৫১ পিঠের রেপ্লিকা উদয়পুরে

সামাজিক মাধ্যমে এই খবর জানিয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে উদয়পুরের বনদোয়ার পর্যটকদের জন্য এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের ভিড়ে মন্দির নগরী উদয়পুরের গুরুত্ব আরও বাড়বে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য ও কেন্দ্রের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এই উদ্যোগ রাজ্যের পর্যটন শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।About Us

2025 এ সরকারি ছুটি ২৯ দিন

2025 Holiday List

calendar 2025

নতুন ইংরেজি বছরে চারটি ছুটির দিন উপভোগ করতে পারবে না সরকারি কর্মচারীরা। প্রকাশিত ছুটির তালিকায় নতুন কোন সংযোজন নেই। ২০২৫ ইংরেজি বর্ষে সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। প্রকাশিত তালিকায় মোট ২৯ টি পূর্ণকালীন ছুটি থাকছে কর্মচারীদের জন্য। যদিও চারটি ছুটি, বন্ধের দিনে পড়ায় সেগুলির সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না তারা। যেমন প্রজাতন্ত্র দিবস, মহরম, মহালয়া, মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তী। এছাড়াও রেস্ট্রিক্টেড হলিডে বা সীমাবদ্ধ ছুটি হিসাবে থাকছে মোট ১৩ টি। এরমধ্যে নিজেদের ইচ্ছানুসারে চার দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন কর্মচারীরা। ত্রিপুরা সরকারের যুগ্ম সচিব অসীম সাহা স্বাক্ষরিত এই ছুটির তালিকাটি মঙ্গলবার ত্রিপুরা সচিবালয় থেকে প্রকাশিত হয়।

Government of Tripura, Calender for 2025 A.D.

২০২৫ Holiday ListAbout Us

সর্বশিক্ষা নিয়মিতকরনের আদালত অবমাননা মামলার শুনানি আদালতে!

সর্বশিক্ষা নিয়মিতকরনের আদালত অবমাননা মামলার শুনানি আদালতে!

আদালতের দেওয়া নির্দিষ্ট সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করা হয় নি। তিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাবেল হেমেন্দ্র কুমার, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তথা সমগ্র শিক্ষার রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা এবং অর্থদপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার রাজ্য হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিংহ এবং বিচারপতি এস. দত্ত পুরকায়স্থ এর ডিভিশন বেঞ্চে সর্বশিক্ষার আদালত অবমাননা মামলার শুনানি হয়। আগামী তিন ডিসেম্বর আদালত অবমাননা মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত আধিকারিকদের নোটিশ জারি করে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে সি-টেট বা টি-টেট এর কোন প্রয়োজন নেই৷ তিন মাসের মধ‍্যে নিয়মিতকরনের স্কিমকে সংশোধন করে শিক্ষকদের নিয়মিত করতে হবে। উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, যে সব শিক্ষকের চাকুরীর বিজ্ঞাপন ২০২১ সালের ২৯ জুলাই এর পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে সেই সব শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে রাজ‍্য সরকার সি-টেট বা টি-টেট এর জন‍্য বাধ‍্য করাতে পারবে না। এই নির্দেশ তিন মাসের মধ‍্যে কার্যকর করতে হবে।

সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন মামলার রায় প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের নিয়মিতকরন করা হয় নি। ফলে বাধ্য হয়ে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তর সচিব রেবেল হেমেন্দ্র কুমার, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরে অধিকর্তা তথা সমগ্র শিক্ষার রাজ‍্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা এবং অর্থদপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়ের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষকদের নিয়মিতকরন সহ পেনশন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল। শিক্ষকদের অভিযোগ নিয়মিতকরনের নির্দেশ থাকার পরও রাজ‍্য সরকার ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের জন্য নিয়মিতকরনের স্কিম তৈরি করবে বলে জানায়। যে সব সর্বশিক্ষার শিক্ষক সি-টেট বা টি-টেট উওীর্ন হবেন তাদেরকে নিয়মিতকরন করে অন‍্যান‍্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

কিন্তু কথা রাখে নি সরকার৷ সর্বশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের আরও অভিযোগ ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন সর্বশিক্ষার শিক্ষকরা তৎকালীন বাম সরকারের উপর থেকে নিয়মিতকরনের বিষয়ে আস্থা হারিয়ে আগরতলায় আমরণ অনশন বসেছিলেন তখন প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, সে সময়ের প্রভারী সুনীল দেওধর, বর্তমান মন্ত্রী রতনলাল নাথ, টিংকু রায় সহ সকলই আমরণ অনশন মঞ্চে এসে কথা দিয়েছিল সরকার গড়লে তিন মাসের মধ‍্যে তাদের নিয়মিত করা হবে। এখানেই শেষ নয় তৎকালীন মুখ‍্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তারা৷ শিক্ষকদের অতিসত্ত্বর নিয়মিতকরন করার জন্য বাম সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন তারা৷ সরকার পরিবর্তনের পর সাড়ে ছয় বছর কেটে গেলেও নিয়মিতকরনের দেখা নেই। এমনকি আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানতে চাইছে না ডাবল ইন্জিনের সরকার।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই উচ্চ আদালত পুনরায় রায় প্রদান করে বলে, সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে সি-টেট বা টি-টেট এর জন্য বাধ্য করানো যাবে না। এবং তিন মাসের মধ্যে নিয়মিতকরনের স্কিমকে সংশোধন করে শিক্ষকদের নিয়মিত করতে হবে।এই সময় সীমার মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য রাজ্য সরকারের তিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় থেকে স্পষ্ট, রাজ্য সরকার সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের চাকুরী দিয়েছেন। তারপরেও তাদের নিয়মিতকরন করা হলো না৷About Us

ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি কৈলাসহরে!

কৈলাসহরে সনাতনী হিন্দুদের ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি!

বাংলাদেশে ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার ও সে দেশের সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে সনাতনী হিন্দুরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে, বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দও, ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি উত্তম দে, সহ আরও অনেকে। সকাল এগারোটায় সনাতনী হিন্দুরা প্রথমে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে অবস্থিত মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে শুরু করে।

সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে কৈলাসহর আন্তর্জাতিক সীমানায় মনু কাস্টম ল্যান্ডে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় সনাতনী হিন্দুরা।
পরবর্তী সময়ে শহরের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে সনাতনী হিন্দুরা।
কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে জানান যে, সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে চিন্ময় দাস প্রভুকে বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করে হয়রানি করছে।

এদিকে কৈলাসহরের বর্ডার দিয়ে বুধবার থেকে বাংলাদেশে সমস্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যতদিন অব্দি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চলবে ততোদিন বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান নিতিশ দে। আন্দোলনে রেকর্ড সংখ্যক সনাতনী হিন্দুরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ, টি.এস.আর এবং বি.এফ.এফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়।About Us

যুব মোর্চার বাইক রেলি

সপ্তম দিনে সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি গিয়ে পৌঁছালো যুব মোর্চার নমঃ যুব বাইক রেলি।

বিজেপি’র রাজ্য যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নমোঃ যুবযাত্রা বাইক রেলির সপ্তম দিনে এসে পৌঁছালো উত্তর এিপুরা জেলায়। ছাব্বিশ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত রেলিটি প্রথমে ৫৭ নং যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিকেল তিনটা নাগাদ কদমতলা ব্লক এলাকার বড়গোল মাঠে এসে জড়ো হয় এবং সেখান থেকে কদমতলা মন্ডল যুব কর্মীরা মিলিত হয়ে ফের শুরু হয় বাইক রেলি।

এদিন রেলিটি কদমতলা বাজার, প্রেমতলা বাজার হয়ে চুরাইবাড়ি সেলটেক্স গেইট হয়ে পুনরায় কদমতলা মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়। সপ্তম দিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মোর্চার সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, যুব মোর্চার প্রবক্তা অম্লান মুখার্জী, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, কদমতলা মন্ডল যুব মোর্চার সহ-সভাপতি জন্মজীৎ কানু, সহ-সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মোর্চার সাবেক সভাপতি অমিতাভ নাথ, মন্ডল সভাপতি রাজা ধর, সহ উত্তর এিপুরা জেলা সভাপতি কাজল দাস।


এদিনকার উক্ত নমঃ যুবযাত্রা বাইক রেলি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত সপ্তম দিনে পৌঁছালো তাদের এই বাইক মিছিল।
চলতি মাসের গত কুড়ি তারিখে সাব্রুম থেকে এর সূচনা হয়েছিল।মোট প্রায় ৬০০ এর অধিক কিলোমিটার পথ অতিক্রমা করে আজ রাজ্যের শেষ প্রান্ত ৫৪ নং কুর্তি কদমতলার চুরাইবাড়িতে এসে পৌঁছালো এই যুবযাত্রা রেলিটি। এই রেলি থেকে তাদের একটাই বার্তা গোটা রাজ্যের যুব সমাজকে এক সুতোয় বাধা,এবং এই রাজ্যকে শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করা।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে ফিরিয়ে এনে মাঠমুখি করা এবং রাজ্যের প্রত্যেকটা যুব সমাজ যেন এই নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামে। তিনি আরো বলেন সপ্তম দিনের এই কর্মসূচি ধর্মনগর পর্যন্ত যাত্রা সমাপ্ত হয়েছে এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সম্মুখে উক্ত নমঃ যুব যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। মূলত এইসকল উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এই রাজ্যব্যাপী বাইক রেলির আয়োজন বলে জানান যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব।About Us


সংবিধান দিবস

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪, ভারতের ৭৫তম সংবিধান দিবস!

আজ সংবিধান দিবস। ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী তা কার্যকর হয়। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

সারা রাজ্যে সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। আজ সকালে রাজ্য আইন দপ্তরের উদ্যোগে উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রার সুচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। সংবিধান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই বর্ষব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন। তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পদযাত্রায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি আসাম, মেঘালয়, সিকিম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিল্পী ও যুবারা অংশ নেয়।

আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে শেষ হয় পদযাত্রা। সেখানে ভারতরত্ন বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মর্মর মুর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। পরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হয়। শ্রমমন্ত্রী টিঙ্কু রায় সংবিধান দিবসের গুরত্ব তুলে ধরেন৷ সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে সারা বছর ব্যাপী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।About Us




মৃত্যু প্রকৃতপক্ষেই হৃদয়বিদারক ঘটনা

ভাত খেতে বসে আকস্মিক মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের!

এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকার ৩০ বছর বয়সী যুবক সুবল দাস হঠাৎ করেই প্রাণ হারালেন। পারিবারিক নিয়মে দুপুরবেলায় ভাত খেতে বসেছিলেন তিনি, কিন্তু সেই খাওয়া আর শেষ করা হলো না। খাওয়ার সময় হঠাৎ করে বমি শুরু হলে, তিনি বাড়ির পাম্পকলে গিয়ে মুখ ধুতে যান। সেখানেই হঠাৎ করে পড়ে যান এবং ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে স্থানীয় এক টমটমে করে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেই থেমে থাকেনি। হাসপাতালের গেটের কাছাকাছি পৌঁছতেই গাড়িটির ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যায়। সেই টমটমে সুবল দাসের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী এবং সাত বছরের একমাত্র কন্যা। দুর্ঘটনার ফলে দুজনেই আহত হন। প্রতিবেশীরা তৎপরতা দেখিয়ে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সুবল দাসকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি জানতেনই না তার স্বামী এরই মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন।
খবর পেয়ে মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান। সন্ধ্যায় স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট্ট শিশু কন্যাটিও বাবার মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে চিৎকার করে কাঁপতে থাকে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে মনে করা হলেও, ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে। সুবল দাসের অকাল মৃত্যুতে গোটা দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।About Us

নিলামে ত্রিপুরার চায়ের সর্বোচ্চ দাম

ত্রিপুরার চা শিল্পের নতুন রেকর্ড: নিলামে সর্বোচ্চ মূল্য!

ত্রিপুরার চা সেক্টর একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। সম্প্রতি এক নিলামে ত্রিপুরার চা সর্বোচ্চ মূল্য লাভ করেছে, যা চা উৎপাদনকারী রাজ্যটির জন্য একটি আনন্দদায়ক ঘটনা। নিলামের এই নতুন রেকর্ড সারা দেশেই চা শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিলামে ত্রিপুরার “নর্থ ত্রিপুরা গোল্ডেন টি” নামক বিশেষ ধরনের চা ১,৫০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে ত্রিপুরার চায়ের জন্য সর্বোচ্চ দাম। চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি রাজ্যের চা শিল্পের একটি বড় অগ্রগতি এবং দেশের চা বাজারে ত্রিপুরার চায়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

চা শিল্পের নতুন দিগন্ত

ত্রিপুরা রাজ্যের চা শিল্পের জন্য এটি একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে, রাজ্যটির চা গুণগত মানের জন্য পরিচিত হলেও, এর বাজারমূল্য এত উচ্চ ছিল না। বিশেষ করে, ত্রিপুরার চা বিশ্ববাজারে এখনও পুরোপুরি তার স্থান তৈরি করতে পারেনি। তবে, সম্প্রতি রাজ্যের চা উৎপাদন ও বিক্রির পদ্ধতি উন্নত হওয়ার ফলে এমন একটি উজ্জ্বল ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ত্রিপুরা চা উৎপাদনকারী বাগানের মালিকেরা জানিয়েছেন যে, নতুন প্রযুক্তি এবং আধুনিক চা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে চা গুণগত মানের উন্নতি করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ বাজারে তাদের চা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

বিশ্বব্যাপী বাজারে সম্ভাবনা

বিশ্ববাজারে ত্রিপুরার চা রপ্তানির সম্ভাবনা এখন অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে ত্রিপুরার চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে বিশেষ চা প্রস্তুতকারকদের কাছে।

ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী

ত্রিপুরার চা বাগান মালিকেরা এই সাফল্যকে উৎসাহের একটি উৎস হিসেবে দেখছেন এবং তারা আশাবাদী যে আগামী দিনে আরও উন্নত চা উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের ফলে রাজ্যের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। রাজ্য সরকারও চা শিল্পের উন্নয়নে একাধিক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, যা ত্রিপুরা চা বাগানগুলির জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করবে। এই নতুন রেকর্ড রাজ্যটির চা শিল্পের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, এবং চা বাজারে ত্রিপুরার প্রতিযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী শিল্প বিশেষজ্ঞরা।About Us

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল 2024!

মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল 2024!

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যেই ক্ষমতাসীন দলগুলি নতুন করে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে, তবে বিরোধী দলগুলোও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে।

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী দল:

মহারাষ্ট্রের 2024 সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জোট বিপুল বিজয় লাভ করেছে। এই জোটের সাফল্যের ফলে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেবেন। ২৮৮ আসনের মধ্যে ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে শিন্ডে-ব্যস্ত জোট রাজ্য সরকার গঠন করবে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দল হারার পর তার দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে, যা দলের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ঝাড়খন্ডে নতুন রাজনৈতিক সূচনা:

ঝাড়খন্ডে 2024 সালের নির্বাচন অনেকটাই আকর্ষণীয় ছিল। ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খন্ড মুকত মঞ্চ (JMM) এবং কংগ্রেসের জোট আবারও রাজ্যে সরকার গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জোটের বিজয় রাজ্যের জনমনে এক ধরনের আশা সৃষ্টি করেছে। তবে, বিজেপি একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি হিসেবে জায়গা পেয়েছে এবং আগামী দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা চালিয়ে যাবে।

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য:

উত্তরপ্রদেশের 2024 সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের জনতা পার্টি (বিজেপি) পুনরায় একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আবারও রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছেন। ৪০৪ আসনের মধ্যে বিজেপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের জোট প্রায় ২৫০টি আসনে জয়লাভ করেছে। সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে বড় ধরনের সাফল্য লাভে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি-র বিজয়ে রাজ্যবাসী উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতি তাদের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

নির্বাচনের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া:

এই নির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে নতুন করে আকার দেবে। মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-ফড়নবীস জোট এবং ঝাড়খন্ডে সোরেনের নেতৃত্বের মধ্যে সমর্থকদের মধ্যে আশা রয়েছে যে, নতুন সরকার রাজ্যের উন্নয়নশীল কাজগুলো ত্বরান্বিত করবে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পুনরায় নির্বাচিত হওয়া মানে আরও ৫ বছরের জন্য যোগী আদিত্যনাথের শাসন।

বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে এই ফলাফল নিয়ে অভিযোগও উঠেছে। তারা ভোটগ্রহণে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এবং নির্বাচনের ফল পুনঃগণনার দাবি করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু হয়েছে।

নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ:

এই নির্বাচনের পরবর্তী প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, নির্বাচনী প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়ন করা। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নতুন সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষত, কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব কমানো এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে।

শেষ কথা:

2024 সালের মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে তা আগামী দিনের জন্য দেশের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনের ফলাফল রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যতের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।About Us

অদানি গ্রুপ আমেরিকার কাঠগড়ায়

আদানি গুষ্টির উপর তদন্ত চালাতে প্রস্তুত আমেরিকা!

বাজার

অদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এবং এর সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে, এবার তা আন্তর্জাতিক স্তরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অদানি গ্রুপের কিছু আর্থিক কার্যক্রম এবং বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা কোম্পানির সুনাম ও কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলেছে।

মূল অভিযোগসমূহ

  1. হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের এক রিপোর্টে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজি, আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তোলে।
  2. সন্দেহজনক বিনিয়োগ কার্যক্রম: মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এই গ্রুপের কিছু বিনিয়োগ কার্যক্রম “কাজের স্বচ্ছতার অভাব” রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  3. বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট: এই অভিযোগগুলির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিনিয়োগকারী এবং ফান্ড ম্যানেজাররা অদানি গ্রুপ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চিন্তা করছে।

মার্কিন তদন্তের সম্ভাবনা

মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এই অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তুত। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI ইতিমধ্যেই ভারতীয় এই গ্রুপের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে।

অদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া

অদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এইসব অভিযোগ ব্যবসায়িক ইর্ষা এবং ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দমিয়ে রাখার একটি কৌশল।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার প্রভাব ভারতের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু বিনিয়োগকারী সংস্থাও ভারতীয় এই গ্রুপের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারতের বড় সংস্থাগুলির ভূমিকা ও সুনামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।About Us