১৫ বছরের পুরনো গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত

১৫ বছরের পুরনো ৪১২টি সরকারি গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত

রাজ্যে ১৫ বছরের পুরনো ৪১২টি সরকারি গাড়ি স্কেপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ৪১২টি গাড়িকে স্কেপিং করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সরকারি ৪১২ টি গাড়িকে সনাক্ত করা হয়েছে৷ রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার প্রজ্ঞা ভবনে যানবাহন স্ক্র্যাপিং নীতি এবং ই-নিলামের মাধ্যমে বিভাগীয় যানবাহন বিক্রির উপর একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যেই ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। পুরনো গাড়ি থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত হয় তাতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি দপ্তরে ব্যবহৃত ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি গুলি বাতিল করার। এ ব্যাপারেই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিবহনমন্ত্রী জানান,২০২২ সালেই ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার৷ লক্ষ পরিবেশ নির্মল ও সতেজ রাখা৷ রাজ্যে এমএসটিসে স্ক্রেপিং করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান, পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তার পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে দেশ জুড়ে গাড়ি বাতিল কেন্দ্র (ভেহিক্‌ল স্ক্র্যাপিং ফেসিলিটি) গড়ার পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র।
গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই ভারত ‘স্ক্র্যাপিং হাব’ হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখে। আর ভারত হাব হয়ে উঠল বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকেও পুরনো গাড়ি এখানে এনে ওই সব কেন্দ্রে বাতিল করা যাবে। যা নতুন ব্যবসার দিশা খুলবে।

দূষণ কমাতে ও পুরনো অযোগ্য গাড়ি বাতিল করতে এই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় সরকার। সেই ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে যে নীতি তৈরি হয়েছে, তাতে পুরনো বাতিল করে নতুন গাড়ি কিনলে করে ছাড় দেবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।About Us

গোমতী মিল্ক সমবায়ের নতুন বোর্ড

কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও বেকারের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব গোমতী মিল্ক সমবায়ের!

লোকসানে চলা গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইউনিয়নের নতুন বোর্ড। গ্রহন করেছে একাধিক নতুন নতুন কর্মসূচি। একদিকে ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখানো, পাশাপাশি দুধ সহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পুষ্টিকর খাদ্য নাগরিকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া এই মূহুর্তে মূল লক্ষ্য। একটা সময় ছিল যখন শুধু দুধ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দই, পনির, আইসক্রিম ও ঘী উত্পাদন শুরু হয় ইন্দ্রনগর ডেয়ারি থেকে। তার আগেও এই চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।

কিন্তু ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দই, পনির, আইসক্রিম ও ঘী শুধু উত্পাদনই হয়নি, ১৫ টা ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে তা রেশন ভোক্তাদের কাছে ভর্তুকিতে বিক্রি শুরু হয়। ইউনিয়নের বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহন করে দই বিক্রিতে ১৫ শতাংশ, আইসক্রিম বিক্রিতে ২২ শতাংশ এবং ঘী বিক্রিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত মোতাবেকই বিক্রি হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই আরও ৭ টি রেশন সপ্ আবেদন করেছে দুধ, দই, আইসক্রিম ও ঘী বিক্রি করার জন্য অনুমতি দিতে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্টের জমানায় গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নকে লোকসানে ফেলে গিয়েছিল তখনকার বোর্ড। ঋনের ভাড়ে জর্জরিত ইউনিয়নকে লাভের মুখ দেখাতে সচেষ্ট হয় বর্তমান বোর্ড। এই লক্ষ্যে গত ৬ মাস পূর্বে গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতি করতে শুরু করে। নাম দেওয়া হয়েছে “পিউর লাইট”। যেহেতু উন্নত মানের তাই বাজার থেকে ডেয়ারির মিনারেল ওয়াটারের দাম খানিকটা বেশি।

ইউনিয়নের মূল ভিত্তি হলো ১৯০ টি সমিতি। তাই সমিতি গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা ইউনিয়নের প্রধান দায়িত্ব। তার জন্য প্রতি বছর শেষে ১৯০ টি ইউনিয়নকে বোনাস্ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় । প্রতি লিটারে ৩ টাকা করে বোনাস্ দেওয়া হয়। তাছাড়া ভর্তুকিতে সমতিগুলোকে গো খাদ্য দেওয়া হয়। যেখানে খোলা বাজারে প্রতি কেজি গো খাদ্যের দাম কম করেও ৩৮ টাকা। সেখানে গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দামে কৃষকদেরকে সরবরাহ করা হয় সমিতি গুলোর মাধ্যমে।

উল্লেখ করার বিষয় হলো, গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়ন কে যেমন লোকসান থেকে টেনে তোলা জরুরি তার চেয়েও বেশি জরুরি ইউনিয়নের মাধ্যমে কৃষকদের এবং পশু পালকদের আয় বাড়ানো। তার জন্য আগামী দিনে রাজ্যের প্রকৃতি সম্পদ ও কাঁচা মালের উপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন খাদ্য পন্য উত্পাদন করার চিন্তা ভাবনা করছে ইউনিয়ন। তার জন্য গোমতী কোওপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের তরফ থেকে একটি রিসার্চ গ্রুপ তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে আগামী দিনে খাদ্য প্রক্রিয়া করনের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের পাহাড় ও সমতলের বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।About Us

যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে মূখ্যমন্ত্রী!

নমো যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে প্রধান বক্তা মূখ্যমন্ত্রী!

কেন্দ্রীয় সরকারের সুরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ইস্যুতে উদ্বেগ ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। হিন্দুদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানী শহরে নমো যুব যাত্রা বাইক র‍্যালি ও সমাপন সমাবেশে অংশগ্রহণ করে এই কঠোর বার্তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের সমালোচনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নমো যুব যাত্রার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ জেলার প্রান্তিক শহর সাব্রুম থেকে এই র‍্যালি শুরু হয়ে রাজ্যের ১০টি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। এরপর আজ রাজধানীর রবীন্দ্র ভবন চৌমুহনীতে এসে সম্পন্ন হয়। এরআগে এয়ারপোর্ট সড়কের এলবার্ট এক্কা পার্ক চত্বর থেকে আয়োজিত বাইক র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্র ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে জড়ো হয়।

নমো যুব যাত্রার সমাপন সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেন যুবদের ঐক্য ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং দেশ শক্তিশালী হতে পারে না। আজকের এই কার্যক্রম খুবই ভালো হয়েছে। আমি নিজে বাইক চালিয়ে যুবশক্তিকে উৎসাহিত করেছি। এতে সবাই খুশি। আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি। আমরা ত্রিপুরাকে মাদকমুক্ত করার স্লোগান তুলেছি এবং সেটা বাস্তবায়িত করবো। এদিন সিপিএম ও কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে দুর্দান্ত ফলাফল করেছে। তারপরও তারা ভিত্তিহীন দাবি করে চলেছে। তবে এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী সবসময় উন্নয়নের কথা বলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় আমাদের ত্রিপুরা সরকারও একই পথে কাজ করছে। আমরা উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

যুবদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে থেকে নিজেদের জীবন নষ্ট না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমি যুবদের, যারা বিরোধী দলের সঙ্গে রয়েছেন তাদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার জন্য অনুরোধ রাখছি। কারণ সদস্যতা অভিযান এখনও চলছে। আর এই সুযোগ মিস করবেন না। যুবদের বিরোধী দলের ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং আমরা গণতান্ত্রিক নীতির ভিত্তিতে কাজ করি”। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা সবসময় উশৃঙ্খল রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং কংগ্রেস দল শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতিতে উশৃঙ্খলতায় লিপ্ত।

এদিন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা ইস্যুতে সনাতন ধর্মকে সুরক্ষিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়টি নজর রেখে চলেছেন। একইভাবে আমাদের অবশ্যই সংযমের সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা গোটা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে নজর রাখছি এবং আমি ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি রাখা হয় এবং কোন অনুপ্রবেশকারী যাতে সীমান্ত অতিক্রম না করতে পারে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যুতে নীরবতার জন্য বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারা শুধু ইরাক কিংবা অন্য ইস্যু নিয়ে কথা বলে, রাস্তায় নামে। যদিও এই বিষয়ে তারা নীরব ভূমিকা পালন করে।
এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশ প্রভারী ডঃ রাজদীপ রায়, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, বিধায়ক ভগবান দাস, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা সহ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ যুব মোর্চার বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব।About Us

৫১ পিঠের রেপ্লিকা উদয়পুরে

সামাজিক মাধ্যমে এই খবর জানিয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে উদয়পুরের বনদোয়ার পর্যটকদের জন্য এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের ভিড়ে মন্দির নগরী উদয়পুরের গুরুত্ব আরও বাড়বে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য ও কেন্দ্রের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এই উদ্যোগ রাজ্যের পর্যটন শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।About Us

2025 এ সরকারি ছুটি ২৯ দিন

2025 Holiday List

calendar 2025

নতুন ইংরেজি বছরে চারটি ছুটির দিন উপভোগ করতে পারবে না সরকারি কর্মচারীরা। প্রকাশিত ছুটির তালিকায় নতুন কোন সংযোজন নেই। ২০২৫ ইংরেজি বর্ষে সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। প্রকাশিত তালিকায় মোট ২৯ টি পূর্ণকালীন ছুটি থাকছে কর্মচারীদের জন্য। যদিও চারটি ছুটি, বন্ধের দিনে পড়ায় সেগুলির সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না তারা। যেমন প্রজাতন্ত্র দিবস, মহরম, মহালয়া, মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তী। এছাড়াও রেস্ট্রিক্টেড হলিডে বা সীমাবদ্ধ ছুটি হিসাবে থাকছে মোট ১৩ টি। এরমধ্যে নিজেদের ইচ্ছানুসারে চার দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন কর্মচারীরা। ত্রিপুরা সরকারের যুগ্ম সচিব অসীম সাহা স্বাক্ষরিত এই ছুটির তালিকাটি মঙ্গলবার ত্রিপুরা সচিবালয় থেকে প্রকাশিত হয়।

Government of Tripura, Calender for 2025 A.D.

২০২৫ Holiday ListAbout Us

সর্বশিক্ষা নিয়মিতকরনের আদালত অবমাননা মামলার শুনানি আদালতে!

সর্বশিক্ষা নিয়মিতকরনের আদালত অবমাননা মামলার শুনানি আদালতে!

আদালতের দেওয়া নির্দিষ্ট সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করা হয় নি। তিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাবেল হেমেন্দ্র কুমার, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তথা সমগ্র শিক্ষার রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা এবং অর্থদপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার রাজ্য হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিংহ এবং বিচারপতি এস. দত্ত পুরকায়স্থ এর ডিভিশন বেঞ্চে সর্বশিক্ষার আদালত অবমাননা মামলার শুনানি হয়। আগামী তিন ডিসেম্বর আদালত অবমাননা মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত আধিকারিকদের নোটিশ জারি করে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে সি-টেট বা টি-টেট এর কোন প্রয়োজন নেই৷ তিন মাসের মধ‍্যে নিয়মিতকরনের স্কিমকে সংশোধন করে শিক্ষকদের নিয়মিত করতে হবে। উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, যে সব শিক্ষকের চাকুরীর বিজ্ঞাপন ২০২১ সালের ২৯ জুলাই এর পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে সেই সব শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে রাজ‍্য সরকার সি-টেট বা টি-টেট এর জন‍্য বাধ‍্য করাতে পারবে না। এই নির্দেশ তিন মাসের মধ‍্যে কার্যকর করতে হবে।

সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন মামলার রায় প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের নিয়মিতকরন করা হয় নি। ফলে বাধ্য হয়ে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তর সচিব রেবেল হেমেন্দ্র কুমার, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরে অধিকর্তা তথা সমগ্র শিক্ষার রাজ‍্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা এবং অর্থদপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়ের বিরুদ্ধে।

২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষকদের নিয়মিতকরন সহ পেনশন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল। শিক্ষকদের অভিযোগ নিয়মিতকরনের নির্দেশ থাকার পরও রাজ‍্য সরকার ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের জন্য নিয়মিতকরনের স্কিম তৈরি করবে বলে জানায়। যে সব সর্বশিক্ষার শিক্ষক সি-টেট বা টি-টেট উওীর্ন হবেন তাদেরকে নিয়মিতকরন করে অন‍্যান‍্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

কিন্তু কথা রাখে নি সরকার৷ সর্বশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের আরও অভিযোগ ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন সর্বশিক্ষার শিক্ষকরা তৎকালীন বাম সরকারের উপর থেকে নিয়মিতকরনের বিষয়ে আস্থা হারিয়ে আগরতলায় আমরণ অনশন বসেছিলেন তখন প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, সে সময়ের প্রভারী সুনীল দেওধর, বর্তমান মন্ত্রী রতনলাল নাথ, টিংকু রায় সহ সকলই আমরণ অনশন মঞ্চে এসে কথা দিয়েছিল সরকার গড়লে তিন মাসের মধ‍্যে তাদের নিয়মিত করা হবে। এখানেই শেষ নয় তৎকালীন মুখ‍্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তারা৷ শিক্ষকদের অতিসত্ত্বর নিয়মিতকরন করার জন্য বাম সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন তারা৷ সরকার পরিবর্তনের পর সাড়ে ছয় বছর কেটে গেলেও নিয়মিতকরনের দেখা নেই। এমনকি আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানতে চাইছে না ডাবল ইন্জিনের সরকার।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই উচ্চ আদালত পুনরায় রায় প্রদান করে বলে, সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরন করতে সি-টেট বা টি-টেট এর জন্য বাধ্য করানো যাবে না। এবং তিন মাসের মধ্যে নিয়মিতকরনের স্কিমকে সংশোধন করে শিক্ষকদের নিয়মিত করতে হবে।এই সময় সীমার মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য রাজ্য সরকারের তিন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় থেকে স্পষ্ট, রাজ্য সরকার সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের চাকুরী দিয়েছেন। তারপরেও তাদের নিয়মিতকরন করা হলো না৷About Us

ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি কৈলাসহরে!

কৈলাসহরে সনাতনী হিন্দুদের ল্যান্ড কাস্টমস বন্ধের হুমকি!

বাংলাদেশে ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার ও সে দেশের সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে সনাতনী হিন্দুরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে, বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দও, ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি উত্তম দে, সহ আরও অনেকে। সকাল এগারোটায় সনাতনী হিন্দুরা প্রথমে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে অবস্থিত মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাংগনে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে শুরু করে।

সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে কৈলাসহর আন্তর্জাতিক সীমানায় মনু কাস্টম ল্যান্ডে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় সনাতনী হিন্দুরা।
পরবর্তী সময়ে শহরের রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে সনাতনী হিন্দুরা।
কৈলাসহর পুর পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে জানান যে, সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে চিন্ময় দাস প্রভুকে বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করে হয়রানি করছে।

এদিকে কৈলাসহরের বর্ডার দিয়ে বুধবার থেকে বাংলাদেশে সমস্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যতদিন অব্দি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চলবে ততোদিন বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান নিতিশ দে। আন্দোলনে রেকর্ড সংখ্যক সনাতনী হিন্দুরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ, টি.এস.আর এবং বি.এফ.এফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়।About Us

যুব মোর্চার বাইক রেলি

সপ্তম দিনে সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি গিয়ে পৌঁছালো যুব মোর্চার নমঃ যুব বাইক রেলি।

বিজেপি’র রাজ্য যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নমোঃ যুবযাত্রা বাইক রেলির সপ্তম দিনে এসে পৌঁছালো উত্তর এিপুরা জেলায়। ছাব্বিশ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত রেলিটি প্রথমে ৫৭ নং যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিকেল তিনটা নাগাদ কদমতলা ব্লক এলাকার বড়গোল মাঠে এসে জড়ো হয় এবং সেখান থেকে কদমতলা মন্ডল যুব কর্মীরা মিলিত হয়ে ফের শুরু হয় বাইক রেলি।

এদিন রেলিটি কদমতলা বাজার, প্রেমতলা বাজার হয়ে চুরাইবাড়ি সেলটেক্স গেইট হয়ে পুনরায় কদমতলা মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়। সপ্তম দিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মোর্চার সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, যুব মোর্চার প্রবক্তা অম্লান মুখার্জী, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, কদমতলা মন্ডল যুব মোর্চার সহ-সভাপতি জন্মজীৎ কানু, সহ-সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মোর্চার সাবেক সভাপতি অমিতাভ নাথ, মন্ডল সভাপতি রাজা ধর, সহ উত্তর এিপুরা জেলা সভাপতি কাজল দাস।


এদিনকার উক্ত নমঃ যুবযাত্রা বাইক রেলি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত সপ্তম দিনে পৌঁছালো তাদের এই বাইক মিছিল।
চলতি মাসের গত কুড়ি তারিখে সাব্রুম থেকে এর সূচনা হয়েছিল।মোট প্রায় ৬০০ এর অধিক কিলোমিটার পথ অতিক্রমা করে আজ রাজ্যের শেষ প্রান্ত ৫৪ নং কুর্তি কদমতলার চুরাইবাড়িতে এসে পৌঁছালো এই যুবযাত্রা রেলিটি। এই রেলি থেকে তাদের একটাই বার্তা গোটা রাজ্যের যুব সমাজকে এক সুতোয় বাধা,এবং এই রাজ্যকে শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করা।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে ফিরিয়ে এনে মাঠমুখি করা এবং রাজ্যের প্রত্যেকটা যুব সমাজ যেন এই নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামে। তিনি আরো বলেন সপ্তম দিনের এই কর্মসূচি ধর্মনগর পর্যন্ত যাত্রা সমাপ্ত হয়েছে এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সম্মুখে উক্ত নমঃ যুব যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। মূলত এইসকল উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এই রাজ্যব্যাপী বাইক রেলির আয়োজন বলে জানান যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব।About Us


সংবিধান দিবস

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪, ভারতের ৭৫তম সংবিধান দিবস!

আজ সংবিধান দিবস। ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী তা কার্যকর হয়। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

সারা রাজ্যে সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। আজ সকালে রাজ্য আইন দপ্তরের উদ্যোগে উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রার সুচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। সংবিধান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই বর্ষব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন। তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পদযাত্রায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি আসাম, মেঘালয়, সিকিম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিল্পী ও যুবারা অংশ নেয়।

আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে শেষ হয় পদযাত্রা। সেখানে ভারতরত্ন বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মর্মর মুর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। পরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হয়। শ্রমমন্ত্রী টিঙ্কু রায় সংবিধান দিবসের গুরত্ব তুলে ধরেন৷ সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে সারা বছর ব্যাপী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।About Us




মৃত্যু প্রকৃতপক্ষেই হৃদয়বিদারক ঘটনা

ভাত খেতে বসে আকস্মিক মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের!

এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকার ৩০ বছর বয়সী যুবক সুবল দাস হঠাৎ করেই প্রাণ হারালেন। পারিবারিক নিয়মে দুপুরবেলায় ভাত খেতে বসেছিলেন তিনি, কিন্তু সেই খাওয়া আর শেষ করা হলো না। খাওয়ার সময় হঠাৎ করে বমি শুরু হলে, তিনি বাড়ির পাম্পকলে গিয়ে মুখ ধুতে যান। সেখানেই হঠাৎ করে পড়ে যান এবং ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে স্থানীয় এক টমটমে করে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখানেই থেমে থাকেনি। হাসপাতালের গেটের কাছাকাছি পৌঁছতেই গাড়িটির ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যায়। সেই টমটমে সুবল দাসের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী এবং সাত বছরের একমাত্র কন্যা। দুর্ঘটনার ফলে দুজনেই আহত হন। প্রতিবেশীরা তৎপরতা দেখিয়ে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সুবল দাসকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি জানতেনই না তার স্বামী এরই মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন।
খবর পেয়ে মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান। সন্ধ্যায় স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট্ট শিশু কন্যাটিও বাবার মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে চিৎকার করে কাঁপতে থাকে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগকেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে মনে করা হলেও, ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে। সুবল দাসের অকাল মৃত্যুতে গোটা দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।About Us