সপ্তম দিনে সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি গিয়ে পৌঁছালো যুব মোর্চার নমঃ যুব বাইক রেলি। বিজেপি'র রাজ্য যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নমোঃ যুবযাত্রা বাইক রেলির সপ্তম দিনে এসে পৌঁছালো উত্তর এিপুরা জেলায়

বিজেপি’র রাজ্য যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত নমোঃ যুবযাত্রা বাইক রেলির সপ্তম দিনে এসে পৌঁছালো উত্তর এিপুরা জেলায়।ছাব্বিশ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত রেলিটি প্রথমে ৫৭ নং যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিকেল তিনটা নাগাদ কদমতলা ব্লক এলাকার বড়গোল মাঠে এসে জড়ো হয় এবং সেখান থেকে কদমতলা মন্ডল যুব মোর্চার কর্মীরা মিলিত হয়ে ফের শুরু হয় বাইক রেলি।এদিন রেলিটি কদমতলা বাজার,প্রেমতলা বাজার হয়ে চুরাইবাড়ি সেলটেক্স গেইট হয়ে পুনরায় কদমতলা মোটরস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়।সপ্তম দিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব,যুব মোর্চার প্রবক্তা অম্লান মুখার্জী,যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা,কদমতলা মন্ডল যুব মোর্চার সহ-সভাপতি জন্মজীৎ কানু, সহ-সম্পাদক ইকবাল হোসেন,যুব মোর্চার সাবেক সভাপতি অমিতাভ নাথ,মন্ডল সভাপতি রাজা ধর,সহ উত্তর এিপুরা জেলা সভাপতি কাজল দাস।

দিনকার উক্ত নমঃ যুবযাত্রা বাইক রেলি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান,সাব্রুম থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত সপ্তম দিনে পৌঁছালো তাদের এই বাইক মিছিল।
চলতি মাসের গত কুড়ি তারিখে সাব্রুম থেকে এর সূচনা হয়েছিল।মোট প্রায় ৬০০ এর অধিক কিলোমিটা
র পথ অতিক্রমা করে আজ রাজ্যের শেষ প্রান্ত ৫৪ নং কুর্তি কদমতলার চুরাইবাড়িতে এসে পৌঁছালো এই যুবযাত্রা রেলিটি।এই রেলি থেকে তাদের একটাই বার্তা গোটা রাজ্যের যুব সমাজকে এক সুতোয় বাধা,এবং এই রাজ্যকে শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করা।মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে ফিরিয়ে এনে মাঠমুখি করা এবং রাজ্যের প্রত্যেকটা যুব সমাজ যেন এই নেশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামে।তিনি আরো বলেন সপ্তম দিনের এই কর্মসূচি ধর্মনগর পর্যন্ত যাত্রা সমাপ্ত হয়েছে এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সম্মুখে উক্ত নমঃ যুব যাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।মূলত এইসকল উদ্দেশ্য নিয়েই তাদের এই রাজ্যব্যাপী বাইক রেলির আয়োজন বলে জানান যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি,তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব।

আজ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪, ভারতের ৭৫তম সংবিধান দিবস

আজ সংবিধান দিবস। ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী তা কার্যকর হয়। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে।

সারা রাজ্যে সোমবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস৷ আজ সকালে রাজ্য আইন দপ্তরের উদ্যোগে উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রার সুচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। সংবিধান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই বর্ষব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন। তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্নকে
বাস্তবায়িত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পদযাত্রায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি আসাম, মেঘালয়, সিকিম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের শিল্পী ও যুবারা অংশ নেয়।

আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে শেষ হয় পদযাত্রা। সেখানে ভারতরত্ন বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বেদকরের মর্মর মুর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। পরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হয়। শ্রমমন্ত্রী টিঙ্কু রায় সংবিধান দিবসের গুরত্ব তুলে ধরেন৷

সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে সারা বছর ব্যাপী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

f1d82a7d fcb2 4177 9b68 ecbe9034ec5e

বাড়িতে ভাত খেতে বসে খাওয়া আর হলো না ৩০ বছর বয়সী সুবল দাসের! হঠাৎ করে বমি সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাম্প কলে মুখ ধুতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়!! বাড়ি কল্যাণপুর থানাধীন দক্ষিণ ঘিলাতলী এলাকায়।

সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাশের এক টমটমে করে নিয়ে আসা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই ঘটে আর এক বিপত্তি! হাসপাতাল মুখে উঠতেই বাক নিতে গিয়ে টমটম যায় উল্টে সাথে ছিল নিজ স্ত্রী ও সাত বছরের এক শিশু কন্যা!!আহত হয় তারা দুজনই! সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করে তাদের হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী র চিকিৎসা চলছে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে তিনি জানতেনই না এতোটুকু সময়ের মধ্যে উনি উনার স্বামীকে হারিয়েছেন। খবর দেওয়া হয় জীবন দাসের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা সবাই আসে হাসপাতালে। সন্ধ্যা নাগাদ নিজ স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সেই সাথে শিশু কন্যাটিও নিজের বাবাকে হারিয়ে চিৎকার করে কাঁপতে থাকে। পরবর্তী সময়ে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। জীবন দাশের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় সুখের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে পৌঁছে পুলিশ ঘটনার তদন্ত চলছে।

tea 1

ত্রিপুরার চা সেক্টর একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। সম্প্রতি এক নিলামে ত্রিপুরার চা সর্বোচ্চ মূল্য লাভ করেছে, যা চা উৎপাদনকারী রাজ্যটির জন্য একটি আনন্দদায়ক ঘটনা। এই নতুন রেকর্ড সারা দেশেই চা শিল্পের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিলামে ত্রিপুরার “নর্থ ত্রিপুরা গোল্ডেন টি” নামক বিশেষ ধরনের চা ১,৫০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে ত্রিপুরার চায়ের জন্য সর্বোচ্চ দাম। চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি রাজ্যের চা শিল্পের একটি বড় অগ্রগতি এবং দেশের চা বাজারে ত্রিপুরার চায়ের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

চা শিল্পের নতুন দিগন্ত

ত্রিপুরা রাজ্যের চা শিল্পের জন্য এটি একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে, রাজ্যটির চা গুণগত মানের জন্য পরিচিত হলেও, এর বাজারমূল্য এত উচ্চ ছিল না। বিশেষ করে, ত্রিপুরার চা বিশ্ববাজারে এখনও পুরোপুরি তার স্থান তৈরি করতে পারেনি। তবে, সম্প্রতি রাজ্যের চা উৎপাদন ও বিক্রির পদ্ধতি উন্নত হওয়ার ফলে এমন একটি উজ্জ্বল ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

ত্রিপুরা চা উৎপাদনকারী বাগানের মালিকেরা জানিয়েছেন যে, নতুন প্রযুক্তি এবং আধুনিক চা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে চা গুণগত মানের উন্নতি করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ বাজারে তাদের চা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

বিশ্বব্যাপী বাজারে সম্ভাবনা

বিশ্ববাজারে ত্রিপুরার চা রপ্তানির সম্ভাবনা এখন অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে ত্রিপুরার চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে বিশেষ চা প্রস্তুতকারকদের কাছে।

ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী

ত্রিপুরার চা বাগান মালিকেরা এই সাফল্যকে উৎসাহের একটি উৎস হিসেবে দেখছেন এবং তারা আশাবাদী যে আগামী দিনে আরও উন্নত চা উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের ফলে রাজ্যের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। রাজ্য সরকারও চা শিল্পের উন্নয়নে একাধিক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, যা ত্রিপুরা চা বাগানগুলির জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করবে।

এই নতুন রেকর্ড রাজ্যটির চা শিল্পের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, এবং চা বাজারে ত্রিপুরার প্রতিযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

নার্সদের ভাতা বন্ধ করে দিয়ে; পুলিশ ও টিএসআরের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করল সরকার।

দীপাবলির প্রাক মুহূর্তে পুলিশ এবং টিএসআর জোওয়ানদের জন্য রেশন ভাতা বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মহাকরণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এখবর জানান। তিনি জানান, টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকর্মীরাও এখন থেকে দু হাজার টাকা করে রেশন মানি পাবে। পোশাক এলাউন্স ও বাড়ানো হয়েছে। টিএসআর জোওয়ানরা এতদিন পোষাক এলাউন্স বাবদ ১০ হাজার টাকা করে পেতেন। এখন ১২ হাজার টাকা করে পাবেন। একইভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা পুলিশ কর্মীদের পোশাক অ্যালাউন্স ২০০০ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৯৫০০ টাকা করা হয়েছে । এতদিন পুলিশকর্মীরা সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পোষাক এলাউন্স পেতেন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টিএসআর এবং পুলিশ কর্মী মিলিয়ে ২১ হাজার ৭৫৪ জন জওয়ান উপকৃত হবেন। পুলিশ ও টিএসআর জোওয়ানদের রেশন মানি বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। আর বছরে খরচ হবে ২৬ কোটি ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে ১২৫ জন ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার নিয়োগ করা হবে। অন্যদিকে যুব কল্যাণ এবং ক্রীড়া দপ্তরের অধীন ৭৫ জন পি আই তথা ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা হবে। ক্রীড়া দপ্তর এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীন মোট ২০০ জন ক্রিয়াশিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। খেলাধুলার মান উন্নয়ন, কোচিং সেন্টার গুলোর মান উন্নয়নে ক্রীড়া শিক্ষকরা আগামী দিনে ভূমিকা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান মৎস্য দপ্তরে গ্রেড ওয়ান অফিসার তথা টি এফ এফ এসএর শূন্য পদ পূরণ করা হবে। অতি দ্রুত টিপিএসসির মাধ্যমে ৫৩ জন টিএফএফএস নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন।

এদিকে; ত্রিপুরা রাজ্যে শুধুমাত্র নার্স এবং আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরাই একমাত্র নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান করে সরকারি কর্তব্য পালন করে থাকেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশনামার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকার আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; ঠিক সেই অর্ডারেই নার্সদের ভাতা বৃদ্ধির অনুমোদন ও করা ছিল।
কিন্তু নার্সদের বঞ্চিত রেখে শুধুমাত্র আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের জন্য ই এই অর্ডার কার্যকর করলেন রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী। উল্টো রাজ্যের নার্সদের পোশাক এবং পোশাক পরিস্কার রাখার জন্য মাসিক মাত্র ১৫০ টাকা ভাতা দেয়া হতো, তাও বন্ধ করে দিয়েছেন ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী।

নার্সদের হ্যাজার্ড এলাউন্স, যা তারা বহুদিন ধরে দাবি করে আসছিল তা আজও তারা পায়নি। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় সব সরকারি পদেরই পদোন্নতি হয়েছে, একমাত্র নার্সদেরই কোন পদোন্নতি আজও হয়নি । কোন অলৌকিক কারণে আমাদের রাজ্যের ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী, নার্সদের প্রতি এই দ্বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন তা নার্সদের বোধগম্য হচ্ছে না।

amc 1 1

লোকসানে চলছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম৷ অথচ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। পরিশোধের নামগন্ধ নেই৷ অথচ সাধারণ মানুষ বা সাধারণ বিদ্যুৎ ভোক্তা ঠিকভাবে বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে না দিলে লোকজন গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেয়৷ কিন্তু রাজ্যের প্রায় সবকটি পুর ও নগরসংস্থায় কোটি টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে আছে৷ কোন অভিযান নেই। কেন ওই সব সংস্থার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না সেটাই প্রশ্ন। অথচ বিদ্যুৎ চুরি অর্থাৎ হুকলাইন বন্ধে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড জরিমানা এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা সহ আইনি পথে হাঁটার প্রতিবিধান কখনো কখনো প্রয়োগ করলেও ওই সব সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা জানা নেই কারোর।

জানা গেছে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানেই রয়েছে ধর্মনগর পুর পরিষদ। এখন পর্যন্ত ধর্মনগর পুর পরিষদের কাছে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ পুর পরিষদের কাছে ৪ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আগরতলা পুর নিগম। এদের বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। অথচ সম্পদ করের জন্য নিগমের তাগাদার কুল নেই৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে কুমারঘাট পুর পরিষদ। এদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। একই রকম ভাবে রানিরবাজার পুর পরিষদের বকেয়া ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। উদয়পুর পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। বিশালগড় পুর পরিষদের বকেয়া ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। মেলাঘর পুর পরিষদের বকেয়া ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। বিলোনিয়া পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা। সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৪ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। শান্তিরবাজার পুর পরিষদের বকেয়া ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। তেলিয়ামুড়া নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। আমবাসা পুর পরিষদের বকেয়া ৮ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। কৈলাশহর পুর পরিষদের বকেয়া ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। মোহনপুর বকেয়া ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। মোহনপুর পুর পরিষদের বকেয়া ৭২ হাজার টাকা। অমরপুর নগর পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪৩ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে কমলপুর নগর পঞ্চায়েত এবং খোয়াই পুর পরিষদের কোন বকেয়া নেই। আগরতলা পুর নিগম সহ সমস্ত পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখা এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সমস্ত বকেয়া বিল পরিশোধ করার জন্য নিগমের তরফে অনুরোধের পর অনুরোধ জানানো হলেও কারোর কোন হেলদোল নেই।
আগরতলা তিনটি হলের বকেয়া বিদ্যুত বিল এক কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার উপরে। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়ার কোন খবর নেই। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল স্যান্দন পত্রিকায়৷
আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৯৫ লক্ষ টাকার উপরে অর্থাৎ এক কোটি টাকার কাছাকাছি। মুক্তধারা হলে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কুড়ি লক্ষ টাকার উপর। নজরুলকলাক্ষেত্রে ৫৮ লক্ষ টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বাড়ি ঘরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দুমাস বিল ঠিকঠাক ভাবে মিটিয়ে দেওয়া না হলে বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা গিয়ে হাজির হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সোসাইটি পরিচালিত হলগুলোতে এক কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার উপর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তাহলে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় না করেই মানুষের উপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোথাও কোনো রকম বিদ্যুৎ চুরি দেখলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিবাদ করতে এবং নিগমকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কেন বকেয়া বিল আদায়ে নিগমের ভুমিকা থাকবে না।
কারণ কোন ধরনের বিদ্যুৎ চুরি তথা হুক লাইন বৈধ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ জনিত সমস্যার কারণ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল সময়মতো মিটিয়ে দিয়ে ৩ শতাংশ ছাড় পাশাপাশি ডিজিটাল তথা অনলাইন পদ্ধতিতে মিটিয়ে দিয়ে আরও অতিরিক্ত এক শতাংশ ছাড়ের সুযোগগ্রহণ করার জন্য নিগমের তরফে বার বার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পাশাপাশি সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিও সময়মতো বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নিগমের তরফে অনুরোধ জানানো হলেও সরকারি সংস্থাগুলোর কোন হেলদোল নেই। আগরতলা পুর নিগম সহ রাজ্যের মোট ২০টি নগর প্রতিষ্ঠান নগরায়নের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে উন্নয়নের ধ্বজা কে তুলে ধরেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবেই বহুদিন ধরেই এই নগর প্রতিষ্ঠান গুলোর বেশিরভাগ এর কাছেই বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। নিগমের তরফে বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও আগরতলা পুর নিগম সহ বিভিন্ন পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েত গুলো বিদ্যুতের বিল যথাসময়ে মিটিয়ে না দিয়ে বকেয়ার পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড পরিকাঠামো ক্ষেত্র উন্নয়নে দারুন এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে বলা যায়। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের

membership

একটা সময় রাজ্যের মাত্র দেড় শতাংশ ভোটের ভাগিদার ভারতীয় জনতা পার্টির এবারের সদস্য সংখ্যা এপর্যন্ত ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২১ শে নভেম্বর পর্যন্ত সদস্যতা অভিযান চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা রাজ্যে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যে বিজেপির সদস্যতা অভিযানের ইনচার্জ বিধায়ক ভগবান দাস নিশ্চিত করেছেন, ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩ লক্ষ ছুয়ে যাবে।
বিধায়ক শ্রী দাস পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, শনিবার পর্যন্ত মোট ১২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৯২ জন বিজেপির সদস্যতা নিয়েছেন।

গোটা দেশে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন পর্ব ২০২৪ শুরু হয়েছে। তার প্রথম পর্যায় হলো সদস্যতা অভিযান। গত ২ রা সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে এই সদস্যতা অভিযানের শুরুয়াত্ করেন। তার পর দিন অর্থাৎ ৩ রা সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সদস্যতা গ্রহণ করে রাজ্যেও সংগঠন পর্বের সূচনা করেন। দলীয় সূত্রে খবর, গোটা এই সদস্যতা অভিযানে রাজ্যের ইনচার্জ করা হয় বিধায়ক ভগবান দাসকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রতিটি জেলাতেই সদস্যতা অভিযানকে সফল করার জন্য তিনি প্রবাস কাটিয়েছেন দিনের পর দিন।
তবে জনজাতি অধ্যুষিত টাকারজলা ও রাইমাভ্যালী বিধান সভা কেন্দ্রে সদস্য সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও সবচেয়ে বেশি সদস্য হয়েছে সদর মহকুমায়। মন্ডলের হিসাবে সবচেয়ে বেশি সদস্য হয়েছে মোহনপুর মন্ডলে। আর জেলার হিসাবে সবচেয়ে কম সদস্য হয়েছে সিপাহীজলা জেলায়।
কিন্তু সিপাহীজলা জেলায় ধনপুর, বক্সনগর, বিশালগড় ও নলছড়ের মতো
বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকার পরও কেন সিপাহীজলা জেলায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কম হলো? এই প্রশ্নের কোন ব্যাখ্যা কিন্তু দলের তরফে নেই। অথচ সি পি আই এম দলের দখলে থাকা বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রে সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁই ছুঁই। তারপর পরও এবার ত্রিপুরার সদস্যতা অভিযান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, গোটা দেশে বিজেপির সদস্যতা অভিযান সরাসরি তদারকি করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জে পি নাড্ডা এবং দলের সর্বভারতীয় সংগঠন মহামন্ত্রী বি এল সন্তোষ। যতটুকু খবর, উভয় কেন্দ্রীয় নেতাই ত্রিপুরার সদস্যতা অভিযান নিয়ে সন্তোষ ব্যাক্ত করেছেন।
এক্ষেত্রে সদস্যতা অভিযানের ত্রিপুরার ইনচার্জ বিধায়ক ভগবান দাস জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিজেপির সদস্যতা গ্রহন করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, সদস্যতা অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো, ভারতীয় জনতা পার্টিকে সর্বব্যাপী এবং সর্বস্পর্শী করে তোলা। অর্থাৎ সমাজের সকল শ্রেণী ও সমাজের কাছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নিয়ে যাওয়া। তার জন্য প্রতি ৬ বছর পর পর বিজেপির সংগঠন পর্ব শুরু হয়। সদস্য পদ গ্রহন প্রথম ধাপ। তারপর শুরু হবে বুথ স্তর থেকে শুরু করে মন্ডল, জেলা ও প্রদেশ কমিটি নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে এটা ঘটনা সমস্ত শ্রেনী ও সমাজের আস্থা রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি। সদস্যতা অভিযানে স্বতঃস্ফূর্ততা তা প্রমান করছে।

NEC

চলতি মাসের ২৮ তারিখ থেকে আগরতলায় শুরু হচ্ছে উত্তরপুর্ব উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক। এর আগে ২৯ আগষ্ট এনইসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ভয়াবহ বন্যার কারনে সে বৈঠক স্থগিত করা হলেও বাতিল করা হয় নি।
কথা ছিলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে যোগ দেবেন। কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয়। মহাকরন সুত্রে জানা গেছে
চলতি মাসের শেষদিকে অর্থাৎ আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বৈঠক। দুইদিন চলবে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রেও খবরের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জানা গেছে, বৈঠকের উদ্বোধনে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের ফাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে বৈঠক করার পাশাপাশি তিপ্রামথার প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করতে পারেন।
ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। প্রজ্ঞা ভবনে হবে বৈঠক। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে প্রজ্ঞা ভবন পর্যন্ত রাস্তার দুদিক ঝাড়পোছ, রঙ চলছে৷ সরকারি অতিথি শালা সহ বেশ কিছু হোটেল সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে৷ আগামী ২২ নভেম্বর এনইসি বৈঠকের রুপরেখা ঠিক করতে আসছেন ডোনার সচিব সহ উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা৷ সেদিন বৈঠক হবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কনফারেন্স হলে হবে বৈঠক। বৈঠকের পরেই সরকারিভাবে এনইসি বৈঠকের দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের আধিকারিকরা রাজ্যে আসতে শুরু করবেন৷
উত্তর পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও পুলিশের মহানির্দেশকরা যোগ দেবেন বৈঠকে৷ ২০০৮ সালের ১৩ মে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে এনইসির ৫৬ তম বৈঠক হয়৷ নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিল হল উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নোডাল সংস্থা যা আটটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ডাক্তার মানিক সাহা এনইসির দুটো সভায় যোগ দিয়েছিলেন৷
নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের ৭০ তম পূর্ণাঙ্গ সভা হয় ২০২৩ সালের ৮-৯ অক্টোবর গুয়াহাটির আসাম আজাদ প্রশাসনিক কলেজে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তর পূর্ব পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ এই পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা সেই বৈঠকে উত্তর-পূর্বের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমন এসডিজি, উত্তর-পূর্বের জন্য জেলা নির্দেশক কাঠামো, উত্তর-পূর্বে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ (পিপিপি), ৫জি পরিষেবা, ডিজিটাল স্কুল চালু করা ইত্যাদির উপর গুরত্ব দিয়েছিলেন।
৭১ তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। স্টেট কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত বৈঠকে
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা যোগ দেন এবং ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য এনইসির তহবিল বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানান। তিনি ত্রিপুরার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এনইসি তহবিল বরাদ্দ বাড়ানো, টিএমসিকে এইমস-এর মতো ইনস্টিটিউটে উন্নীত করা, এডিসি এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, শিল্প উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, আগরতলা- কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করার দাবি করেছিলেন। এবার আগরতলায় হবে এনইসির বৈঠক। প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে খবর।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই ইউপিএ সরকারের ‘লুক ইস্ট’ পলিসির পরিবর্তে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসি চালু করেছে। ফলে স্বভাবতই উত্তর পূর্বাঞ্চলের পর্যদের এই বৈঠকটি নিঃসন্দেহে রাজ্যগুলির কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাদের নিজ নিজ রাজ্যের রাজ্যের সার্বিক রূপরেখা তুলে ধরে থাকেন।

ujjayanta palace
bandha bharot

স্ট্রেইট লাইনস নিউজ প্রতিনিধি, আগরতলা:- দেশের গর্ব, অত্যাধুনিক দ্রুতগামী ট্রেন “বন্দে ভারত এক্সপ্রেস” এবার আগরতলায় আসতে চলেছে। ত্রিপুরার রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগটি ত্রিপুরাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।