ত্রিপুরার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন!
স্বচ্ছতা বজায় রেখে কোনও ধরণের বৈষম্য ছাড়াই যুবদের চাকরি প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত চাকরির অফার বিতরণ কর্মসূচির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সিপিএম সরকারের সময় চাকরি পাওয়া মানে ছিল আগে পার্টির ক্যাডারে যোগদান করা। কিন্তু আজ ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে এই রাজ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কোনওরকম সুপারিশ ছাড়াই ২,৮০৬ জন কে সরকারি চাকরি দেওয়া হল। এটি রাজ্যে সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।”
ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর যুগলবন্দিতে রাজ্যের উন্নয়নের নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭০০-র বেশি সফর করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে বিজেপি সরকার উত্তর-পূর্বের উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “একসময় ত্রিপুরা ছিল বামপন্থী সন্ত্রাসের ঘাঁটি। রাজ্যের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ চিন্তা করেনি। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আজ ত্রিপুরা সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।”
ত্রিপুরা সরকারের কর্মসংস্থান নীতির প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, “ত্রিপুরার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মুখ্যমন্ত্রী তাদের জীবনে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। এই তরুণরাই আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ত্রিপুরা, বিকশিত ভারত’ অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়ার ফলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য ডাঃ মানিক সাহা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে ত্রিপুরা এক নতুন উন্নয়নের পথ ধরেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদা রাজ্যের পাশে রয়েছে এবং আগামী দিনেও ত্রিপুরার উন্নয়নে সহায়তা করবে।”
এই কর্মসূচিতে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এছাড়াও, রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের শিক্ষিত যুবকদের সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের এই স্বচ্ছ নীতির ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্য সরকার ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।