বিজেপি

বিজেপি নেতৃত্ব নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে!

বিজেপি নতুন ভাবে তাদের নেতৃত্ব কে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এন ই সি বৈঠক শেষ হতে না হতেই বিজেপি তাদের নতুন মন্ডল সভাপতি ঘোষণা করে দিল। ষাটটি মন্ডলের মধ্যে ৯০শতাংশ মন্ডলে ই নতুন সভাপতি অর্থাৎ নতুন মুখ।

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৬০ টি মন্ডলে সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরোনোদের বেশিরভাগের বয়স ৪৫ পেরিয়ে গেছে। তাই বিজেপির নীতি নির্দেশিকা অনুসারে ৯০ শতাংশ মন্ডলে যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের সভাপতি করা হয়েছে অর্থাৎ যুবকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সিপিএমে যখন যুব নেতৃত্বের অভাব, যুবারা বামেদের থেকে দূরে থাকতেই যখন বেশি আগ্রহী তখন ডাবল ইঞ্জিন অর্থাৎ বিজেপিতে যুবাদের ছড়াছড়ি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চাইছেন আগামী দিনে যুবারা দেশ গঠনে এগিয়ে আসুক। তাই তো এক সময় মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি যুবাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখন থেকে যুবাদের তৈরি করতে তিনি দলীয় কার্যকর্তাদের নির্দেশও পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য বিজেপিও এবার ৪৫ এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকে মন্ডল সভাপতি পদে অভিষিক্ত করেছেন । মাত্র পাঁচ শতাংশ মন্ডলে পুরনোদের উপর ভরসা রাখতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির শিবির। কারণ তাদের কাজকর্মে দল এবং সেইসব মন্ডলের জনপ্রতিনিধি বা বিজিত নেতারা খুশি। ফলে আগামী দিনে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি পদে রাখাটা জরুরি বলে মনে করেছেন ঐসব নেতৃত্বরা।

সদরের সাতটি মন্ডলে নতুন মুখ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বড়দোয়ালি থেকে শুরু করে সদরের সবকটি মন্ডলে ৪৫ এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি পদে বসানো হয়েছে । এতে করে আগামী দিনে যুবাদের মধ্যে বিজেপির প্রতি আগ্রহ বাড়বে, ঝোঁক বাড়বে। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা বড়দোয়ালি মন্ডল এর সভাপতি হয়েছেন বিদায়ী মন্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার দেব। ৬ আগরতলা কেন্দ্রে মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে তপন ভট্টাচার্যকে। মোহনপুরে মন্ডল সভাপতি করা হয়েছে কার্তিক আচার্যকে। বামুটিয়ায় শিবেন্দ্র দাস, বড়জেলা মণ্ডলের সভাপতি হয়েছেন রাজীব সাহা। খয়েরপুরে রাজেশ ভট্টাচার্য, মজলিসপুর মন্ডলে রঞ্জিত রায় চৌধুরী। রামনগর মন্ডল সভাপতি হয়েছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য । বনমালীপুর মন্ডলের সভাপতি অরিন্দম চক্রবর্তী, প্রতাপগড় মন্ডলে স্বপ্না দাস, বাধারঘাট মন্ডলের সভাপতি করা হয়েছে মনীষ দেবকে। সূর্যমনিনগর মন্ডলের পূর্বতন সভাপতি মান্তু দেবনাথ এর উপরেই ভরসা রেখেছে দল৷

ব্রু শরণার্থী

ব্রু শরণার্থীরা কি এবার পাবে তাদের আশ্রয়?

ব্রু শরণার্থীরা দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে শরণার্থীর জীবন কাটিয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে বিজেপি। রাজ্যের ১২ টি জায়গায় ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। চুক্তির বাস্তবায়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধলাই জেলার আমবাসার হাদুকলইয়ে ব্রু পুনর্বাসন কেন্দ্রে আয়োজিত জন সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে কাজ পঁচিশ বছরে বামেরা করে দেখাতে পারিনি, এক বছরের মধ্যে সেটাই করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। রাজ্যে ব্রুরা খুব সমস্যায় ছিল। শরণার্থীর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। বিদ্যুৎ ছিলনা, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল তারা। ছিলনা রোজগার। ছিলনা স্বাস্থ্য সুবিধা। অথচ গরিবের সরকার বলে প্রচার করা লাল ভাইয়েরা রিয়াং শরণার্থী সমস্যার সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি। দীর্ঘ সময় শাসন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের ব্রু শরণার্থীদের প্রতি তাদের কোন দরদ ছিল না। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাই করেনি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছে। ১১ টি পুনর্বসন শিবিরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ কোটি টাকার সফল বাস্তবায়ন দেখে খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন রাজ্যের বারটি জায়গায় রিয়াংদের পুনর্বসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ টি জায়গায় পুরোপুরি ভাবে কাজ শেষ হয়েছে। ১২ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্র শান্তিরবাজারে কাজ চলছে, এবং শীঘ্রই শেষ হবে তা। রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে তার পুরোটাই বাস্তবায়িত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ৬৯৩৫ ব্রু শরণার্থী পরিবারকে রাজ্যে পুনর্বাসন দেয়া হয়েছে অর্থাৎ ৩৭ লক্ষ ৫৮৪ জন ব্রু জনজাতি ওই সব পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আখাউড়াখালের জল পরিশোধন প্রকল্প রয়েছে। তিনি ব্রুহাপাড়ায় এক কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এস বি স্কুলের উদ্বোধন করেছেন। ব্রুহা পাড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। ব্রুহা পাড়ায় ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গড়ে উঠা নতুন মার্কেটের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ৬৩৫ কোটি টাকার বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে আগরতলার সেন্ট্রাল ডিটেকটিভ সেন্টার, আমবাসার নতুন মহকুমা শাসক ভবন। উনিশ কোটি টাকা ব্যায়ে গন্ডাতুইসা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন রয়েছে। ৩৬ কোটি টাকা ব্যায়ে জিরানিয়ায় রেল ব্রিজ তৈরি করার শিলান্যাস করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

উত্তর পূর্বাঞ্চল

উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের প্ল্যানারিতে পূর্বে তেমন কোন গুরুত্ব পায়নি ত্রিপুরা, তবে কি এবারও….

উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য পৃথক অর্থ বিনিয়োগ নির্দেশিকা গঠনের জন্য নাবার্ড, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং নেডভি-কে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অঞ্চলে স্পষ্ট ভূসংস্থান আছে বলে এই নির্দেশিকার কথা বলেন তিনি। আগরতলায় উত্তর পূর্বের ব্যাঙ্কার্স কনক্লেভ 2024-এ ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অঞ্চল বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে পূর্বেকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলই হলো ভারতের গ্রোথ ইঞ্জিন। এই অঞ্চলের সার্বিক বিকাশ ছাড়া ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ রাজধানীর একটি বেসরকারী হোটেলে দ্বিতীয় নর্থ ইস্ট ব্যাঙ্কার্স কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যোগযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রেল, সড়ক এবং বিমান পরিষেবা সব দিক দিয়েই এগিয়ে চলেছে এই অঞ্চলটি। সেই সাথে এই অঞ্চলে রয়েছে ছাপ্পান্ন মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সহ বিদ্যুৎ প্রকল্পও। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে বাড়ছে ব্যাঙ্কিং ডিপোজিটও। তা সত্বেও এই অঞ্চলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বের দ্রুতগতির বিকাশ বর্তমান সময়েই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। প্রধানমন্ত্রীর বহুমুখী সমর্থনের কারণেই ত্রিপুরা অসাধারণ বিকাশ এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে বলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এখন রাজ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।

সুপার

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে ত্রিপুরায়?

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনিক স্তরে চলছে আলোচনা। রাজ্য সরকার চাইছে বেসরকারি সংস্থাগুলো রাজ্যে এসে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক। রাজ্য শিল্প কল-কারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এমনটাই বলছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের বাণিজ্য কনক্লেভে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বিনিয়োগকারীদের রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ করেছেন। রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বর্হিরাজ্যের সংস্থা রাজ্যে মেডিকেল কলেজ স্থাপনে উৎসাহ দেখিয়েছে। অনেক সংস্থা মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে।

বর্হিরাজ্যের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়ে জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো মনিপুরের সিজা হাসপাতাল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে জমিয়ে দেওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। এবার প্রখ্যাত হাসপাতাল উডল্যান্ড রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে মহাকরণে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। রাজ্যে কি সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সম্ম্যক ধারণা দেওয়া হয়েছে। উডল্যান্ডের কর্মকর্তারাই বুধবার এ খবর জানিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা কোন রাজ্যে এলে সেই রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব। রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যের কোন মানুষকে যাতে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে না হয়। তার জন্য বহিরাজ্যের প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থাকে রাজ্যে হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উডল্যান্ডের সাথে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা হয়েছে বলে সংস্থার এমডি জানিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বৈঠক হবে। তবে তার আগে শহরের কোন ক্লিনিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এ রাজ্যে এনে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করতে চায় উডল্যান্ড৷ তার মানে বাজার যাচাই করে রাজ্যে বড় পদক্ষেপ নেবে উডলেন্ড। প্রথম ধাপে টেলি মেডিসিন পরিষেবা ও শুরু করতে আগ্রহী তারা। পরবর্তী ধাপে জমি অধিগ্রহণ করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে বলে উডলেন্ডের কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন। এর জন্য রাজ্য সরকারের সাথে প্রয়োজনীয় আরো আলাপ আলোচনা ও হবে বলে তারা জানান। রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বড়ই অভাব। আর সেই অভাবটা পূরণ করতে চাইছে উডলেন্ড। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে উডল্যান্ডের এমডি জানিয়েছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উডল্যান্ডস হসপিটালের এমডি জানান, বিশ্ব মানের উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবায় অনন্য নজির গড়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল। আর পি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের অঙ্গ এই হাসপাতাল শুধু মাত্র কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয় সমগ্র পূর্ব ভারতের রোগীদের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে এক উন্নত নাম। এই হাসপাতালকে আরো আধুনিক করে তোলা হচ্ছে ও ১৫০ টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে কলকাতায় মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এই হাসপাতাল। উন্নত ও আধুনিক পরিষেবায় উডল্যান্ড হাসপাতাল ইতিমধ্যেই এন এ বি এইচ, এন এ বি এল, আই এস ও ২৭০০০ এর অনুমোদন ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত। পূর্ব ভারতের প্রথম ক্যাথ ল্যাব এবং বাইপাস সার্জারির ক্ষেত্রে অনন্য সফলতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রোবোটিক সার্জারীর ক্ষেত্রেও রয়েছে অনন্য সফলতা। রয়েছে ২৫৬ স্লাইস ৭৬৮ রি কনস্ট্রাকশন ডুয়েল এনার্জি মডেল সমাটম ড্রাইভ সি টি সিমেন্স মডেল, মেগনেটম ভেরিও ৩ টেসলা এম আর আই মেশিন যা কার্ডিয়াক এম আর এপ্লিকেশন এ সুফলদায়ক।
রয়েছে অত্যাধুনিক ওটি ও ল্যাব এর পরিষেবা। উডল্যান্ডস হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সি ই ও রূপক বড়ুয়া জানান সম্প্রতি ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামের এক রোগী খুব জটিল পর্যায়ে ছিল। অন্য কোনো হাসপাতালে অসফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইন্টারভ্যানসোনাল রেডিওলজি প্রণালীতে চিকিৎসার পর রোগী অনেক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান। এভাবে শুধু কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ নয় পূর্ব ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও পরিষেবায় ছড়িয়ে পড়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতালের এর নাম। এবার এই হাসপাতাল রাজ্যের মানুষের জন্য পরিসেবা প্রদান করার চিন্তা ভাবনা করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উডল্যন্ডের পরিচালন কমিটির সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তারা জানান।

বামেরা

বামেদের মেকি দরদ ফাঁস করলেন মন্ত্রী!

বাম আমলে, কৃষকদের যে মূল দাবিকে উপেক্ষিত করা হতো, সেটিই এখন প্রতিবছরের বাস্তব হয়ে হাসি ফুটাচ্ছে কৃষকদের মুখে। সারা রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জিরানীয়ার মাধববাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবছর ধান ক্রয় প্রক্রিয়ার সুচনা করেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার নির্ধারিত নূন্যতম সহায়ক মূল্যে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান সহায়ক মুল্যে ক্রয় করছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

তিনি বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৃষকদের স্বার্থে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন বাম আমলে কৃষকদের প্রতি দরদ দেখানোর নাটক করা হলেও সে সময় তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একবার বিধানসভায় এই ইস্যুতে বর্তমান বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীকে ও কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা করেছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত। কিন্তু এরা যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই, ধান ক্রয় শুরু হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে। যতদিন কেন্দ্রে এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকবে ততদিন এভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। বিগত বাম সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন বিগত দিনে বাম সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোন চিন্তাই করেনি। কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বহুবার রাজ্য বিধানসভায় সেই সময়ের বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ সে সময়ের বাম সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মুল্যে ধান ক্রয় করার। কিন্তু সেই সময় সরকার কোন উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। নিজেরা কিছু না করে তৎকালীন বাম সরকার শুধুমাত্র কেন্দ্রের দিকে আঙুল দেখিয়ে রাখত। মন্ত্রী জানান, এবছর কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৩ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। গত মরসুমে ধান ক্রয় করা হয়েছিল ২১টাকা ৮৩ পয়সা দরে। প্রতি বছর সহায়ক মুল্য বাড়ছে৷ এমনটাই জানান খাদ্যমন্ত্রী। অপরদিকে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষে কাজ করছে। কৃষকরা হলো অন্নদাতা৷ রাজ্যের অন্নদাতারা যাতে ভালো থাকে তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। কৃষকদের আত্মনির্ভর করার জন্য রাজ্য সরকার নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি স্থানে
কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য সেন্টার খোলা হবে।

কৃষি মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে মোট ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৫৯.৬৯৬ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪০৫ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এরফলে উপকৃত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮ হাজার ১২৭ জন কৃষক।উল্লেখ্য সরকার পরিবর্তনের পর রাজ্যে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ এই অর্থ বছরে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য উপযুক্ত মূল্যে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার ২৭৯ মেট্রিক ক্রয় করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ৬৭ হাজার ১৭৮ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

বিজেপি

বিজেপি প্রদেশ কার্যালয় তৈরি হচ্ছে আগরতলার নতুন নগরে!

রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ন নতুন নগরে তৈরি হচ্ছে বিজেপির অত্যাধুনিক প্রদেশ কার্যালয়। চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনটিতে অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত থাকবে। আজ এই এলাকাটি ঘুরে দেখেন বিজেপি সদর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য ,বড়জলা মন্ডল সভাপতি মুকুল রায় সহ দলীয় কর্মীরা। এলাকা সফর কালে দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রদেশ কার্যালয় স্থাপনের জন্য। অবশেষে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহর হাত ধরে বিজেপির প্রদেশ কার্যালয়ের শিলান্যাস হবে। ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটি হবে সকাল দশটায় অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

কংগ্রেস

কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিংহের এলাকায় দাড়িয়ে কংগ্রেসকেই চেলেঞ্জ করলেন সি.পি.এম?

কংগ্রেসের সাথে মধুচন্দ্রিমা যুগের অবসান৷ এবার সিংহের এলাকায় দাড়িয়ে সিংহকেই চেলেঞ্জ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। সিপিএমের ভোটে জয়ী হয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধেই কুৎসা রটাচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিনহা। বীরজিতের খাসতালুকে দাড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। জীতেনবাবুর বক্তব্য বৃহত্তর স্বার্থে সি.পি.আই.এম দল ২০২৩ সালে কৈলাসহরে নিজেদের দলের বিধায়ককে প্রার্থী না করে কংগ্রেস দলের প্রার্থী বীরজিত সিনহাকে সমর্থন করে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে সি.পি.আই.এম দলের কর্মীরা ভোটে জয়লাভ করানোর পর কংগ্রেস দল বর্তমানে সি.পি.আই.এম দলকে নিয়ে নানান অসামাজিক মন্তব্য করছে। তিনি স্বীকার করেছেনগত আগস্ট মাসে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সি.পি.আই.এম দল ছাড়া গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারতো না কংগ্রেস। উল্টো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ করেছেন জীতেনবাবু৷

গত বিধানসভা ভোটে তিপ্রামথার সমর্থন পেতে রাজবাড়ীতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন জীতেনবাবু। ভোটের দিন পর্যন্ত তার আশা ছিল প্রদ্যুত তাদের নিরাশ করবে না৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ জীতেনবাবু তো বটেই মানিক সরকারও বুঝতে পারেন নি প্রদ্যুত বিরোধীদের ল্যং মারবে। প্রদ্যুতের কুটচালে বেসামাল হয়ে পড়া মানিকবাবুরা এখন বুঝতে পারছেন প্রদ্যুত প্রতারক। মানিক সরকারের বিস্ফোরক বক্তব্য , রাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন রাজন্য আমল দেখেছে, কংগ্রেসের ত্রিশ বছর দেখেছে, সি.পি.আই.এম দলের ১০ বছর দেখেছে, সন্ত্রাসবাদীদের সাথে কংগ্রেস দলের ৫ বছর দেখে সাধারণ মানুষ আবার রাজ্যে সি.পি.আই.এম দলের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো। তার মানে ফের কংগ্রেসের সাথে সন্ত্রাসবাদী যোগের অভিযোগ করলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদীদের সাথেই গত বিধানসভা ভোটে গাটছড়া বেঁধেছিল সিপিএম৷ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ হচ্ছে না দেখে এখন রং পাল্টাতে শুরু করেছে বাম নেতারা৷

ফিক্সড পে

ফিক্সড পে কর্মচারীদের জন্য সুখবর….

“পাঁচ বছর পূর্ণ করলেই মিলবে নিয়মিত বেতন স্কেল”: ত্রিপুরা সরকারের অর্থ দপ্তর সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা ফিক্সড পে ভিত্তিতে চাকরি করা কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনও কর্মচারী ফিক্সড পে’তে পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে থাকেন, তবে তিনি নিয়মিত বেতন স্কেলের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অর্থ দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফিক্সড পে কর্মচারীরা পাঁচ বছর পূর্ণ করার পর, ভিন্ন ভিন্ন পদ বা বিভাগে কাজ করলেও, স্থায়ী বেতনক্রমের সুবিধা পাবেন। তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

সিদ্ধান্ত কার্যকরের শর্তাবলি:

1. ধারাবাহিক চাকরি: কর্মচারীর চাকরির মধ্যে কোনো বিরতি থাকা চলবে না।

2. নো অবজেকশন সার্টিফিকেট: সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” (NOC) সংগ্রহ করার পরেই অন্য চাকরিতে যাওয়া বাধ্যতামূলক।

3. নিয়োগ পরীক্ষার অনুমতি: পরবর্তী পদে নিয়োগ পেতে হলে সিলেকশন টেস্টে অংশগ্রহণের অনুমতি নিতে হবে।

4. নির্ধারিত নিয়ম মেনে আবেদন: স্থায়ী বেতনক্রমের জন্য আবেদন করতে হবে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে।

এই নতুন সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে এবং কর্মসংস্থানের স্থায়িত্ব আনবে। অর্থ দপ্তর ইতোমধ্যেই সব দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে, দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে।এই পদক্ষেপ কর্মচারীদের পেশাগত জীবনে আর্থিক সুরক্ষা ও ভবিষ্যতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Cpim

বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এখনো অব্যাহত:

২০১৮ সালে ক্ষমতা হারাবার আগে বিগত ২৫ বছর ধরে এ রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বামেরা। যেভাবে তারা সাধারন মানুষের উপর বঞ্চনার বুলডোজার চালিয়েছিল তারই প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষমতা থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করেছিল এ রাজ্যের জনগণ। ২০১৮ সালে বিজেপি দলের হাত ধরে রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর মানুষ উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে। ভোটের প্রচারে নেমে এমনটাই বলছিল শাসক দলের নেতারা। আর সেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।

যারা সেই সময়ে সিপিআইএম দলকে ভোট দিত তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু একটা পাবার ধান্দায় সিপিএমের মিছিল মিটিংয়ে পা মেলাতো, তারা গত বছরগুলোতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে সাড়ে ছয় বছরের বেশি সময় । গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভোট, লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গ্রাম সরকার গঠনের ভোটও সমাপ্ত হলো। এক সময়ের বাম দুর্গ হারাতে হয় সিপিএমকে৷ নিজেদের ভিত শক্ত করতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল সিপিএম। তারা নির্বাচনের আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বাম আমলে মানুষ কিভাবে বঞ্চিত ছিলেন সেই সময়ে বলতে না পারলেও এবার মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন। কারণ বামেরা মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করে নিয়েছিল। বঞ্চনা দলবাজি স্বজন পোষণের কারণে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে কিভাবে তারা পদদলিত করে রেখেছিল সেই বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। কিন্তু গত সাড়ে ছয় বছরে মানুষের আরো তিক্ত অভিজ্ঞতা। মানুষ বামেদের একটানা ২৫ বছরের সাথে বিজেপির সাড়ে ছয় বছরের তুলনা করছেন৷ অস্বীকার করার উপায় সাড়ে ছয় বছরেই মানুষ হাপিয়ে উঠেছেন৷ আর এর সুযোগ নিতে, মানুষের ক্ষোভ যাতে ভোটে প্রতিফলিত হয় তার জন্য কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছিল বিরোধীরা। বিশেষ করে বামেরা৷ গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাড়াতে ব্যার্থ হয়েছে সিপিএম৷

ক্ষমতার দম্ভে এতটাই অহংকারী ছিল যে বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন সিপিএমের বুড়ো নেতারা। কিন্তু এই রাজ্যে মানুষ যখন তাদের আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে নির্বাচনের ফলাফলে, তখন তাদের মোহ ভঙ্গ হতে শুরু হয়েছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে শাসক শিবির। তাই তো জনসভাগুলো বামেদের ২৫ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে শাসক দলের নেতারা ভোট চেয়েছেন৷
জীতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে ঘুড়ে দাড়াতে পারে নি দল৷ নতুন প্রজন্মকে সিপিএম এর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করতে না পারলে আগামীদিনে নির্বাচনে লড়াই করাই মুসকিল হয়ে দাঁড়াবে। এখন থেকেই যদি সিপিএম সেই পথে না হাটে তবে পথ হাড়ানোর সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে উঠবে বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।

স্মার্ট সিটি

স্মার্ট সিটিতে সক্রিয় মক্ষিরানী চক্র

স্মার্ট সিটির বিভিন্ন হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাড়ায় এখন মক্ষী রানিদের ঠেক। খদ্দের ধরতে এজেন্ট নিয়োগ করেছে মাসিরা৷ কলেজ ছাত্রী থেকে গৃহবধূ, বাড়তি কামাইয়ের নেশায় ঠেকগুলোতে নাম লেখাছে৷ এখানেই শেষ নয়, শহরের বুকে গত পাঁচ মাসে সাতটি ম্যাসেজ সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। একাধিক ম্যাসেজ সেন্টারে বেলেল্লাপনা। একাংশ বিউটি পার্লার, ম্যাসেজ সেন্টারের নামে যে স্মার্ট সিটিতে বেলেল্লাপনা চলছে তা পুলিশেরও গোচরে রয়েছে। কিন্তু কোন অভিযান নেই। বাম আমলের শেষ দিকে কৃষ্ণ নগরের আম্বা সাম্বা ত্রীং – অভিযানের পর পুলিশ এসব বেলেল্লাপনা রুখতে কোন অভিযান করেছে বলে জানা নেই কারোর। শহরের রামনগরের বিভিন্ন গলিতে একাধিক ঠেক৷ পাঁচ মাস পর পর ঠেক বদল করে মাসিরা ব্যাবসা জম্পেস করে তুললেও পুলিশের কোন অভিযান নেই। শহরের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই আছে মাসিদের একাধিক ঠেক। প্রতিটি ঠেকের কামাই একেবারে মন্দ নয়। অনেকটা ফিল্মি কায়দায় কামাই করছে মাসিরা। রাজধানীর ভাটি অভয়নগর, সেভেনটি নাইনটিলা, কৃষ্ণনগর, কবিরাজটিলা বা প্রতাপগড় ব্রিজের নিচে মাসির ঠেক চলছে রমরমিয়ে। স্কুল, কলেজের একাংশ ছাত্রীদের দিয়ে চলছে ঠেক গুলো। রাজধানীতে রেড লাইট জোন না থাকলেও এই সব ঠেকগুলো অনেকটা রেড লাইট জোনের কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের কাছে এই খবর নেই। কেউ বিশ্বাস করবেনা। পুলিশ, হোটেল মালিক আর মাসিদের ত্রিবেণী সংগমে চলছে ঠেক গুলো। সবারই কামাই হচ্ছে। আর সবাই একে অপরের পরিপুরক। এতে সমাজ বা সংস্কৃতি উচ্ছন্নে গেলে তাদের কিবা যায় আসে। টু পাইস কামাই হলেই হল। রামনগর, অভয়নগর, কৃষ্ণনগর, প্রতাপগড় ঝুলন্ত সেতুর কাছে একাধিক ঠেক৷ বাড়ি ভাড়া করে ঠেকগুলো চলছে। যেন রেড লাইট এলাকা। কোথা বিউটি পার্লার আবার কোথাও ম্যাসেজ সেন্টারের নামের আড়ালে পরিচালিত হচ্ছে ঠেকগুলো।

মাস কয়েক আগে আগরতলা রেল স্টেশন সংলগ্ন এক হোটেলে দুদিন রেখে রোহিঙ্গা যুবতীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় এক মৌলবাদী নেতা৷ এই ঘটনার পরেও রেল স্টেশন সংলগ্ন হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ায় নি পুলিশ। বাধারঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন একাধিক হোটেলেও চলছে অশ্লীলতার ব্যাবসা। তাতে রোজগার অনেক বেশি বলেই জানিয়েছেন একাধিক হোটেল ব্যাবসায়ী। এর বিনিময়ে অবশ্য কিছু পুলিশ কর্মীদের কামাই মন্দ নয়। ফলে পুলিশের কাছে খবর থাকলেও নেই কোন অভিযান। স্টেশন চত্বরের কিছু হোটেলে অধিক রাত পর্যন্ত চলে বেলেল্লাপনা। এলাকার মানুষ পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশের কোন অভিযান নেই। বটতলা ফাড়ির নাকের ডগায় যেভাবে বছরের পর বছর ধরে হোটেলগুলোতে চলছে বেআইনি বার, যেভাবে ফাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে রাত ১২ টা পর্যন্ত ওপেন মদ বিক্রি হয় তেমনটাই একাংশ হোটেলগুলোতে চলছে অশ্লীলতার খোলামখোল্লা ব্যাবসা। একাধিক হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালোবাসার প্রথম পর্বেই একাংশ কপোত-কপোতীরা হোটেল খুঁজতে শুরু করে। এখন সামাজিক মাধ্যমেই বেশিরভাগ যুবক যুবতীর প্রেম জন্মায়। ভালোবাসা গভীর হতেই হোটেলের সন্ধানে বেরিয়ে পরে। তখন হোটেল ভাড়া কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। চাই একান্তে কাটানোর জায়গা। মওকা পেয়ে হোটেল মালিক চেয়ে বসে চরা মুল্য। তাতে কুচ পড়ুয়া নেহি। অপরদিকে শহরের কিছু স্কুল ও কলেজ ছাত্রীর সাথে কিছু হোটেল মালিকের যোগাযোগ রয়েছে। হোটেল মালিকের চাই রুমের চড়ামুল্য, আর স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের চাই টাকা। মা – বাবাদের দেওয়া টাকায় বর্তমান যুগে চলা কষ্টকর। অর্থাৎ ভোগবাদী মানসিকতা। আর এই মানসিকতার কারনে কিছু উঠতি মেয়েরা তাদের মা বাবাদের চোখের আড়ালে বেলেল্লাপনার ব্যাবসায় মেতেছে। একাংশ হোটেলগুলো অশ্লীলতার নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিয়ে রোজগারে মেতেছে তারা। হোটেল থেকেও নির্ভরশীল খদ্দেরদের সাপ্লাই করে ভালো কামাই হচ্ছে। স্মার্ট সিটিতে সব কিছুই এখন খোলামখোল্লা।