রাজ্যে চলছে পর্যটনের ভরা মরশুম!
রাজ্যে ভরা পর্যটন মরশুমে দেশী ও বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। ভ্রমণ পিপাসুদের ত্রিপুরাতে ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। “অতিথি দেব ভব”। রাজ্য সরকারের আথিতেয়তায় মুগ্ধ পর্যটকরা। সুশান্ত চৌধুরী রাজ্য পর্যটন নিগমের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। পর্যটনকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পর্যটন নিগম এবং রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আকৃষ্ট হয়ে, দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের পর্যটকরাও রাজ্যে আসতে শুরু করেছেন।
এদিকে রাজ্যের জম্পুই পাহাড়কে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য পর্যটন নিগম। উল্লেখ করা যেতে পারে এবারই প্রথম জম্পুই হিলে প্রমোফেস্ট এর একটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রোমোফেস্ট ঘিরে জম্পুই পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। পর্যটনও যে একটা শিল্প হতে পারে এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এবার জম্পুই হিলকে নিয়ে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে। ভাংমুনের ইডেন লজের কাছে একটি স্কাই-ওয়াক করার প্রস্তাব করেছে মিজো কনভেনশন, যা পর্যটকদের জাম্পুই পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী হতে পারে। উত্তর জাম্পুই পাহাড়ের ভাইসাম এবং হামাউংচুয়ান গ্রামগুলিকে ইকো-পার্কের জন্য আদর্শ অবস্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলি, মূলত অনুন্নত, এই ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করে পর্যটনকে উত্সাহিত করার একটি সুযোগ তৈরি হবে। অ্যাডভেঞ্চার পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্যারাগ্লাইডিং সাইটের উন্নতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ত্রিপুরার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বেতেলিংশিব; এই বেতেলেংশিবকে ঘিরেও পরিকল্পনা রয়েছে নিগমের। মিজো কনভেনশন তার জীববৈচিত্র্য রক্ষার উপর জোর দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য পর্যটন নিগম রাজ্যের ভুস্বর্গ জম্পুইকে নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।
রাজ্যের প্রতিটি পর্যটন স্থলকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার কাজ চলছে। পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সর্বাত্মক চেষ্টা করে চলেছেন পর্যটন শিল্পকে উন্নত রূপ দেওয়ার। সকলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টাই উন্নত হবে রাজ্যের পর্যটন। ছোট ছোট বিষয় গুলিতেও নজর রাখতে হবে পর্যটন দপ্তরের কর্মীদের। এমনটাই বলছেন ভ্রমনপিপাসুরা।