এখন থেকে আগরতলা বিমানবন্দরে আর X-Ray মেশিনে দিতে হবে না লাগেজ!
আগরতলা MBB বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ X-Ray মেশিনে আর দিতে হবে না। বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক ILB সিস্টেম। একথা জানিয়েছেন MBB বিমানবন্দরের অধিকর্তা কে সি মীনা। তিনি জানান, এই সুবিধা চালু হলে যাত্রীরা তাদের লাগেজ সরাসরি কাউন্টারে দিয়ে দিতে পারবেন। এতে সময়ও সাশ্রয় হবে। অধিকর্তা জানান, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বিগত পাঁচ বছরে এই বিমানবন্দরের উন্নয়নে সাড়ে ছয়শো কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিমানবন্দরটি এখন উন্নত হয়েছে গ্রেড থ্রী থেকে গ্রেড টুতে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর দিয়ে দৈনিক গড়ে চার থেকে সাড়ে চার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন বলেও জানান অধিকর্তা কে সি মীনা।
গত বছরের ২১শে মার্চ থেকে, একটি ILS ইনস্টল করার ফলে ফ্লাইটগুলি ৪০০ মিটারের ন্যূনতম দৃশ্যমানতার সাথে, এমনকি কুয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতেও মসৃণভাবে উঠানামা করতে পারছে। গ্রাহক পরিষেবা এবং নিরাপত্তা ছাড়াও, MBB বিমানবন্দর এই অঞ্চলের যাত্রী পরিসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাশ চন্দ্র মীনা জানিয়েছেন “আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর গ্রাহক সন্তুষ্টির দিক থেকে দেশের মধ্যে ১০ম স্থানে রয়েছে এবং উত্তর-পূর্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে আগরতলা বিমানবন্দর অনেক এগিয়ে। উত্তর-পূর্বের একমাত্র বিমানবন্দর যার বেসিক স্ট্রিপ ১৪০ মিটার, যে কারণে বিমানবন্দরটিকে অত্যন্ত সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। ILS সিস্টেম চালু হওয়ার কারনে ফ্লাইটগুলি কোনও সমস্যা ছাড়াই, এমনকি কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেও অবতরণ করতে পারছে। “নূন্যতম ৪০০ মিটার দৃশ্যমানতার সাথে, ফ্লাইটগুলি এখন নিরাপদে উঠানামা করছে।
এমবিবি বিমানবন্দরের অধিকর্তা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে, প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার যাত্রী রাজ্য থেকে বর্হিরাজ্যে যেমন যাচ্ছেন তেমনি বহিরাজ্য থেকে ফিরে আসছেন। তিনি বলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের গোহাটি বিমানবন্দর এতদিন গ্রেড টুতে ছিল। কিন্তু সেটি পিপিপি মডেলে আদানি গোষ্ঠীকে এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এখন ত্রিপুরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের একমাত্র গ্রেট টু বিমানবন্দর। তিনি জানান গত পাঁচ বছরে আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সময়ে রানওয়ে কার্পেটিং সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে বাংলাদেশে অস্থির অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন বাংলাদেশী বিমানযাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি জানান।