দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাজারের কাছে থাকা প্রায় সাতটি মোটর বাইক ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় এবং একটি দোকানে হামলা চালায় এবং দোকান ভেঙ্গে ফেলে। তাছাড়া দোকানের মালিক পরিতোষ সূত্রধরকে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে। তারপর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ধনু মিয়ার বাড়িতে ঢুকে ধনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। লাঠির আঘাত প্রতিহত করতে গেলে ধনু মিয়ার কন্যা নাসিমা আক্তারকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে এবং তার হাত ভেঙ্গে দেয় জওয়ানরা। এখানেই শেষ নয় এলাকার শফিউল ইসলামের একমাত্র নাবালক পুত্র ইমান হোসেনকে রাস্তায় পেয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ইমান হোসেন সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার শত শত মানুষ রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ঈমানকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ ইমান এবং নাসিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আগরতলার হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তাতে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী। রহিমপুর থেকে কয়েক শতাধিক যুবক এবং এলাকাবাসী মিলে কলমচৌড়া থানার সামনে এসে রাতে স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি অতিসত্বর নেশাগ্রস্থ দুই বিএসএফ জোয়ানকে আটক করে থানা নিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ তাদের থানায় নিয়ে না আসা হবে ততক্ষণ তারা এই ধরণায় বসে থাকবেন। ওসি নাড়ু গোপাল দেব আশাবাড়ি বিওপিতে রাতেই ছুটে যান এবং দুই জোওয়ান ও কোম্পানি কমান্ডার, পোস্ট কমান্ডারের বিরুদ্ধে থানায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমান আশাবাড়ি,কাঁটামুড়া, বক্সনগর বিওপিতে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা বিনা কারণে মানুষকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করছে। এই ধরনের হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী দিনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বলে তারা জানান। সোমবারে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

নরসিংগর

নরসিংগর এলাকার তপন শীলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ!

নরসিংগর এলাকায়, গত শনিবার রাতে আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ সিপিআইএম নরসিংগর লোকাল কমিটির সদস্য তপন শীলের বাড়িতে কতিপয় বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্ত শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির দেওয়ালে বড় গর্ত হয়ে যায় এবং কয়েকটি ফাটল ধরে। গোটা এলাকা কম্পিত হয়ে ওঠে।বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে তপন শীল এর কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়ে।সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানালেও পুলিশ সকালে আসে। এখন পর্যন্ত কোন গ্রেপ্তার নেই।

আজ সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণব দেববর্মা, মহকুমা কমিটির সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ, বড়জলা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ সরকার, বামুটিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক নয়ন সরকারসহ পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তপনশীল এর বাড়িতে গিয়ে ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং তপনশীলের পরিবারের পাশে থাকার বলেন । তখন ঘটনাস্থলে তপনশীল এর প্রতিবেশীরাও জড়ো হন। নেতৃবৃন্দ এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন এবং প্রতিবাদ জানান। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা হীনতার উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যে আইনের শাসন কায়েম করার দাবি জানান । পাশাপাশি শান্তিকামী জনগণকে এই আক্রমণের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।