রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গাদের গন্তব্য কি এবার ত্রিপুরা রাজ্য?

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে ত্রিপুরা রাজ্যেও!

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগ জনক ভাবে বাড়ছে রাজ্যে। রাজ্যের সীমান্ত এলাকার ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যাবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বাড়ছে অনুপ্রবেশ। বিএসএফের ভুমিকা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৈলাসহরের ইরানি থানার পুলিশ ফের একসাথে দশ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাদের আটক করা হয়। গোটা ঘটনা ঘিরে কৈলাসহর মহকুমায় তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। ইরানি থানার সেকেন্ড ওসি ইন্সপেক্টর তরুনী জমাতিয়া জানান, সফরিকান্দি এলাকার জনৈক এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশী করে দশ জন অপরিচিত মানুষকে আটক করা হয় । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, ধৃত দশ জন মায়ানমারের বাসিন্দা। ধৃত দশ জনের মধ্যে ছয় জন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা। বাকি চার জনের মধ্যে রয়েছে পঞ্চাশ দিনের এক শিশু। ধৃতরা গত ১৩জানুয়ারি ট্রেনে করে হায়দ্রাবাদ রওনা দেয় এবং ১৬জানুয়ারি ধর্মনগর স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ১৬জানুয়ারি সন্ধ্যায় কৈলাসহরের সফরিকান্দি এলাকার এক দালাল তাদের ধর্মনগর স্টেশন থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় । ধৃতরা সীমান্তের সফরিকান্দি এলাকায় দুই দিন ধরে দালালের বাড়িতে অবস্থান করছিলো বলেও পুলিশ জানায়। পুলিশ অবশেষে দুপুরেই ধৃত দশ জনকে কৈলাসহর আদালতে প্রেরণ করেছে। তবে যে বাড়ি থেকে দশ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে সেই বাড়ির মালিক তথা দালালকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।