ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে গ্রন্থাগার নিয়ে পুনরায় ভাবনা
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে শিক্ষা ক্ষেত্রে গ্রন্থাগার নিয়ে পুনরায় ভাবনা শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের ভুমিকা শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগন অংশ নেন। আলোচনার সুত্রপাত করে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গঙ্গাপ্রসাদ প্রসেইন বলেন, প্রাচীন ভারতে নালন্দা, তক্ষশিলা, বিক্রমশিলার মতো বিশ্ববিদ্যালয় গুরুকূল শিক্ষার মাধ্যমে গোটা বিশ্বে শিক্ষা সম্প্রসারনে ভারতকে এক বিশ্বগুরুর মর্যাদায়,নিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে মুসলিম শাসন, ইংরেজ শাসনে এই ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়।ভারতকে পুনরায় বিশ্বগুরুর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে, শিক্ষা অন্যতম প্রধান উপায়। নয়া শিক্ষা নীতি ২০২০ বিকশিত ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনাচক্রে দক্ষিন বিহারের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামেশ্বর নাথ সিং বলেন, বিকশিত ভারত গঠনে শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিকশিত ভারত গঠনে চার ক্ষেত্র যুব সম্প্রদায়, মহিলা, কৃষক ও গরীব অংশের জনগনের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।সম্পদ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, দেশের মজবুত গনতন্ত্র ও বিরাট সংখ্যক যুবসম্প্রদায় ভারতের মুল চালিকা শক্তি হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জ্যোতি প্রকাশ তামাং বলেন, ২৯৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত করতে শুধু সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি দেশবাসীর সুস্থ দেহ ও সুস্থ মানসিকতা অর্জন করতে হবে। আলোচনায় টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রতন কুমার সাহা উন্নত টেকনলজির উপর গুরুত্ব দেন।