বাংলাদেশী নাগরিক, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ত্রিপুরা রাজ্যে!
বাংলাদেশীদের ছড়াছড়ি, আগরতলা শহর সহ গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে। বাংলাদেশী নাগরিকরা ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশ্যে, প্রবেশের জন্য প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করছে ত্রিপুরা রাজ্যকে। সীমান্ত টপকে রাজ্যকে করিডর বানিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই বাংলাদেশীরা; আবার কেউ কেউ সুযোগ বুঝে এই রাজ্যেই চুপি চুপি বসবাস করছে। আবার কিছু বাংলাদেশী দালালদের সাথে মিলে কাগজপত্র বের করে দিব্যি প্রকাশ্যে বসতি স্থাপন করেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো বাংলাদেশীদের সাথে অস্ত্রের ও আমদানি হচ্ছে এই রাজ্যে। এতে আগামী দিনে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে আগরতলা শহর দক্ষিণাঞ্চলের মিলন চক্রের আদর্শ পল্লী এলাকা থেকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা সমাজ প্রিয় চাকমাকে; পিস্তল ও তিনটি বুলেট সহ গ্রেপ্তার করে এডিনগর থানার পুলিশ। কেন সে পিস্তল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে? কি উদ্দেশ্য ছিল তার? পেছনে বিদেশি কোন মদত রয়েছে কিনা বা বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সে যুক্ত কিনা তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। সদর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবপ্রসাদ রায় জানিয়েছেন ‘তদন্ত হচ্ছে’। জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। গত প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে আদর্শ পল্লী এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে বাংলাদেশী এই জনজাতি যুবক। অথচ পুলিশ ঘুমে; এলাকার মানুষের সন্দেহ হওয়ার কারনে তারাই পুলিশকে খবর দেয়। জনজাতি অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর বা রামনগর এলাকায় না থেকে কেন মিলন চক্রকে সে বেছে নিল সেটাই প্রশ্ন। তার কাছ থেকে নাইন এমএম পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, প্রচুর বাংলাদেশী টাকা এবং ২ লক্ষের উপরে ভারতীয় টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার পর রাজ্যে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অনুপ্রবেশকারী আটক হচ্ছে। তারা সীমান্ত টপকে দালালদের হাত ধরে এই রাজ্যে প্রবেশ করছে। কিন্তু পিস্তল সহ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এ রাজ্যে ইদানিং কালের মধ্যে প্রথম ঘটনা। বাংলাদেশে আগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে এই অঞ্চলকে অশান্ত করতে একটা চক্র সক্রিয়। বাংলাদেশের জামাত পন্থী সন্ত্রাসীরা; মোদির স্বপ্নের অষ্টলক্ষ্মীকে অশান্ত করার জন্য মরিয়া। মঙ্গলবার রাতে ধৃত এই যুবক বাংলাদেশের কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত কিনা এখন সেটাই প্রশ্ন।
অপরদিকে মধুপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে আরেক বাংলাদেশী। হাফিজ ভূঁইয়া নামে ওই বাংলাদেশীর বাড়ি, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। কৈয়াঢেপা বিওপির বিএসএফ জওয়ানের হাতে মঙ্গলবার সকালে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকার সময় তাকে আটক করা হয় । পরবর্তী সময়ে আটক বাংলাদেশীকে মধুপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ জোওয়ানরা। মধুপুর থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে অভিযুক্তকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করে। তবে স্থানীয়দের দাবি; সীমান্তে এত নজরদারির থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বাংলাদেশীরা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে? তার মানে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রচন্ড ঢিলেঢালা এবং এই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে দালালদের হাত ধরে রাজ্যে প্রবেশ করছে বাংলাদেশীরা।