বিশ্ব হাসি দিবসে শান্তির বার্তা

বিশ্ব হাসি দিবসে শান্তির বার্তা!

বিশ্ব হাসি দিবসে “অল ত্রিপুরা হেলথ এন্ড লাফিং অ্যাসোসিয়েশনের” শান্তির বার্তা!

আজ বিশ্ব হাসি দিবস। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। এই উপলক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করল অল ত্রিপুরা হেলথ এন্ড লাফিং অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যের ২৪টি Laughing Club-এর যৌথ উদ্যোগে আজ সকালে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রায় ৭৫০ থেকে ৮০০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। পদযাত্রাটি শুরু হয় তুলসীবতী স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে এবং শেষ হয় আগরতলার সিটি সেন্টারে। সদস্যরা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে হাসিমুখে হাঁটেন, পরিবেশন করেন ‘হাসুন, সুস্থ থাকুন’, ‘হাসি মানে শান্তি ও মৈত্রী’র মতো বার্তা।

সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শ্রী শুশীল কুমার দাস জানান, “আমাদের এই Laughing Club গুলি কেবলমাত্র হাসির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এগুলি এক একটি সামাজিক সচেতনতার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে। আজকের এই বিশ্ব হাসি দিবসে আমরা শান্তি, সুস্থতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই সকলের মধ্যে।” ত্রিপুরায় প্রথম Laughing Club শুরু হয় ১৯৯৭ সালে মালঞ্চ নিবাসে। মুম্বাই শহরে ১৯৯৫ সালের ৫ই মার্চ বিশ্বে প্রথম Laughing Club আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে অল ত্রিপুরা হেলথ এন্ড লাফিং অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২৪টি সেন্টার সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শুধু হাসির চর্চা নয়, এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গেও জড়িত। রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান, অন্ন দান, ও কোভিডকালে সহায়তা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতেও এই রকম কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প প্রকাশ করেছে সংস্থা। শুশীলবাবু আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই—ত্রিপুরাবাসীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করা। হাসির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। সেই হাসিই আমাদের শক্তি।” ত্রিপুরার Laughing Club-গুলির এই উদ্যোগ আজ শুধু স্বাস্থ্য সচেতনতাই নয়, সামাজিক সংহতির বার্তাও দিল রাজ্যবাসীকে।About Us