৮ম

৮ম বেতন কমিশন ও রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে ষোড়শ অর্থ কমিশনের সঙ্গেঃমুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরা সরকার ১৬তম অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্যের আর্থিক চাহিদা উপস্থাপন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজ্যের আগামী পাঁচ বছরের (২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে) আয়-ব্যয়ের প্রক্ষেপণ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে, ১৬তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অরবিন্দ পানাগারিয়ার হাতে রাজ্যের তরফ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগারিয়া ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, “রাজ্যের আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় এবং সুশৃঙ্খল, ঋণের বোঝা ও প্রতিশ্রুত ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে।”

এ বিষয়ে, শুক্রবার আগরতলায়  সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা জানান- ত্রিপুরায় ষোড়শ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের আর্থিক বিষয়গুলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অর্থ কমিশনের কাছে, ৮ম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন, সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ১৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়  উপস্থাপন করা হয়েছে। ত্রিপুরার ৭৩% সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কারণে বড় শিল্প স্থাপনে অসুবিধার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এডিসিতে সরাসরি অর্থ বরাদ্দসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিরা ত্রিপুরার আর্থিক শৃঙ্খলার প্রশংসা করেছেন এবং রাজ্যের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শের রিপোর্ট জমা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “বিকশিত ভারত” লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০৪৭ সালের মধ্যে “বিকশিত ত্রিপুরা” গড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এছাড়া, ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন কাঠামো উন্নত করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ৮ম পে কমিশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে রাজ্যের কর্মচারীরা ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পে’ নীতির দাবি জানিয়েছেন। ১৬তম অর্থ কমিশন তাদের সুপারিশমালা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে জমা দেবে।

BJP

BJP-র লোকসভা সংসদের উপর, ভোটারদের ক্রমবর্ধমান রোষ!!

BJP

পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে তিপ্রা মথার প্রার্থীকে পদ্ম চিন্হে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে শাসক দল বিজেপি। খোদ্ শাসক দলের অভ্যন্তরে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মন কে নিয়ে চরম অস্থিরতা চলছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, কৃতী সিং দেববর্মন কে প্রার্থী করার জন্য এখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে জেলা ও মন্ডল স্তরের একটা বড় অংশের নেতা কর্মীরা।

স্বদলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে এই অসন্তোষের যথেষ্ট কারনও রয়েছে। কেননা, লোকসভা নির্বাচনের পর আজ পর্যন্ত সাংসদ কীর্তি সিং দেববর্মন কে মূহুর্তের জন্যও দেখা যায়না। মাঝে একদফা গন্ডাছড়া, এবং এক দফা আমবাসায় ঝটিকা সফর করেছেন, তাও বিজেপির নেতা কর্মীদের সাথে দুরত্ব রক্ষা করে। বিজেপি দলের টিকিটে সাংসদ হয়েছেন, অথচ বিজেপি নেতা কর্মীদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখছেন। বরং তিপ্রা মথার নেতা কর্মী এবং বিধায়কদের সাথে নিয়েই চলছেন। দলীয় টিকিটে জয়লাভ করা একজন সাংসদের কাছ থেকে এধরনের আচরনে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের BJP-র নেতা কর্মীরা। সাংগঠনিক ভাবে যখন এই পরিস্থিতি, তখন পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাধারণ আমজনতার মধ্যেও সাংসদকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কেননা, সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় আর পা রাখতে দেখা যায়না সাংসদ কীর্তি সিং দেববর্মন কে। স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব কিন্তু বিজেপির সমর্থক কিংবা ভোটারদের মধ্যে পড়তে শুরু করেছে; টান পড়েছে পাহাড়ে বিজেপির সংগঠনেও। পাহাড়েও বিজেপির জনভিত্তিতে ভাটার টান পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের রাজনীতিতে তিপ্রা মথার উপর নির্ভর করতে গিয়ে জনজাতি মোর্চাকে কর্মসূচিহীন সংগঠনে পরিণত করা হয়েছে; ফলে জনজাতি মোর্চা একপ্রকার কোমায় আচ্ছন্ন। স্বাভাবিক ভাবেই এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে CPIM পাহাড় পুনর্দখলে নেমে পড়েছে। তাতে সফলতাও পাচ্ছে। কোথাও কোথাও কংগ্রেস দলও পাহাড়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে গিয়ে জনসমর্থন মজবুত করে চলেছে। BJP-র মধ্যে ভাংগন ধরাতে সমর্থ হচ্ছে কংগ্রেস। এক্ষেত্রে কারন একটাই, পাহাড় নিয়ে BJP-র ছন্নছাড়া অবস্থা। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, দিল্লিতে গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাংসদ কীর্তি সিং দেববর্মন BJP নেতাদের সাথে না নিয়ে ভাই প্রদ্যোত্ কিশোর দেববর্মনকে নিয়েই কোন মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের কোন আমলার সাথে বৈঠক করেন। বিভিন্ন সময় এই ছবি সামাজিক মাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। তারপরও কিন্তু রাজ্যের বর্তমান প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কিংবা প্রদেশ কমিটির অন্যান্য হেভিওয়েট নেতাদের তা নিয়ে কোন হেলদোল নেই। সাধারণ ভোটাররা সাংসদের প্রতি, এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি খেলাফের অভিযোগ তুলছেন।

ত্রিপুরা

ত্রিপুরার শিল্পীরাও পারে জাতীয় স্তরের গুণগতমান বজায় রাখতে!

ত্রিপুরার শিল্পীরাও যে জাতীয় স্তরের অন্যান্য শিল্পীদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় তা আবারো প্রমাণ করলো তারা। নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী ক্ষেত্র বেনারসের বিভিন্ন এলাকাকে তাদের শিল্প নৈপুণ্যে সাজিয়ে তুলছেন ত্রিপুরার শিল্পীরা।

ত্রিপুরার শিল্পীদের চিত্র, ভাস্কর্য ও শিল্পকর্ম; বেনারসের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর শোভা বর্ধন করছে। এটাই হয়তো ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য। একসময় রাজের চিত্র ভাস্কর্য শিল্পীরা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতেন, তাদের রোজগার ছিল না। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর তারা এখন কাজ করে শেষ করতে পারছেন না তাদের শিল্প। শিল্প নৈপুণ্য তুলে ধরতে এখন ব্যস্ত তারা। রোজগারও হচ্ছে এবং সম্মানও পাচ্ছেন। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেসব মনীষীদের ভাস্কর্য ও মূর্তি রয়েছে এগুলোর বেশির ভাগই তৈরি করেছিলেন ভিন রাজ্যের শিল্পীরা। রাজ্যের শিল্পীদের কদর ছিল না, সরকার পরিবর্তনের পর তাদের কদর বেড়েছে। একসময় অন্যান্য রাজ্য থেকে মূর্তিগুলি এনে বসানো হয়েছিল। কিন্তু এবার তার বিপরীত ঘটনা ঘটলো। ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্পীরা দেশের অন্যতম সুপরিচিত পর্যটন কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বেনারসের সৌন্দর্যায়নের জন্য ফাইবারের মূর্তি তৈরির দায়িত্ব পেলেন। রাজধানী আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্র এলাকার ললিতকলা একাডেমির ত্রিপুরা শাখা সেন্টারে প্রায় ছয় মাস ধরে এই মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। সেন্টারের প্রধান সুমন মজুমদার এ কাজের কডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে মুর্তি তৈরির পর সেগুলো বেনারসে পাঠানো হয়। ভারত সরকারের রেলওয়ে মন্ত্রক এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করে এবং ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ শিল্পকর্মগুলো তৈরি করার দায়িত্ব দেয় ললিতকলা একাডেমি ও নর্থইস্ট জোন কালচারাল সেন্টারকে। আগরতলায় কাজ শুরু হয় গত ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে। প্রায় এক বছর ধরে কাজ চলে। রাজ্যের বহু শিল্পী তাদের শিল্প কর্ম তুলে ধরার সুযোগ পান এই প্রকল্পে। রাজ্যের ৫৫ জন শিল্পী ৫৫টির বেশি শিল্পকর্ম তৈরি করেন। এবার রাজ্যের শিল্পীদের শিল্প কর্ম তুলে ধরা হচ্ছে বেনারসে। শিল্প কলাগুলির মধ্যে রয়েছে- নটরাজ, মনিপুরী, কুচিপুরি নৃত্যশিল্পী, যোগা অনুশীলনের মূর্তি, খেলোয়াড়, নারী বৈমানিকসহ আরও কত কিছু।

আগে যেখানে বহিঃরাজ্যের শিল্পীদের দ্বারা তৈরি মূর্তি, বহিঃরাজ্য থেকে এই রাজ্যে নিয়ে আসা হতো, এখন তার বিপরীতে রাজ্যের শিল্পীদের হাতে তৈরি মূর্তি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হচ্ছে, ঐ জায়গার শোভাবর্ধনের জন্য। আক্ষরিক অর্থে রাজ্য ও দেশের ইতিহাসে নতুন মাইল ফলক তৈরি করলেন ত্রিপুরা শিল্পীরা। আগামী দিনেও যে রাজ্যের শিল্পীরা দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গার শিল্পকর্মে অংশ নেবেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

ষোড়শ

ষোড়শ অর্থ কমিশনের বৈঠকে রাজ্যের পাওনা দেনার হিসাব!

“অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ত্রিপুরা একটি সুপরিচালিত রাজ্য এবং ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থাও সুদৃঢ়।” রাজ্য সরকারের সাথে বৈঠক শেষে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়া।

তিন দিনের সফরে পানাগারিয়ার নেতৃত্বে ষোড়শ অর্থ কমিশনের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল গতকালই রাজ্যে আসেন। আজ সকালে সচিবালয়ে প্রথমে তারা বৈঠক করেন রাজ্য সরকারের সাথে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহাসহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা এবং পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষে ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাছে একটি মেমোরেন্ডামও দেয়া হয়। এছাড়া উত্থাপন করা হয় একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনও। শেষে রাজ্য অতিথিশালা সোনার তরীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যন পানাগারিয়া রাজ্য সরকারের সাথে বৈঠকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, রাজ্যের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যয় হ্রাস পেয়েছে যা একটি ভালো লক্ষণ। ত্রিপুরার নগরায়নও দ্রুত হারে ঘটছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে প্রদত্ত করের শেয়ার ৪১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে বলে জানান চেয়ারম্যান। সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের অন্য সদস্যরা এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ

প্রকাশ কারাতকে চোখের ছানি অপারেশনের পরামর্শ ত্রিপুরার ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী!

মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মাস্টারপিস CPIM। তাদের চোখে কখনো উন্নয়ন ধরা পড়ে না। বুধবার সিপিএমের জনসভা থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এক্ষেত্রে সিপিএমের সর্বভারতীয় নেতা প্রকাশ কারাতেরও তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোখের ছানির অপারেশন করারও পরামর্শ দেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, উনাদের চোখে ছানি পড়েছে। চোখের ছানির অপারেশন করাতে হবে। উন্নতি কোথায় দেখবেন তারা? প্রকাশ কারাতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেনঃ আগে তো সিঙ্গারবিল এয়ারপোর্টে নামতেন; এবার যেই এয়ারপোর্টে নামলেন, সেখানে কোন উন্নতি দেখেননি তিনি? আমরা যার নামে এয়ারপোর্টের নামকরণ করেছি;  মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরকে তো ওরা সারা জীবনে সম্মানই দেয় নি। আর আমরা মহারাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর নামে এয়ারপোর্টের নামকরণ করেছি। এয়ারপোর্ট থেকে যে রাস্তা দিয়ে উনি নিজেদের পার্টির পতাকা উড়িয়ে এসেছেন সেই রাস্তার উন্নয়ন দেখেন নি উনি? ওরা উন্নয়ন দেখতে পান না, তাই সবসময় এমন কথা বলেন; আর মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।

CPIM রাজ্য সম্মেলন থেকে উঠে আসা বক্তব্য “বিজেপি দেশকে আরো পেছনে নিয়ে যাচ্ছে” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, CPIM দেখতে পাচ্ছেন না যে অর্থনীতিতে ১১তম স্থান থেকে এখন পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে দেশ, আর CPIM ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। সংবিধানের উপর আঘাত প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, UPA কিংবা কংগ্রেসের সময়ে তারা সংবিধানের উপর কতবার কুঠারাঘাত করেছেন, এসব কি ভুলে গেছেন তারা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসে সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছেন। আর তারা সংবিধানকে বিগড়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন।তাই প্রথমে সংবিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তারা কি অবস্থা করেছিল সেটা সবাই দেখেছে। এখন তারা “নোটার” চাইতেও কম ভোট পাচ্ছে। জনতা কেন তাদের প্রত্যাখ্যান করছে সেটা বুঝতে হবে। সব জায়গাতেই এখন হারের মুখ দেখতে হচ্ছে তাদের।

২০২৫

প্রজাতন্ত্র দিবস- ২০২৫ এর কুচকাওয়াজে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে!

কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজ ও ট্যাবলো প্রতিযোগিতায় সেরা রাজ্যগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ত্রিপুরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়েছে যে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ত্রিপুরার ট্যাবলো বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তিনটি বিচারক প্যানেল বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছে। এই প্যানেলগুলো সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF), বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও দফতরের ট্যাবলো পর্যালোচনা করেছে।

প্যানেলের নির্বাচিত সেরা তিনটি  ট্যাবলো হলঃ
1️⃣ উত্তরপ্রদেশ – ‘মহাকুম্ভ ২০২৫ – স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য ও উন্নয়ন’ (প্রথম স্থান)।
2️⃣ ত্রিপুরা – ‘শাশ্বত শ্রদ্ধাঞ্জলি: ত্রিপুরার ১৪ দেবতার পূজা – খারচি পূজা’ (দ্বিতীয় স্থান)।
3️⃣ আন্ধ্রপ্রদেশ – ‘এতিকোপ্পাকা বোম্মালু – পরিবেশবান্ধব কাঠের খেলনা’ (তৃতীয় স্থান)।

দিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবস– ২০২৫ এর কুচকাওয়াজে ত্রিপুরার ট্যাবলো ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৯ নম্বর ক্রমসংখ্যায় প্রদর্শিত হয়। এতে ত্রিপুরার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী খারচি পূজা এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠান তুলে ধরা হয়েছে।

একজন রাজ্য সরকারী কর্মকর্তা জানান, ত্রিপুরার ট্যাবলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা হয়েছিল যেমন *ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণ  *বাঁশের নকশা *প্রযুক্তিগত ব্যবহার *ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে মডেলের মাধ্যমে ত্রিপুরার প্রগতিশীল দিক তুলে ধরা হয়েছে। বাঁশ ও বেতের কারুকার্যের মাধ্যমে ত্রিপুরার ১৪ দেবতার প্রতীকী রূপায়ণ করা হয়। হা-বুমা (পৃথিবী মাতার) পূজা ত্রিপুরার ধর্মীয় সংস্কৃতির এক বিশেষ দিক তুলে ধরেছে। ত্রিপুরার এই সাফল্য, রাজ্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ত্রিপুরার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নামে স্বর্ণপদক চালুর ঘোষণা করল “King George’s Medical University”, Lucknow.

উত্তরপ্রদেশের “King George’s Medical University”, Lucknow. ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার নামে একটি স্বর্ণপদক চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল সায়েন্স বিভাগের ডিন, প্রফেসর রঞ্জিত কুমার প্যাটেলের স্বাক্ষর করা একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে।  Oral and Maxillofacial Surgery বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রকে এই স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। এই স্বর্ণপদকটি “Manik Saha Gold Medal” নামে পরিচিত হবে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে প্রদান করা শুরু হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সম্পর্কিত বিষয়ে তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, “আমার জন্য একটি নস্টালজিক মুহূর্ত। “King George’s Medical University”, Lucknow. ডেন্টাল সায়েন্সে বিশেষ দক্ষতা অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার নামে একটি স্বর্ণপদক চালু করেছে। আমি এই সম্মানের জন্য KGMUকে ধন্যবাদ জানাই”।

 

 ১৬তম

ত্রিপুরার আর্থিক দিশা নির্ধারণে ১৬তম অর্থ কমিশনের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায়!!

১৬তম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগারিয়ার নেতৃত্বে একটি ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় চারদিনের সফর শুরু করেছেন। সফরকালে তারা রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিক, রাজনৈতিক দল, পঞ্চায়েত ও পৌর সংস্থার প্রতিনিধি, বাণিজ্য ও শিল্প মহলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন।

এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩০শে জানুয়ারি কমিশন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, মুখ্যসচিব জে.কে. সিনহা এবং বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। এছাড়া, একই দিনে ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ (TTAADC), পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠান এবং নগর প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। অর্থ কমিশনের দলটি গোমতী, সিপাহিজলা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্থান পরিদর্শন করবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১৬তম অর্থ কমিশন গঠিত হয়, যার চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন নীতি আয়োগের উপ-সভাপতি অরবিন্দ পানাগারিয়াকে। কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অজয় নারায়ণ ঝা, অ্যানি জর্জ ম্যাথিউ, মনোজ পাণ্ডা এবং সৌম্যকান্তি ঘোষ।

এই সফরের মাধ্যমে ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে কমিশন পর্যালোচনা করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক সুপারিশ প্রণয়ন করবে।

কংগ্রেস

CPIM-র ২৪তম রাজ্য সম্মেলনে কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ইঙ্গিত!!

ত্রিপুরার রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন মোড় নিতে চলেছে CPIM-র রাজনীতি। কংগ্রেসের সাথে প্রকাশ্যে সম্পর্ক রাখা হবে নাকি লোকচক্ষুর অন্তরালে টেকনিক্যাল সম্পর্ক বজায় রাখা হবে, তা নিয়ে এবার চূড়ান্ত আলোচনা হবে CPIM-র ২৪তম রাজ্য সম্মেলনে। বুধবার প্রকাশ্য সমাবেশে দলের সর্বভারতীয় নেতা প্রকাশ কারাট থেকে শুরু করে রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার সকলের বক্তব্যেই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সমালোচনা ছিল সুস্পষ্ট। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন যে, আগামী দিনে কংগ্রেসের সাথে প্রকাশ্যে আর কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা রাখছে না CPIM।

বুধবার টাউন হলে শুরু হয়েছে সিপিআইএমের ২৪তম রাজ্য সম্মেলন। রক্ত পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের সূচনা হয়। প্রথম দিনেই ওরিয়েন্ট চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় দলের প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার, জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সমাবেশ থেকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে কাজ নেই, খাদ্য সংকট বেড়েছে, কর্মসংস্থানের অভাবে যুব সমাজ বেকারত্বের জালে জড়িয়ে পড়েছে। বহু তরুণ-তরুণী রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র কাজের সন্ধানে পাড়ি জমাচ্ছে।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতায় এবারও রাজ্য সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু কংগ্রেসের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক। মানিক সরকার তার ভাষণে কংগ্রেসের ৩০ বছরের শাসনকালের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, কংগ্রেস-জোট সরকারের আমলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সেই সময়ও কেন্দ্রে ও রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ছিল, কিন্তু উন্নয়ন হয়নি কিছুই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকলেই যে উন্নয়ন হবে, তা নয়। ইঞ্জিন খারাপ হলে ট্রেন যেমন চলে না, তেমনি এই সরকারও চলতে পারছে না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থ।” মানিক সরকার দলের কর্মীদের ঘর ছেড়ে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মানুষকে বোঝাতে হবে যে বিজেপির শাসনে তারা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ভুল নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”

সমাবেশকে কেন্দ্র করে আগরতলা শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। যদিও CPIM-র দাবি, তারা উমাকান্ত মাঠ অথবা আস্তাবল মাঠে সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রশাসন তা করার অনুমতি দেয়নি। CPIM নেতারা স্পষ্ট করেছেন যে, রাজ্যের বামপন্থী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, আগামী দিনে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য গণ আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সিপিআইএম তার রাজনৈতিক অবস্থান একপ্রকার স্পষ্ট করে দিল যে কংগ্রেসের সাথে সমঝোতার দিন শেষ।এবার নতুন কৌশলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বামেরা।

ইমার্জেন্সি

কঙ্গনা রানাউতের “ইমার্জেন্সি” চলচ্চিত্র শুধুই কি বিনোদনের উদ্দেশ্যে??

বহু প্রতীক্ষিত বলিউড চলচ্চিত্র “ইমার্জেন্সি” ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি ভারতের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক অধ্যায়, ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলকে কেন্দ্র করে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও প্রধান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত, যিনি নিজেই ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি ১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থার সময়কার ঘটনাবলী তুলে ধরেছে। সেই সময়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যার ফলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে এবং অসংখ্য রাজনৈতিক বিরোধী কারাবন্দি হন। কঙ্গনা রানাউত ছবিটিতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন কীভাবে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন এবং কীভাবে সেই সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল।

এই চলচ্চিত্রে কঙ্গনা রানাউত ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, শ্রেয়াস তালপাড়ে, মিলিন্দ সোমান ও সতীশ কৌশিক। প্রতিটি চরিত্রই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে। কঙ্গনার অভিনয় দর্শকদের একাংশের প্রশংসা পেলেও অনেকের মতে, চরিত্রটি আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত। ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির প্রথম দিনে প্রায় ২.৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে। তবে ছবিটি প্রত্যাশিত বক্স অফিস সাফল্য পায়নি। মুক্তির প্রথম সপ্তাহ শেষে মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭.৪৪ থেকে ২২ কোটি টাকা। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, ছবির রাজনৈতিক বিষয়বস্তু এবং নির্দিষ্ট দর্শকগোষ্ঠীর কারণে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কঙ্গনা রানাউতের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সুন্দর পুনর্গঠন হয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফি ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ভালো মানের। কিন্তু কিছু সমালোচকের মতে, ছবিটি ঐতিহাসিক সত্যের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চিত্রনাট্য অনেক জায়গায় দুর্বল মনে হয়েছে। গল্পের গভীরতা এবং অন্যান্য চরিত্রের বিকাশ আরও বেশি দরকার ছিল। এই চলচ্চিত্রটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হওয়ায় অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস পার্টির অনেক নেতা এই চলচ্চিত্রকে “একপাক্ষিক” এবং “প্রোপাগান্ডা” বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, এটি ভারতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে পুনরায় সামনে আনতে সাহায্য করেছে।

চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে প্রত্যাশিত সাড়া না পেলেও, নির্মাতারা আশা করছেন যে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটি ভালো পারফরম্যান্স করবে। আগামী মার্চ ২০২৫ নাগাদ এটি কোনো একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘ইমার্জেন্সি’ একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক সিনেমা, যা ভারতের অন্যতম বিতর্কিত সময়কে পর্দায় উপস্থাপন করেছে। যদিও এটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তবে ইতিহাসপ্রেমী দর্শকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র।