রহিমপুরে; মহিলা সহ একাধিক আহত,গুলিবিদ্ধ এক ছাত্র,ভাঙচুর কয়েকটি বাইক ও দোকান!
রহিমপুরে মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের তান্ডব । আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মদমত্ত বিএসএফ জওয়ানের রাবার বুলেটে আহত হয়েছে এক নাবালক। বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত রহিমপুর সীমান্ত এলাকা।
সীমান্ত এলাকায় রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।রয়েছে বিএসএফের কড়া নজরদারি। তবে সীমান্তের উপারেও ভারতীয় ভুখন্ডে বসবাস করেন অনেক ভারতীয় নাগরিক। তাদের নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় আসা-যাওয়া।অধিকাংশ সময় বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। আবার মীমাংসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও হয়। এই সীমান্তেই মদমত্ত বিএসএফ জওয়ান তাণ্ডব চালায়৷ ঘটনা ঘটে রবিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ। বক্সনগরের রহিমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। ,রহিমপুরে ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওয়াজ মাহফিল। এই মাহফিলে রহিমপুর এলাকার মহিলা পুরুষ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। আশাবাড়ি বিওপির রহিমপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৫ ও ১৬৬ নম্বর গেটের মাঝামাঝি স্থানে ৪৯ নং ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত দুজন বিএসএফ জওয়ান নেশায় বুদ হয়ে বাজার এবং মূল রাস্তায় তাণ্ডব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যা দিয়েছে। প্রথমে নেশায় আসক্ত দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাজারের কাছে থাকা প্রায় সাতটি মোটর বাইক ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় এবং একটি দোকানে হামলা চালায় এবং দোকান ভেঙ্গে ফেলে। তাছাড়া দোকানের মালিক পরিতোষ সূত্রধরকে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে। তারপর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ধনু মিয়ার বাড়িতে ঢুকে ধনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। লাঠির আঘাত প্রতিহত করতে গেলে ধনু মিয়ার কন্যা নাসিমা আক্তারকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে এবং তার হাত ভেঙ্গে দেয় জওয়ানরা। এখানেই শেষ নয় এলাকার শফিউল ইসলামের একমাত্র নাবালক পুত্র ইমান হোসেনকে রাস্তায় পেয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ইমান হোসেন সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার শত শত মানুষ রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ঈমানকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়৷ ইমান এবং নাসিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আগরতলার হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তাতে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী। রহিমপুর থেকে কয়েক শতাধিক যুবক এবং এলাকাবাসী মিলে কলমচৌড়া থানার সামনে এসে রাতে স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি অতিসত্বর নেশাগ্রস্থ দুই বিএসএফ জোয়ানকে আটক করে থানা নিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ তাদের থানায় নিয়ে না আসা হবে ততক্ষণ তারা এই ধরণায় বসে থাকবেন। ওসি নাড়ু গোপাল দেব আশাবাড়ি বিওপিতে রাতেই ছুটে যান এবং দুই জোওয়ান ও কোম্পানি কমান্ডার, পোস্ট কমান্ডারের বিরুদ্ধে থানায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমান আশাবাড়ি,কাঁটামুড়া, বক্সনগর বিওপিতে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা বিনা কারণে মানুষকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করছে। এই ধরনের হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী দিনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বলে তারা জানান। সোমবারে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।