ত্রিপুরা

ত্রিপুরা রাজ্যে এক নতুন বৈরী সংগঠনের আবির্ভাব!

“ত্রিপুরা হামবগত আমি” এক নতুন বৈরী সংগঠন!

ত্রিপুরা রাজ্যে জন্ম নিলো নতুন বৈরী সংগঠন ‘ত্রিপুরা হামবগত আমি’। ফের অস্থিরতা শুরু হতে পারে রাজ্য সহ গোটা দেশে। এমনটাই সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। আতঙ্কিত সীমান্ত এলাকার মানুষ। নতুন বৈরী সংগঠনের চাঁদার রসিদ বিতরণ শুরু। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতে বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে বড়সড় ঘাঁটি গেড়েছে নতুন বৈরী সংগঠন। ত্রিপুরায় অশান্তি সৃষ্টির নীল নক্সার পর্দা ফাঁস করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে ৮০-র দশকে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী এটিটিএফ, এনএলএফটি, টিএনভি’র মতো বৈরী সংগঠনের অস্তিত্ব যখন রাজ্য থেকে মুছে গেছে ঠিক তখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সে দেশের কট্টরপন্থীরা নতুন করে উৎপাত শুরু করে দিয়েছে।

রাজ্যে নাশকতার জন্য নতুন জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৭২ জন জঙ্গিকে নিয়ে নতুন বৈরী দল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ওপারে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিপুরা হামবগ্রত আমি’। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থী জেহাদি সেনাদের এবং পাকিস্তানের সেনাদের কাজে লাগাতে শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় তিনটি শিবিরে এই ৭২ জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা জমানায় যেসকল সন্ত্রাসীদের জেলে পুড়ে দেওয়া হয়েছিলো সেইসকল জঙ্গিদের সাথেও নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশের জেহাদি এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের এজেন্টরা। যে তিনটি শিবিরে সন্ত্রাসবাদীরা অবস্থান নিয়েছে সেগুলি হলো জপুই, গর্জনপাশা এবং সিমুই।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর জম্পুই শিবিরে অবস্থান নিয়েছে ২৩ জন, গর্জনপাশা শিবিরে ২৭ জন এবং শিমুই শিবিরে ২২ জন।গোয়েন্দা সূত্রে আরো খবর, চলতি মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই রাজ্যের উত্তর জেলার আনন্দবাজার থানা এলাকার সীমান্ত দিয়ে বৈরী সংগঠনের সদস্যরা খাগড়াছড়ির পুরাতন জপুই এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে জঙ্গিরা এখন থেকেই ঠিকেদারদের উদ্দেশ্যে লিফলেট বিলি করতে শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি আনন্দবাজার এলাকার রিয়াং জনজাতি যুবকদের বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে জঙ্গি দলে টানার চেষ্টা করছে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। গোটা নীল নক্সা তৈরি করছে বাংলাদেশের জেহাদি গোষ্ঠী। বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও খবর উঠে আসছে। একেবারেই আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

এই অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। রাজ্যের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার দিকেও রাজ্য সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশের ওপার থেকে জানা গেছে, জামাত মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), সিমি, হুজির মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। তারা ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য নতুন জন্ম নেওয়া জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের পরিকল্পনা শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইউনুস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআই বড়সড় নাশকতার জাল বিস্তার করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু থেমে নেই অনুপ্রবেশের ঘটনা। এরমধ্যে রবিবার রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্য উঠে এসেছে। মূলত কাঁটাতারের বিভিন্ন জায়গায় কেটে রেখেছে সীমান্ত চোরা কারবারীরা সেই কাঁটাতারের বেড়া বাঁশ দিয়ে নামমাত্র বেধে রেখেছে বিএসএফ। ফলে এই সকল সীমান্ত ভেদ করে অনায়াসে এপারে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীরা পৌঁছে যেতে পারবে এতে সন্দেহ নেই।About Us