আগরতলায়

আগরতলায় হবে এফ.সি.আই-এর আঞ্চলিক অফিস!

আগরতলায় দুদিনের সফরে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রী

আগরতলায় এফ.সি.আই-এর রিজিওনাল অফিস স্থাপন করা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করা হবে। একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী শনিবার সম্মতি প্রদান করেছেন৷ শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর পৌরহিত্যে আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক এবং পুনর্নবীকরন শক্তি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি রাজ্য সচিবালয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। দুদিনের সফরে শনিবারই আগরতলায় আসেন তিনি। এম বি বি বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বি জে পি ‘ র প্রদেশ সাধারন সম্পাদক তথা বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যরা। দুপুরে তিনি আগরতলার নন্দননগরে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা ছাড়াও রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ, খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশিকে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ বেতের তৈরি মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের প্রতিকী স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গনেশের মূর্তি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কাজ করছেন তা গত ৭৫ বছরে হয় নি। রাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরের যে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সেইসব বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের কাজ চলছে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসির ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল আজ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি রাজ্যে অনুষ্ঠিত উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২ তম প্ল্যানারি সেশনের আয়োজন এবং এর ইতিবাচক দিকগুলির কথা উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে পর্যটন, কৃষি ও উদ্যান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। এরফলে রাজ্যে মাথা পিছু গড় আয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠোর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় নগর উন্নয়ন ও জল সম্পদ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব তাপস রায়, মুখ্য বন সংরক্ষক চৈতন্য মূর্তি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের চিত্র সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার রাজ্যের খাদ্যগুদাম সমূহের সংস্কার সহ বিভিন্ন বিষয় সমূহ নিয়ে তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আগরতলায় অনুষ্ঠিত উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্ল্যানারি সেশনে অংশ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের উন্নয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের সাথে আন্তরিকতার সাথে সরাসরি কথা বলেন ও তাদের বিষয়ে খোঁজ খবরও নিয়েছেন। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। রাজ্য সফরের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিবার চড়িলামে ট্রেডার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন এবং স্থানীয় জনগনের সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির দর্শন করে আগরতলায় ফিরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।