বন্যা গত আগস্ট মাসে ত্রিপুরা রাজ্যের উপর থাবা বসিয়েছিল
বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ১৩ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন।
রাজস্ব দপ্তরের অধীনে থাকা বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর এই অর্থ প্রকৃত দূর্গতদের কাছে পৌঁছে দেবে। উল্লেখ করা যেতে পারে গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পর ধাপে ধাপে অর্থ মঞ্জুর করেছে রাজ্যের ডাবল ইন্জিনের সরকার। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য ৫৬৪ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মাণিক সাহা। এছাড়াও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির কারনে দুই মাস রাজ্যের ৯.৮ লক্ষ রেশনকার্ডধারী নাগরিকদের রেশন কার্ড প্রতি অতিরিক্ত ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে আরো অর্থ মঞ্জুর করা হবে। সে অনুসারে মঙ্গলবার আরো অতিরিক্ত ১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে খাদ্য ও জনসংভরণ দফতরের জন্য ৭০ কোটি টাকা, কৃষি দপ্তরের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। খরিফ ও রবি শস্য উৎপাদনের জন্য বীজ ও সার প্রদান এবং অন্যান্য কৃষি সহায়তার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। হর্টিকালচার দপ্তরের জন্য ৫ কোটি টাকা,মৎস্য দপ্তরের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ এর পাশাপাশি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের জন্য ৫ কোটি টাকা, শিক্ষা দপ্তরের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বন্যায় দুর্গত মানুষ যাতে ঘুরে দাড়াতে পারে, বাড়ি ঘর তৈরি করে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করতে পারে তার জন্য ফের ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।