HAPPY NEW YEAR

HAPPY NEW YEAR-2025: Straightlines News  এর পাঠকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
নতুন বছর ২০২৫-এর আগমন উপলক্ষে Straightlines News-এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রণাম। আমি, ভূপাল চক্রবর্তী, Straightlines News-এর সম্পাদক হিসেবে, আমাদের পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যাঁরা আমাদের প্রতি তাঁদের অবিচল ভালোবাসা এবং আস্থা রেখে চলেছেন।

নতুন বছর মানে নতুন আশা, নতুন উদ্যম এবং নতুন লক্ষ্য। ২০২৪ সাল আমাদের জন্য ছিল চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের একটি মিশ্রণ। একদিকে যেমন আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি দেখেছি, অন্যদিকে কিছু চ্যালেঞ্জও ছিল যা আমাদের দৃঢ়তায় আরও শক্তিশালী করেছে।

২০২৫ সালটি আমাদের সবাইকে আরও ভালো সুযোগ এবং সমৃদ্ধি এনে দেবে এই প্রত্যাশা করছি। এই বছরে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, আপনাদের সত্য ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনে আমরা আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব। আপনাদের জীবনে নতুন বছরের আলো আরও উজ্জ্বল হোক, সাফল্যের রং লেগে থাকুক, আর পরিবারের সঙ্গে সুখ ও শান্তিতে ভরে উঠুক।

আমরা আশা করি, এই বছর সমাজের উন্নতি, পরিবেশ রক্ষা এবং সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব। Straightlines News সর্বদা নির্ভুল তথ্য এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকবে।

এই শুভ মুহূর্তে, আমরা আপনাদের কাছ থেকে আরও সমর্থন এবং ভালোবাসার প্রত্যাশা করছি। নতুন বছর আপনাদের জীবনে শান্তি, সুখ এবং সফলতার বার্তা নিয়ে আসুক।

Straightlines News-এর পক্ষ থেকে আবারও জানাই, “Happy New Year -2025”
আপনারা সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে অংশীদার হন।

ভূপাল চক্রবর্তী
সম্পাদক, Straightlines News

২০২৪

২০২৪ ভারতের জন্য এক স্মরণীয় এবং পরিবর্তনশীল বছর

২০২৪ সাল ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘটনাবহুল বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই বছরটি ছিল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সময়। ভারতের দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ অর্থনীতি দেশের ভেতরে এবং বাইরের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

২০২৪ সালের ভারতের রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান ঘটনা ছিল লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং নতুন প্রজন্মের ভোটারদের অংশগ্রহণের কারণে এই নির্বাচন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ক্ষমতাসীন দল তার উন্নয়নের এজেন্ডা বজায় রেখে একটি নতুন মেয়াদে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব এবং পরিকল্পনা: নতুন নেতৃত্ব দেশে উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, এবং কর্মসংস্থান তৈরির মতো বিষয়গুলো এই বছরের রাজনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

অর্থনৈতিক উন্নতি

২০২৪ সালে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং বিকাশ ঘটিয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি, ভারত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

উৎপাদন শিল্পে প্রবৃদ্ধি: “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং “আত্মনির্ভর ভারত” কর্মসূচির মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন শিল্পে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাড়ার কারণে কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং নতুন উদ্যোগের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হয়েছে।

স্টার্টআপ সংস্কৃতি:- ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উল্লেখযোগ্য প্রসার লাভ করেছে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপগুলো ব্লকচেইন, এআই এবং ফিনটেক সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

কৃষি খাতে পরিবর্তন:-  কৃষি খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করেছে।

প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন

২০২৪ সালে ভারত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মেশিন লার্নিং (এমএল), এবং ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

৫জি প্রযুক্তির বিস্তার:- সারা দেশে ৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে, যা যোগাযোগ এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা:- ডিজিটাল হেলথ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরও অ্যাক্সেসযোগ্য হয়েছে। টেলিমেডিসিন এবং এআই-ভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সেবা গ্রামীণ এলাকায় সেবা প্রদান সহজ করেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি:- শিক্ষা ক্ষেত্রে এডটেক প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং ডিজিটাল লার্নিং টুল শিক্ষার মান উন্নত করেছে।

পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন

পরিবেশগত দিক থেকে ২০২৪ ছিল ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। দেশের পরিবেশগত সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন:- সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি উৎপাদনে ভারত উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্যোগ:- ভারতের “মিশন লাইফ” এবং “জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা” প্রকল্পগুলো দেশে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

শহরায়ণ এবং পরিবেশ রক্ষা:- শহুরে এলাকায় সবুজায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক।

সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অগ্রগতি

ভারতের সমাজ এবং সংস্কৃতি ২০২৪ সালে আরও সমৃদ্ধ এবং বহুমুখী হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন প্রতিভা এবং সৃজনশীলতার উত্থান ঘটেছে।

চলচ্চিত্র এবং বিনোদন:- বলিউড এবং আঞ্চলিক চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন কাহিনি এবং বিষয়বস্তুর বিকাশ ঘটেছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ভারতীয় গল্পগুলোকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

লেখালেখি এবং শিল্প:- ভারতীয় সাহিত্য এবং শিল্পের ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের লেখক এবং শিল্পীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিতি পেয়েছে।

খেলাধুলায় অগ্রগতি:- ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। অলিম্পিক এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের ক্রীড়াবিদরা উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

যদিও ২০২৪ সাল ভারতের জন্য ছিল উল্লেখযোগ্য সাফল্যের বছর, তবুও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০২৪ সাল ভারতের জন্য এক পরিবর্তনের বছর ছিল। এই বছর অর্জিত সাফল্য এবং অভিজ্ঞতা দেশের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। ২০২৫ সালের দিকে এগিয়ে যেতে, ভারত তার অগ্রগতির গতিকে অব্যাহত রেখে বৈশ্বিক মঞ্চে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।

ত্রিপুরা

ত্রিপুরায় আবারো বাড়ানো হলো এমবিবিএস কোর্সের আসন সংখ্যা!

ত্রিপুরার ‘টিএমসি তথা ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে’ এমবিবিএস কোর্সে আসনসংখ্যা বাড়লো আবারো। কলকাতা বা দক্ষিণের রাজ্যে যেতে হবে না, ত্রিপুরাতেই মেডিক্যাল হাব গড়ার পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মাণিক সাহার। আগরতলার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে আরো ৫০ টি আসন বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যে এমবিবিএস করছে আসল সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৫০ টি।

এই আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা, কারণ এর ফলে ত্রিপুরা রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসক হবার স্বপ্ন পূরণ যেমন ঘটবে, তেমনি রাজ্যের চিকিৎসকের সংকট দূর করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এর আগে গত জুন মাসে রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা প্রসারে রাজ্য সরকারের নিরন্তর প্রয়াসের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ন্যাশনেল মেডিক‍্যাল কাউন্সিল (এনএমসি) আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা ১০০ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০ করলো। রাজ্যের জনগণকে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। এরই অঙ্গ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে সরকার সুপার স্পেশালিস্ট-সহ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। পাশাপাশি এমবিবিএস, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (পিজি)-সহ চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের সুযোগ্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজ এন্ড আইজিএম হাসপাতালে অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করছে ত্রিপুরা সরকারও। এরজন্য পরিকাঠামো ও জনশক্তির প্রয়োজন। এরও ব্যবস্থা করছে সরকার। ডাক্তারদের অধিক নিয়োগ করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছেন স্পেশালিস্ট, সুপার স্পেশালিস্ট। যেটা আগে ত্রিপুরায় কল্পনাও করা যেত না।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্র, ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যেগুলিতে লাল সতর্কতা!

বাংলাদেশ এখন আরোও বেশি অশান্ত হয়ে উঠেছে। ও পার থেকে ক্রমাগত ভারত বিরোধী মন্তব্য। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও কেরল থেকে, ‘আনসারুল্লা বাংলা’র আট জঙ্গিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার ভারত উপমহাদেশীয় শাখা আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমটি ভারত জুড়ে নাশকতার ছক কষছে। তার উপর সারের বস্তার আড়ালে আরডিএক্স আমদানি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এনইসির বৈঠকে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। সীমান্ত নিরাপত্তা কতটা। বিএসএফের শক্তি কেমন আছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে যে সব সীমান্ত এলাকায় কাটা তারের বেড়া হয় নি সেসব সীমান্তে দ্রুত কাটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। কিন্তু বাংলাদেশে আরডিএক্স আমদানির খবরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বভারতীয় সংবাদ এজেন্সির সুত্রে জানা গেছে ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে জাহাজটি করে সারের বস্তার আড়ালে প্রচুর পরিমাণে আরডিএক্স পাচার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সন্ত্রাসের ছক করেছে। ইতিমধ্যে বিস্ফোরক আরডিএক্স আমদানির খবর ছড়িয়ে পড়তে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে বলে খবর। এই সময়ে সীমান্ত নিরাপত্তা কতটা তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খোঁজখবর নিচ্ছে। যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত টপকে বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদীরা এই রাজ্যে তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নাশকতার বীজ বপন করতে না পারে। মান্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সীমান্তে বিএসএফের শক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে খবর । পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় ত্রিস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরা ভারতকে অশান্ত করার ছক করছে। তাদের লক্ষ্য হলো মোদির স্বপ্নের অষ্টলক্ষ্মীকে অশান্ত করা। উত্তর পূর্বাঞ্চলে রাজ্যগুলোতে এখন শান্তি বিরাজমান। শুধুমাত্র মনিপুরে অশান্তির আগুন জ্বলছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও অসমে বড়সড় কোনও নাশকতা ঘটাতে ‘কনসাইনমেন্ট’ পাঠাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে সমস্ত এজেন্সি, সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর মণিপুরে জাতি বিদ্বেষকে ঘিরে শুরু হওয়া অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গিদের সঙ্গে ‘সখ্যতা বেড়েছে আইএসআই এবং তাদের বাংলাদেশি দোসর এবিটি, জেএমবি, হিজবুত তাহিরের মতো সংগঠনের। এমনিতেই ত্রিপুরার সীমান্তগুলো অনুপ্রবেশের উত্তম জায়গা। সক্রিয় মানব পাচার চক্র। গত আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার পর অনুপ্রবেশ বেড়েছে।

এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর ৭২০ টন সার চাপিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাফকো জেটি থেকে জাহাজটি রওনা দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে। গোয়েন্দারা বলছেন, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ এর কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামে এসে ভিড়েছিল। সেই জাহাজে বাংলাদেশের জন্য সার রয়েছে বলে দাবি করা হলেও, তাতে বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ইউনুস এবং তাঁর সরকারের সহযোগীরা বারবার হুমকি দিচ্ছে, সেভেন সিস্টারকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার। সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের ‘খসড়া’ই হল, চাঁদপুরের জাহাজ থেকে আরডিএক্স এবং অস্ত্রশস্ত্র নামানো। যে জাহাজে চাপিয়ে আরডিএক্স ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হল, তাহলে কেন খুন করা হল তার ‘মাস্টার’ সহ সাতজন নাবিককে? তার মানে আরডিএক্স আমদানির খবর চাউর হতেই বিপদ বুঝে বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে আরডিএক্স আমদানির খবরে কেন্দ্র কোন ঝুঁকি নিতে নারাজ।তাই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

AI

AI -কি আমাদের জীবনকে গ্রাস করে নিচ্ছে!

AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর প্রভাব সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুভূত হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে AI -এর ভূমিকা আরও বিস্তৃত ও গভীর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  AI -এর বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, এবং এটি কীভাবে বৈশ্বিক পরিসরে প্রভাব ফেলতে পারে, তা বিশদভাবে আলোচনা করা যাক।

AI -এর বর্তমান অবস্থা

এআই বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ব্যবসা, বিনোদন, এবং পরিবহন। স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, চ্যাটবট, ভাষা অনুবাদক, এবং ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ব্যবহৃত এআই সিস্টেমগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এআই-এর মাধ্যমে বড় ডেটা বিশ্লেষণ, পূর্বাভাসমূলক মডেল তৈরি, এবং জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে।

ভবিষ্যতে AI -এর সম্ভাবনা

কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি

এআই-এর অগ্রগতির ফলে কর্মসংস্থানের ধরন ও প্রকৃতি পরিবর্তিত হবে। অনেক প্রচলিত কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে, যা কিছু পেশার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তবে, নতুন প্রযুক্তি ও সেবার উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। ম্যাককিনজি গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ১২ বছরে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

স্বাস্থ্যসেবা

এআই-এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা, এবং রোগীর পরিচর্যা আরও উন্নত ও কার্যকর হবে। এআই-চালিত সিস্টেমগুলি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করতে সক্ষম, যা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সহায়তা করবে। এছাড়া, জেনেটিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসার সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষা

শিক্ষাক্ষেত্রে এআই-এর ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এআই-চালিত টিউটরিং সিস্টেম শিক্ষার্থীদের শক্তি ও দুর্বলতা অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবে, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।

পরিবহন

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ও ড্রোনের ব্যবহার ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে। এআই-এর মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা হ্রাস, এবং জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব হবে।

বিনোদন

এআই-এর মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি, ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ, এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে। এআই-চালিত সিস্টেমগুলি ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী বিনোদন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।

AI -এর চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি

নৈতিকতা ও গোপনীয়তা

এআই-এর ব্যবহারে নৈতিকতা ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠছে। ব্যক্তিগত ডেটার সুরক্ষা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা, এবং এআই-এর মাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

কর্মসংস্থানের হ্রাস

এআই-এর কারণে কিছু পেশায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পেতে পারে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

নিরাপত্তা

এআই-এর অপব্যবহার, যেমন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বা সাইবার আক্রমণে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে বিশ্বে গভীর প্রভাব ফেলবে, যা আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে। এআই-এর সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি, যাতে আমরা একটি উন্নত, ন্যায়সঙ্গত, এবং নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।

৩১ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান

৩১ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশ নিতে যাচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য!

৩১ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস এবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মধ্য প্রদেশের ভূপাল শহরে। তিন জানুয়ারী থেকে ছয় জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস। এটি ভারত সরকারের একটি সর্ববৃহৎ শিশুদের বিজ্ঞান মঞ্চ, যেখানে সব কয়টা রাজ্যের মেধাবী ও বিজ্ঞান মনস্ক শিশুরা অংশ গ্রহণের সুযোগ পায়। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা মহকুমা ও রাজ্যস্তর পেরিয়ে রাজ্য স্তরের জন্য নির্বাচিত হয়।শিশুরা তাদের নির্বাচিত উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে তার বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধান, বিশ্লেষ, ফলাফল ও তার প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করে বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে।প্রতি বছরের ন্যায় এবারো রাজ্য থেকে ১০ জন ছাত্রছাত্রী ভূপাল রওনা হচ্ছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। ত্রিপুরা রাজ্যের এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে ত্রিপুরা সায়েন্স ফোরাম। সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা এবং সভাপতি হিসেবে আছেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জ্যোতি প্রকাশ রায় চৌধুরী। দলের সাথে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রধান কোর্ডিনেটর ও সংস্থার সচিব পান্না চক্রবর্তী, একাডেমিক কোর্ডিনাটর হিসেবে আছেন রামধন দেব ।

আগরতলায়

আগরতলায় দুদিনের সফরে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রী

আগরতলায় এফ.সি.আই-এর রিজিওনাল অফিস স্থাপন করা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করা হবে। একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী শনিবার সম্মতি প্রদান করেছেন৷ শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর পৌরহিত্যে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক এবং পুনর্নবীকরন শক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি রাজ্য সচিবালয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। দুদিনের সফরে শনিবারই আগরতলায় আসেন তিনি। এম বি বি বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বি জে পি ‘ র প্রদেশ সাধারন সম্পাদক তথা বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যরা। দুপুরে তিনি আগরতলার নন্দননগরে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা ছাড়াও রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ, খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশিকে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ বেতের তৈরি মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের প্রতিকী স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গনেশের মূর্তি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কাজ করছেন তা গত ৭৫ বছরে হয় নি। রাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরের যে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সেইসব বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের কাজ চলছে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসির ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল আজ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি রাজ্যে অনুষ্ঠিত উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২ তম প্ল্যানারি সেশনের আয়োজন এবং এর ইতিবাচক দিকগুলির কথা উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে পর্যটন, কৃষি ও উদ্যান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। এরফলে রাজ্যে মাথা পিছু গড় আয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠোর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় নগর উন্নয়ন ও জল সম্পদ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব তাপস রায়, মুখ্য বন সংরক্ষক চৈতন্য মূর্তি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের চিত্র সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার রাজ্যের খাদ্যগুদাম সমূহের সংস্কার সহ বিভিন্ন বিষয় সমূহ নিয়ে তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আগরতলায় অনুষ্ঠিত উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্ল্যানারি সেশনে অংশ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের উন্নয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের সাথে আন্তরিকতার সাথে সরাসরি কথা বলেন ও তাদের বিষয়ে খোঁজ খবরও নিয়েছেন। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। রাজ্য সফরের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিবার চড়িলামে ট্রেডার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন এবং স্থানীয় জনগনের সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির দর্শন করে আগরতলায় ফিরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

জিবি হাসপাতালে

জিবি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে শষ্যাসংখ্যা বাড়ছে ২০

জিবি হাসপাতালের পরিষেবা আরো উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার নির্দেশে। মানুষ যাতে হাসপাতালে গিয়ে সঠিক পরিষেবা পায়, চিকিৎসার জন্য বহিরাজ্যে ছুটতে না হয় তার জন্য সক্রিয় স্বাস্থ্য দপ্তর এমনিতেই জিবি হাসপাতালের পরিষেবা এখন উন্নত। সব ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা হচ্ছে জিবিতে। পরিকাঠামো ব্যবস্থা আর উন্নত করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয় জটিল অপারেশন হচ্ছে জিবিপি হাসপাতালে। ডাক্তার মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনিয়ার সরকার দুটি রেফারেল হাসপাতাল সহ জেলা হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে। জিবি হাসপাতাল থেকে রেফার অনেকটাই কমেছে। চিকিৎসক স্বল্পতা দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অপারেশন সফলতার সাথে হচ্ছে। এবার নতুন বছরের শুরুতেই আরো দুটি সুপার স্পেশালিটি সার্ভিস চালু হচ্ছে জিবি হাসপাতালে। জিবি হাসপাতাল সুত্রে খবর এই দুটি সুপার স্পেশালিটি সার্ভিস হল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি ও গ্যাসটো সার্জারি। এই দুটি সার্ভিসের জন্য দুজন স্পেশালিস্ট চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন শীঘ্রই জিবি হাসপাতালে কুড়ি শয্যার গ্যাস্ট্রোলজিও গ্যাস্ট্রো সার্জারির অন্তবিভাগ চালু হচ্ছে। সম্প্রতি জিবি হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এই দুটি রোগের চিকিৎসায় বর্হিবিভাগের পরিষেবা পাচ্ছেন রোগীরা। জিবি হাসপাতালের নয়টি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবার মধ্যে সাতটির আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবা রয়েছে। যেমন নিউরোর দুটি, কার্ডিওর দুটি, প্লাস্টিক সার্জারির দুটি, ইউরো এবং নেফ্রলজি দুটি করে আউটডোরও ইনডোর বিভাগ রয়েছে। মেডিসিন বিভাগে রোগীর চাপ কমাতে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে ৩০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে পুরুষ ও মহিলা মিলে ১৯০ বেড রয়েছে। ধীরে ধীরে ২৮০ লক্ষ্য মাত্রা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ চলছে বলে খবর। একই ছাদের নিচে মা ও শিশুর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য জিবি হাসপাতালে গড়ে উঠবে অত্যাধুনিক মেটারনেট চাইল্ড হেলথ বিল্ডিং বা এমসিএইচ ভবন। খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু হচ্ছে। জিবি হাসপাতাল সুত্রে খবর, এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম আভিম প্রকল্পে ২০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট এ অত্যাধুনিক বিল্ডিং এর কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রাজ্য পূর্ত দপ্তর। বর্তমানে মা শিশু চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে ২৬০ শয্যা বিশিষ্ট ওয়ার্ড রয়েছে। গত বছর থেকে জিবি হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি সার্ভিস চালু হয়েছে। একই ছাদের নিচে অনেকগুলো ওয়ার্ড। নেফ্রোলজি থেকে শুরু করে মেডিসিন, ডায়ালিসিস বিভাগ রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক পরিসেবা প্রদানের ব্যাবস্থা। জিবিতে বর্তমানে চারটি সুপার স্পেশালিটি সার্ভিস ইনডোরে ও পাঁচটি সার্ভিস চালু রয়েছে আউটডোরে। এছাড়া সুপার স্পেশালিটি সার্ভিস এর জন্য ডায়োগনস্টিক সার্ভিস ফেসিলিটি হিসাবে আলাদা ক্যাথল্যাব চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই চালু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী জিবির চিকিৎসকরা।

সরকারি প্রকল্প

সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে টিসিএস অফিসাররা!

সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সমাজের জন্য ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস (টিসিএস) অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জনসাধারণের সমস্যা সমাধান করা ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তারা। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলি সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক শ্রেণির কাছে পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করেন টিসিএস অফিসাররা। তারা সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতু হিসেবেও কাজ করেন। শনিবার আগরতলার দশমীঘাটে ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আগরতলা পুর নিগমের ৩৪ নং ওয়ার্ডের দু:স্থদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার এসোসিয়েশন নিয়মিতভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে। আগেও এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আগরতলা পুর নিগমের ৭০০ জন স্যানিটেশন কর্মীকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছিল। এ ধরনের সমাজসেবামূলক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। টিসিএস অফিসাররা জনগণের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের সমাধান করার জন্য সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাম্প্রতিক বন্যা সহ বিভিন্ন দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তাদের প্রচেষ্টা খুবই উল্লেখযোগ্য।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্য সরকার একটি গতিশীল, কল্যাণমুখী প্রশাসন তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে টিসিএস অফিসাররা এই মিশনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। মূলত, জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকেন তারা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পুর নিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি দিলীপ কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্যামল কুমার দেব সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। দশমীঘাট এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০০টি পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি এদিনই অপর একটি পৃথক কর্মসূচিতে আগরতলা পুর নিগমের ৩৩ নং ওয়ার্ডের দুঃস্থদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

রাজ্য

মানিক সরকারের বিরুদ্ধে সুশান্ত চৌধুরী

মানিক সরকার নিজের মনগড়া কথা চাপিয়ে দিতে চাইছেন । শুক্রবার জনশিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে হলসভায় তিনি প্রমোফেস্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে বিতর্ক ডেকে আনলেন মানিক৷ খবরের শিরোনামে থাকতে চেয়েছেন তিনি। শনিবার এর প্রতিবাদ করেছেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করে বলেন, মিথ্যা বলছেন মানিক সরকার, হতাশার বহিঃপ্রকাশ! সামাজিক মাধ্যমে জানালেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন বাংলায় একটা কথা রয়েছে, “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে”! এই বাগধারাটির অর্থ হল, কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না, ঠিক তেমন ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও স্বভাব পাল্টাতে পারে না! তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।

“প্রোমো ফেস্ট-২০২৪” এর নামে ফুর্তি করার জন্য নাকি টাকা খরচ করা হয়েছে। দুর্গাপূজা, কালীপূজা থেকে আরম্ভ করে সমস্ত ব্যাপারে নাকি কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে কিছুদিন আগে গানবাজনার জন্য এক রাত্রে সাত কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। মুখরুচোক উক্তি করতে গিয়ে তিনি জানান, আমি তো আর হিসাব-নিকাশ জানি না, আমি একজন দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে শুনছি। কাণ্ডটা কী, হচ্ছেটা কী? আবার প্রশ্ন তুলেন তিনি। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এর জবাব দিতে গিয়ে বলেন, “প্রোমো ফেস্ট-২০২৪” এর নামে সাত কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে এই খবরটা আপনি কোথায় পেলেন? মানিকের ২০ বছরের শাসনকালে রাজ্যে তো পর্যটন দপ্তরের অস্তিত্বই ছিলো না। পর্যটন দপ্তর ছিলো লালটুপিধারীদের আঁতুড়ঘর। যাদের কাজ ছিল সিপিআইএম দলের বিভিন্ন জনসভায় বামপন্থীদের লেখা গণসংগীত গাওয়ার জন্য কমরেড শিল্পীদের সরবরাহ করা। পর্যটন দপ্তরকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য কখনোই সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেননি। মানিকের শাসনকালে উগ্রপন্থীদের আতঙ্কে পর্যটকরা জম্পুই, ডম্বুর, ছবিমুড়া সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে যাওয়ার সাহস পেতেন না। কারণ রাস্তায় অপহরণ হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। সুশান্তবাবু জানান, আপনার শাসনকালে সারা বিশ্বে ত্রিপুরা সুনাম কুড়িয়েছিল অনেক কারণে! যার মধ্যে অন্যতম হলো আপনার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিমল সিনহার খুন হয়ে যাওয়া! বিরোধী দলের বিধায়ক মধুসূদন সাহা খুন! কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের অফিস কক্ষে সদর মহকুমা শাসক শুখরাম দেববর্মার নৃশংস হত্যাকাণ্ড! আসলে “প্রোমো ফেস্ট-২০২৪” যেভাবে সফল হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে সেটা মানিকবাবুদের সহ্য হচ্ছে না। সিপিএমের দলের অনেক বিধায়কেরা তাদের পরিবার-পরিজনকে প্রোমো ফেস্টে পাঠানোর জন্য পর্যটন দপ্তর থেকে পাস সংগ্রহ করেছেন। আসলে “বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা” এই সূত্র অনুসারে সরকারের ভালো কাজেরও সমালোচনায় মেতেছেন। সরকারের যেকোনো ভালো কাজ সহ্য হচ্ছে না। মন্ত্রী “সুশান্তবাবুর প্রশ্ন, ডুপ্লেক্স বাংলো” বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সেদিন যদি আপনি একটু আগরতলা শহরটাকে দেখতেন তাহলে বুঝতে পারতেন প্রোমো ফেস্ট নিয়ে মানুষের মধ্যে কি ধরনের উন্মাদনা ছিল। কষ্ট করে যদি “ইনোভা গাড়িটা” চড়ে একটু স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান এর সামনে দিয়ে চক্কর মারতেন তাহলে আরো ভালো বুঝতে পারতেন। এমনিতেই মানিকবাবুদের এখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে দল গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে রাজনৈতিকভাবে নিজেও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। তাই সরকারের ভালো কাজ গুলোর সমালোচনা না করে একটু গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে বিচার করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে বক্তব্য রাখতে আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। টানা কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, একটু তথ্যসহকারে প্রমো ফেস্টের নাম করে কোথায় কিভাবে সাত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার চেলেঞ্জ জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত।