কৈলাসহর

কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিসে কর্মবিরতি!

কৈলাসহর এর মহকুমা শাসকের অফিসে ঢুকে, দা দিয়ে কর্মচারীদের প্রাননাশের চেষ্টা!

কৈলাসহর এর মহকুমা শাসকের অফিসে ঢুকে, প্রকাশ্যে ধারালো দা নিয়ে কর্মচারীদের প্রাননাশের চেষ্টা ঘিরে আতঙ্ক উনকোটি জেলায়। কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিস চত্বরে এই ঘটনা। মহকুমা অফিসে ঢুকে অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারি কর্মচারীদের ঠেলা ধাক্কা দিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এই ঘটনার পর কর্মচারীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন৷

শুক্রবার কৈলাসহর মহকুমা শাসকের অফিসের সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবীতে কলম ধর্মঘট করে। ফলে মহকুমাশাসক অফিসের কাজকর্ম বন্ধ ছিলো। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের মহকুমা শাসকের অফিসের বর্তমান বিল্ডিং পুরনো হওয়ার কারনে রাজ্য সরকার সম্প্রতি অফিস বাড়ি নতুন করে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। খুব শীঘ্রই নতুন অফিস বিল্ডিংয়ের নির্মানের কাজ শুরু হবে। এরফলে মহকুমা শাসকের অফিস অস্থায়ী ভাবে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত হবে। পুরনো বিল্ডিং ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিল্ডিং ভাংগার কাজ চলাকালীন হঠাৎ কিছু যুবক হাতে ধারালো দা নিয়ে অফিস চত্বরে প্রবেশ করে। সেসময় কাজ তদারকিতে ছিলেন মহকুমাশাসকের সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং সহ আরও কয়েকজন কর্মচারীরা। যুবকরা নিজরা নির্মাণ কাজ করবে বলে হুশিয়ারি দেয়। জিজ্ঞেস করে কার নির্দেশে অফিস বিল্ডিং ভাংগা হচ্ছে? রিক্সানিয়ানা দারলং তখস মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকারকে দেখিয়ে দেন। তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে বলেন তিনি। সাথে সাথে যুবকরা ধারালো দা দেখিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের ঠেলা ধাক্কাও দিয়েছে বলে সরকারি কর্মচারীরা জানিয়েছেন।যদিও সে সময়ে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার অফিসে ছিলেন না। কারন মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার ছুটিতে ছিলেন। এই ঘটনায় মহকুমাশাসকের সরকারি কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সবাই একসাথে অফিস শুরুর প্রথমার্ধে কর্মবিরতি শুরু করে। এই কর্মবিরতির ফলে মহকুমাশাসকের অফিসের সব বিভাগের কাজ বন্ধ ছিলো। কর্মবিরতি চলাকালীন মহকুমাশাসক অফিসের রেভিনিউ সেকশনের সরকারি কর্মচারী দিয়েম চাকমা সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান যে, এভাবে অফিস চত্বরে এসে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার ফলে উনারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই যতক্ষন পর্যন্ত ঘটনার সমাধান না হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলে জানান তিনি। কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং জানান তাকেই প্রথমে ধারালো দা নিয়ে যুবকরা ঠেলা ধাক্কা দেয় এবং কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তী সময়ে, যুবকরা অফিসের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের সাথেও কথা কাটাকাটি করে এবং অভব্য আচরণ করে। শুক্রবার মহকুমাশাসকের অফিসে কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত যুবকরা অফিসে এসে সরকারি কর্মচারিদের কাছে ভুল স্বীকার করেছে এবং ঘটনার মীমাংসা হয়৷ পরে কর্মচারিরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় বলে জানান সরকারি কর্মচারী রিক্সানিয়ানা দারলং।