ভারত

ভারত সফরে ইংল্যান্ডের হোয়াইটওয়াশ!

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আত্মবিশ্বাসী ভারত!

ভারত সফরে এসে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে দারুণভাবে জয়ী হয়ে ভারত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এই সফরে ভারতীয় দল ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যা আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচটি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারত ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫০ ওভারে ৩৫৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। দলের ওপেনার শুভমান গিল অসাধারণ ব্যাটিং করে ১১২ রান করেন, যা তার ক্যারিয়ারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সেঞ্চুরি। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ও সূর্যকুমার যাদবের অর্ধশতক দলের স্কোর আরও মজবুত করে তোলে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতীয় বোলারদের সামনে টিকতে পারেনি এবং ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয়। ভারতের পক্ষে আর্শদীপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব এবং হর্ষিত রানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, আর্শদীপ সিং ৩টি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন।

টি-২০ সিরিজেও ভারত দাপটের সঙ্গে খেলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-২০ ম্যাচে অভিষেক শর্মা ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যার সুবাদে ভারত ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারত নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে জয় তুলে নেয়। তবে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে রাজকোটে ইংল্যান্ড ২৬ রানে জয়লাভ করে, যা সফরে তাদের একমাত্র সান্ত্বনা ছিল। শেষ দুটি ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দমিয়ে রেখে জয় নিশ্চিত করে। সিরিজ জয়ের মাধ্যমে ভারত টি-২০ ক্রমতালিকায় তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে। যদিও এই সফরে শুধুমাত্র সীমিত ওভারের ম্যাচ ছিল, তবে ইংল্যান্ড দল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারতীয় ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে, যেখানে ভারতীয় বোলারদের সামনে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, “পুরো দল অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দেখে আমি অভিভূত। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে, সেখানে এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার পরাজয় স্বীকার করে বলেন, “ভারত সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যা ঠিক করতে হবে। তবে তরুণ খেলোয়াড়রা কিছু ইতিবাচক মুহূর্ত উপহার দিয়েছে।” তবে এই সফরে বিশেষ কিছু দিক পরিলক্ষিত হয়েছে, যেগুলো হলোঃ

  • শুভমান গিলের দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্ম, বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরি।
  • আর্শদীপ সিং ও কুলদীপ যাদবের অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স।
  • অভিষেক শর্মার প্রথম টি-২০ ম্যাচে ৭৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
  • পুরো সিরিজে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং ও বোলিং ইউনিটের দৃঢ়তা।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই জয় ভারতের জন্য বড় সাফল্য এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দলকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। পুরো সিরিজে ভারতীয় দল তাদের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের সমন্বয়ে প্রতিপক্ষকে একপেশে খেলায় হারিয়েছে।ভারতের এই জয় ক্রিকেট বিশ্বে তাদের শক্ত অবস্থানকে আরও মজবুত করেছে।