শ্যামলী আক্রান্ত বাংলাদেশে

বাংলাদেশে আক্রান্ত ত্রিপুরার বাস শ্যামলী!

ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস গাড়ি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়িতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা।

ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। জানান, বাসটি বিশ্বরোডের এক পাস ধরেই যাচ্ছিলো। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময়ে রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে। তাদের সামনেই ভারত বিরোধী নানা স্লোগান দেয় এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা। পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন এবং বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সেদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।About Us

মর্মান্তিক মৃত্যু

খোয়াই নদীর বাঁধের পাড় থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু!

খোয়াই নদী স্থিত চাকমাঘাটের বাঁধের পার বাঁধানো সিঁড়ি থেকে পরে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির! মৃত ব্যক্তির নাম নেপাল দেবনাথ(৪৮)। ঘটনা, শুক্রবার গভীর রাতে তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাট এলাকায়।

পরিবারের লোকজনদের বক্তব্য অনুযায়ী খবরে প্রকাশ, মৃত নেপাল দেবনাথ নাকি অধিকাংশ সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকতো। শুক্রবার রাতেও নাকি নেপাল দেবনাথ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় চাকমাঘাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয় লোকজনদের প্রাথমিক ধারণা, হয়তো অতিরিক্ত নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকার ফলে সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে যায় নেপাল দেবনাথ। আর এতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নেপাল দেবনাথের।

এলাকার লোকজন তৎক্ষণাৎ ঘটনার খবর পাঠায় তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের, ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে নেপাল দেবনাথের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নেপাল দেবনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে নেপাল দেবনাথের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার জেরে গোটা চাকমাঘাট সহ এর আশপাশ এলাকায় ব্যাপক শোকের আবহ বিরাজ করছে।।About Us

স্ট্রীট ভেন্ডরদের ঋন প্রদান

স্ট্রীট ভেন্ডরদের আত্মনির্ভর করে তুলতে ঋন প্রদান!

আগরতলা শহরের স্ট্রিট ভেন্ডারদের আত্মনির্ভরশীল করতে তাদের ঋন প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে পুর নিগম। ১৪১৭ জন ভেন্ডারকে এখন পর্যন্ত ঋন প্রদান করা হয়েছে। কোভিড- মহামারিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে স্ট্রীট ভেন্ডররা আর্থিকভাবে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী পিএম স্বনিধি যোজনা নামে একটি স্কীম চালু করা হয়।

ভেন্ডরদের আর্থিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে । এই স্কীমে ভেন্ডরদের দশ হাজার টাকা জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই টাকা এক বছরের মধ্যে ফেরত দিলে পরবর্তীতে কুড়ি হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সংস্থান রয়েছে এই স্কীমে।গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘স্ব-নিধি ভি স্বভিমান ভি পখোয়ারা’ এর পক্ষকাল ব্যাপী প্রচারনা অভিযানের অঙ্গ হিসেবে আগরতলা পুর নিগমের পূর্ব জোনাল অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্ট্রীট ভেন্ডরদের হাতে চেক তুলে দেন মেয়র দীপক মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব জোনের চেয়ারম্যান কর্পোরেটর সুখময় সাহা সহ পূর্ব জোনের অন্যান্য কর্পুরেটরগন।

এই ঋণ প্রদানের পাশাপাশি ভেন্ডরদের জন্য স্বাস্থ্য শিবিরের ও আয়োজন করা হয়। মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাধারা কে মান্যতা দিয়ে আগরতলা পুর নিগম এলাকার স্ট্রীট ভেন্ডরদের আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা সকলকে আত্মনির্ভর করার। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের স্ট্রীট ভেন্ডরদেরই নয়, পুর এলাকার প্রতিটি ভেন্ডারকেই এই সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পুর নিগম এলাকায় ১৪১৭ জন স্ট্রীট ভেন্ডরকে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ৪৪৮ জনকে কুড়ি হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং ১১৩ জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি সময় মতো ঋণ পরিশোধ করার উপর গুরুত্ব দেন।About Us

রাজ্যে 4 দিনব্যাপী মিডিয়া ওয়ার্কশপ

রাজ্যে ৪ দিনব্যাপী মিডিয়া স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপের উদ্বোধন!

রাজ্যের বর্তমান সরকার সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আন্তরিক। সাংবাদিকদের সমস্যাগুলি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেস ক্লাবে ৪ দিনব্যাপী মিডিয়া স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং আগরতলা প্রেস ক্লাবের লিফটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হয় না। অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। আগরতলা প্রেস ক্লাবে লিফট বসানোর ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে সংবাদ জগতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় বহিরাজ্যের মিডিয়া এবং সংবাদপত্রের উপর রাজ্যের পাঠকবর্গ বেশি নির্ভরশীল হলেও এখন স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির উপর পাঠক ও শ্রোতাগণের আকর্ষণ অনেকগুণ বেড়েছে। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রেও গুণগত দিক দিয়ে চ্যানেলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

ফেক নিউজ কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিউজ যাতে ভিউজ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, সব পেশার ক্ষেত্রেই কর্মশালা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির বিরাট ভূমিকা এসে গেছে। চ্যালেঞ্জিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়ার্কশপে আলোচনা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, সংবাদমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সমাজ গঠনে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকতার পরিধি এখন অনেক বেড়েছে। প্রকৃত অর্থেই ট্রেডিশনাল মিডিয়া এখন এক চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকদিন পর রাজ্যে আসার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগরতলা বিমানবন্দর থেকে রাজ্য অতিথিশালায় আসার রাস্তার চেহারা দেখে বুঝা গেছে আগরতলা অনেক পাল্টে গেছে। উন্নয়নের যে ব্যাপক ছোঁয়া লেগেছে তা স্পষ্ট। এরজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগরতলা শহর যে ভবিষ্যতে মেট্রো শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে তা শহরে আসার পরই বুঝা গেছে।

আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, আজ সাংবাদিকদের জন্য খুবই আনন্দের দিন। আগরতলা প্রেস ক্লাবে লিফট বসানোর উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, সমগ্র বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের দক্ষ করে তোলার জন্য এ ধরনের কর্মশালার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নিয়মিতভাবেই এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। সমাজের কল্যাণে সাংবাদিকরা অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

তিনি জানান, আগরতলা প্রেস ক্লাবে লিফট বসাতে প্রায় ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে। মুখ্যমন্ত্রী বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ির হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন।About Us

এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির রেড রান


ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির রেড রান প্রতিযোগিতা!

পশ্চিম জেলার AIDS কন্ট্রোল ইউনিটের উদ্যোগে ও ত্রিপুরা রাজ্য এইডস সোসাইটির সহযোগিতায় পশ্চিম জেলা ভিত্তিক রেড রান প্রতিযোগিতা আজ সকালে রাজধানী আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়। আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার উমাকান্ত একাডেমির সামনে থেকে এই রেড রানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র AIDS-র বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এধরণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই রোগ প্রতিরোধে সম্মেলিত ভাবে প্রয়াস চালাতে হবে। পরে পুরুষ ও মহিলা বিভাগে ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার শেষে উভয় বিভাগে প্রথম ১৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

About Us

অস্নাতক ও স্নাতক শিক্ষক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্নাতক ও স্নাতক শিক্ষক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত!

রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১,৫৬৬ টি অস্নাতক ও স্নাতক শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ১,০৯৯টি অস্নাতক শিক্ষক পদ এবং ৪৬৭টি স্নাতক শিক্ষক পদ। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান।

তিনি জানান, গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষক পদগুলি সৃষ্টি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া টিআরবিটি’র মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তাছাড়াও গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের ১২৫টি বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের জন্য ১১২ জন স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফিক্সড-পে ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটনমন্ত্রী আরও জানান, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে ১৯৮ জন জুনিয়র ইঞ্জিনীয়ার (ডিগ্রী-১০৫ ও ডিপ্লোমা-৯৩) নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। টিপিএসসি’র মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।About Us

১৫ বছরের পুরনো গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত

১৫ বছরের পুরনো ৪১২টি সরকারি গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত

রাজ্যে ১৫ বছরের পুরনো ৪১২টি সরকারি গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ৪১২টি গাড়িকে স্কেপিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সরকারি ৪১২ টি গাড়িকে সনাক্ত করা হয়েছে৷ রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার প্রজ্ঞা ভবনে যানবাহন স্ক্র্যাপিং নীতি এবং ই-নিলামের মাধ্যমে বিভাগীয় যানবাহন বিক্রির উপর একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যেই ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। পুরনো গাড়ি থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত হয় তাতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি দপ্তরে ব্যবহৃত ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি গুলি বাতিল করার। এ ব্যাপারেই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


পরিবহনমন্ত্রী জানান,২০২২ সালেই ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার৷ লক্ষ পরিবেশ নির্মল ও সতেজ রাখা৷ রাজ্যে এমএসটিসে স্ক্রেপিং করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান, পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তার পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে দেশ জুড়ে গাড়ি বাতিল কেন্দ্র (ভেহিক্‌ল স্ক্র্যাপিং ফেসিলিটি) গড়ার পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র।
গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই ভারত ‘স্ক্র্যাপিং হাব’ হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখে। আর ভারত হাব হয়ে উঠল বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকেও পুরনো গাড়ি এখানে এনে ওই সব কেন্দ্রে বাতিল করা যাবে। যা নতুন ব্যবসার দিশা খুলবে।


দূষণ কমাতে ও পুরনো অযোগ্য গাড়ি বাতিল করতে এই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় সরকার। সেই ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে যে নীতি তৈরি হয়েছে, তাতে পুরনো বাতিল করে নতুন গাড়ি কিনলে করে ছাড় দেবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।About Us

গোমতী মিল্ক সমবায়ের নতুন বোর্ড

কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও বেকারের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব গোমতী মিল্ক সমবায়ের!

লোকসানে চলা গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউনিয়নের নতুন বোর্ড। গ্রহন করেছে একাধিক নতুন নতুন কর্মসূচি। একদিকে ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখানো, পাশাপাশি দুধ সহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পুষ্টিকর খাদ্য নাগরিকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া এই মূহুর্তে মূল লক্ষ্য। একটা সময় ছিল যখন শুধু দুধ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দই, পনির, আইসক্রিম ও ঘী উত্পাদন শুরু হয় ইন্দ্রনগর ডেয়ারি থেকে। তার আগেও এই চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।

কিন্তু ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দই, পনির, আইসক্রিম ও ঘী শুধু উত্পাদনই হয়নি, ১৫ টা ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে তা রেশন ভোক্তাদের কাছে ভর্তুকিতে বিক্রি শুরু হয়। ইউনিয়নের বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহন করে দই বিক্রিতে ১৫ শতাংশ, আইসক্রিম বিক্রিতে ২২ শতাংশ এবং ঘী বিক্রিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত মোতাবেকই বিক্রি হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই আরও ৭ টি রেশন সপ্ আবেদন করেছে দুধ, দই, আইসক্রিম ও ঘী বিক্রি করার জন্য অনুমতি দিতে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্টের জমানায় গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নকে লোকসানে ফেলে গিয়েছিল তখনকার বোর্ড। ঋনের ভাড়ে জর্জরিত ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখাতে সচেষ্ট হয় বর্তমান বোর্ড। এই লক্ষ্যে গত ৬ মাস পূর্বে গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতি করতে শুরু করে। নাম দেওয়া হয়েছে “পিউর লাইট”। যেহেতু উন্নত মানের তাই বাজার থেকে ডেয়ারির মিনারেল ওয়াটারের দাম খানিকটা বেশি।

ইউনিয়নের মূল ভিত্তি হলো ১৯০ টি সমিতি। তাই সমিতি গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা ইউনিয়নের প্রধান দায়িত্ব। তার জন্য প্রতি বছর শেষে ১৯০ টি ইউনিয়নকে বোনাস্ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় । প্রতি লিটারে ৩ টাকা করে বোনাস্ দেওয়া হয়। তাছাড়া ভর্তুকিতে সমতিগুলোকে গো খাদ্য দেওয়া হয়। যেখানে খোলা বাজারে প্রতি কেজি গো খাদ্যের দাম কম করেও ৩৮ টাকা। সেখানে গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দামে কৃষকদেরকে সরবরাহ করা হয় সমিতি গুলোর মাধ্যমে।

উল্লেখ করার বিষয় হলো, গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন কে যেমন লোকসান থেকে টেনে তোলা জরুরি তার চেয়েও বেশি জরুরি ইউনিয়নের মাধ্যমে কৃষকদের এবং পশু পালকদের আয় বাড়ানো। তার জন্য আগামী দিনে রাজ্যের প্রকৃতি সম্পদ ও কাঁচা মালের উপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন খাদ্য পন্য উত্পাদন করার চিন্তা ভাবনা করছে ইউনিয়ন। তার জন্য গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের তরফ থেকে একটি রিসার্চ গ্রুপ তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে আগামী দিনে খাদ্য প্রক্রিয়া করনের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের পাহাড় ও সমতলের বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।About Us

যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে মূখ্যমন্ত্রী!

নমো যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে প্রধান বক্তা মূখ্যমন্ত্রী!

কেন্দ্রীয় সরকারের সুরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ইস্যুতে উদ্বেগ ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানী শহরে নমো যুব যাত্রা বাইক র‍্যালি ও সমাপন সমাবেশে অংশগ্রহণ করে এই কঠোর বার্তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের সমালোচনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নমো যুব যাত্রার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ জেলার প্রান্তিক শহর সাব্রুম থেকে এই র‍্যালি শুরু হয়ে রাজ্যের ১০টি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। এরপর আজ রাজধানীর রবীন্দ্র ভবন চৌমুহনীতে এসে সম্পন্ন হয়। এরআগে এয়ারপোর্ট সড়কের এলবার্ট এক্কা পার্ক চত্বর থেকে আয়োজিত বাইক র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্র ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে জড়ো হয়।

নমো যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেন যুবদের ঐক্য ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং দেশ শক্তিশালী হতে পারে না। আজকের এই কার্যক্রম খুবই ভালো হয়েছে। আমি নিজে বাইক চালিয়ে যুবশক্তিকে উৎসাহিত করেছি। এতে সবাই খুশি। আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি। আমরা ত্রিপুরাকে মাদকমুক্ত করার স্লোগান তুলেছি এবং সেটা বাস্তবায়িত করবো। এদিন সিপিএম ও কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। তারপরও তারা ভিত্তিহীন দাবি করে চলেছে। তবে এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী সবসময় উন্নয়নের কথা বলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় আমাদের ত্রিপুরা সরকারও একই পথে কাজ করছে। আমরা উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

যুবদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে থেকে নিজেদের জীবন নষ্ট না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমি যুবদের, যারা বিরোধী দলের সঙ্গে রয়েছেন তাদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার জন্য অনুরোধ রাখছি। কারণ সদস্যতা অভিযান এখনও চলছে। আর এই সুযোগ মিস করবেন না। যুবদের বিরোধী দলের ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং আমরা গণতান্ত্রিক নীতির ভিত্তিতে কাজ করি”। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা সবসময় উশৃঙ্খল রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং কংগ্রেস দল শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতিতে উশৃঙ্খলতায় লিপ্ত।

এদিন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা ইস্যুতে সনাতন ধর্মকে সুরক্ষিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়টি নজর রেখে চলেছেন। একইভাবে আমাদের অবশ্যই সংযমের সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা গোটা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে নজর রাখছি এবং আমি ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি রাখা হয় এবং কোন অনুপ্রবেশকারী যাতে সীমান্ত অতিক্রম না করতে পারে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যুতে নীরবতার জন্য বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারা শুধু ইরাক কিংবা অন্য ইস্যু নিয়ে কথা বলে, রাস্তায় নামে। যদিও এই বিষয়ে তারা নীরব ভূমিকা পালন করে।
এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশ প্রভারী ডঃ রাজদীপ রায়, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, বিধায়ক ভগবান দাস, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা সহ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ যুব মোর্চার বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব।About Us

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ত্রিপুরা সফর

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের “গোপনে” ত্রিপুরা সফর!

প্রচারের আলোকে ফাঁকি দিয়ে দুইদিন ত্রিপুরা সফর করে গেলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। ত্রিপুরায় কেন এলেন, কখন এলেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ্যে আসার আগেই তিনি আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে রাজ্য ত্যাগ করেন।

এরিক গারসেটি আগরতলা বিমানবন্দরে আয়োজিত এক বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এই বিশেষ উদ্যোগে তিনি একটি চারাগাছ রোপণ করেন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় এমন প্রকল্পের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি সকলকে ত্রিপুরার সৌন্দর্য উপভোগ করতে উৎসাহিত করেন। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সংস্থা তাদের ৮০তম বর্ষপূর্তিতে সারা দেশে ৮০,০০০ চারাগাছ রোপণের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আগরতলা বিমানবন্দরে ১,৫০০ চারাগাছ রোপণ করা হবে। সবুজায়নের পাশাপাশি, এএআই পরিবেশবান্ধব বিমানবন্দর তৈরিতে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য নিয়েছে।

এরিক গারসেটি আগরতলার উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বৃক্ষরোপণকে সুস্থ ভবিষ্যৎ এবং মজবুত বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করেন। ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং নারী উদ্যোগিদের কাজ দেখে তিনি অভিভূত হন। রাষ্ট্রদূত গারসেটি আমেরিকানদের ত্রিপুরার অনন্য সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস আবিষ্কার করার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “ভারত শুধু বড় শহরগুলির জন্যই নয়, আগরতলার মতো বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলির জন্যও বিশেষ।”

দুই দিনের সফর চলাকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে অবস্থান করেছিলেন। এরপর প্রগতি রোড সংলগ্ন এলাকায় জনজাতি যুবদের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। যদিও গোটা বিষয়টি প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে ছিল। বাংলাদেশে যখন অস্থির পরিস্থিতি চলছে সে জায়গায় অনেকটা গোপনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ত্রিপুরা সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই মার্কিন সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ঝটিকা সফরের অন্য কোন তাৎপর্য আছে কিনা সেটা বলবে সময়ই।About Us